ETV Bharat / state

তৃণমূল, BJP বিভেদের রাজনীতি করছে, কটাক্ষ সেলিমের

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের উদ্দেশ্য মহৎ নয় ৷ BJP বিভাজনের রাজনীতি করছে ৷ ধর্মের নামে উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন CPI(M) পলিটবিউরো নেতা মহম্মদ সেলিম ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কারও কথা না শুনে, দেশের বিশিষ্ট মানুষদের মতামতকে তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক এজেন্ডার জন্য দিশাহীনভাবে কাজ করে চলেছে দেশের সরকার ৷ আজ এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন মহম্মদ সেলিম ৷

মহম্মদ সেলিম
মহম্মদ সেলিম
author img

By

Published : Dec 17, 2019, 9:14 PM IST

কলকাতা, 17 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের উদ্দেশ্য মহৎ নয় ৷ BJP বিভাজনের রাজনীতি করছে ৷ ধর্মের নামে উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন CPI(M) পলিটবিউরো নেতা মহম্মদ সেলিম ৷

মানুষের অধিকারকে পদদলিত করার চেষ্টা করছে দেশের সরকার ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতিগুলোকে এ রাজ্যের সরকার সমর্থন করছে ৷ দেশের জনগণকে ভাগ করার চক্রান্ত করছে ৷ মূল পরিচালনায় রয়েছে BJP ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কারও কথা না শুনে, দেশের বিশিষ্ট মানুষদের মতামতকে তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক এজেন্ডার জন্য দিশাহীনভাবে কাজ করে চলেছে দেশের সরকার ৷ আজ এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন মহম্মদ সেলিম ৷

নাগরিক সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সরব গোটা দেশ ৷ সরকার মানুষের অধিকারকে ধ্বংস করছে বলে জানান তিনি ৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের অন্ধকারে ছাত্রছাত্রীদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে পুলিশ ৷ লাঠিচার্জ করা হয়েছে ৷ সমস্ত ঘটনার নিন্দা করে মহম্মদ সেলিম জানান, দলমত নির্বিশেষে সকলে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে ৷ দেশ-বিদেশে সর্বত্র ছাত্রসমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ৷ সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে ৷ কখনও রোহিঙ্গা, কখনও অনুপ্রবেশকারী তকমা লাগানো হচ্ছে ৷

রাজ্যের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ি করলেন মহম্মদ সেলিম

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন মহম্মদ সেলিম ৷ বলেন, "বিধানসভায় ভাঙচুরের সময় মনে ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর যে, সেটাও রাজ্যের সম্পত্তি ৷ আজ তিনি বলছেন, জাতীয় সম্পত্তি ভাঙবেন না ৷" রাজ্যের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ি করেছেন তিনি ৷ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের কাছে কেন কোনও খবর ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহম্মদ সেলিম ৷ বলেন, "উত্তরপ্রদেশে যোগীর রাজত্বের মত এ রাজ্যেও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে । অসম, ত্রিপুরা, কাশ্মীরের একই অবস্থা । যা ঘটে চলেছে তা গণতান্ত্রিক নয় ।" এর দায়িত্ব রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে, বলে মন্তব্য করেছেন তিনি ।

RSS ও BJP চাইছে বিভাজনের রাজনীতি । বৃহত্তর ঐক্য গড়ে দেশের সংবিধানের পক্ষে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরকে নিয়ে বৃহত্তর লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন মহম্মদ সেলিম । ধর্ম নিরপেক্ষতার চরিত্র নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে RSS, BJP এবং তৃণমূল ৷ 132 কোটি মানুষকে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছে দেশের সরকার । এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, এভাবে আন্দোলন করবেন না। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সেলিমের, "সিঙ্গুরে মোটর গাড়ি কারখানা নির্মাণের সময় তিনি যা করেছিলেন, তা কি ঠিক করেছিলেন ?"

কলকাতা, 17 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের উদ্দেশ্য মহৎ নয় ৷ BJP বিভাজনের রাজনীতি করছে ৷ ধর্মের নামে উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন CPI(M) পলিটবিউরো নেতা মহম্মদ সেলিম ৷

মানুষের অধিকারকে পদদলিত করার চেষ্টা করছে দেশের সরকার ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতিগুলোকে এ রাজ্যের সরকার সমর্থন করছে ৷ দেশের জনগণকে ভাগ করার চক্রান্ত করছে ৷ মূল পরিচালনায় রয়েছে BJP ৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কারও কথা না শুনে, দেশের বিশিষ্ট মানুষদের মতামতকে তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক এজেন্ডার জন্য দিশাহীনভাবে কাজ করে চলেছে দেশের সরকার ৷ আজ এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন মহম্মদ সেলিম ৷

নাগরিক সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সরব গোটা দেশ ৷ সরকার মানুষের অধিকারকে ধ্বংস করছে বলে জানান তিনি ৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের অন্ধকারে ছাত্রছাত্রীদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে পুলিশ ৷ লাঠিচার্জ করা হয়েছে ৷ সমস্ত ঘটনার নিন্দা করে মহম্মদ সেলিম জানান, দলমত নির্বিশেষে সকলে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে ৷ দেশ-বিদেশে সর্বত্র ছাত্রসমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ৷ সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে ৷ কখনও রোহিঙ্গা, কখনও অনুপ্রবেশকারী তকমা লাগানো হচ্ছে ৷

রাজ্যের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ি করলেন মহম্মদ সেলিম

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করেন মহম্মদ সেলিম ৷ বলেন, "বিধানসভায় ভাঙচুরের সময় মনে ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর যে, সেটাও রাজ্যের সম্পত্তি ৷ আজ তিনি বলছেন, জাতীয় সম্পত্তি ভাঙবেন না ৷" রাজ্যের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ি করেছেন তিনি ৷ রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের কাছে কেন কোনও খবর ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহম্মদ সেলিম ৷ বলেন, "উত্তরপ্রদেশে যোগীর রাজত্বের মত এ রাজ্যেও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে । অসম, ত্রিপুরা, কাশ্মীরের একই অবস্থা । যা ঘটে চলেছে তা গণতান্ত্রিক নয় ।" এর দায়িত্ব রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে, বলে মন্তব্য করেছেন তিনি ।

RSS ও BJP চাইছে বিভাজনের রাজনীতি । বৃহত্তর ঐক্য গড়ে দেশের সংবিধানের পক্ষে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরকে নিয়ে বৃহত্তর লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন মহম্মদ সেলিম । ধর্ম নিরপেক্ষতার চরিত্র নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে RSS, BJP এবং তৃণমূল ৷ 132 কোটি মানুষকে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছে দেশের সরকার । এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, এভাবে আন্দোলন করবেন না। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন সেলিমের, "সিঙ্গুরে মোটর গাড়ি কারখানা নির্মাণের সময় তিনি যা করেছিলেন, তা কি ঠিক করেছিলেন ?"

Intro:চার মাস ধরে সমগ্র রাজ্যে এবং দেশে ধাপে-ধাপে মানুষের কাছে প্রচার চালানো হয়েছে বলে আর জানালেন সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের উদ্দেশ্য মহৎ নয়। বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করছে। ধর্মের নামে উস্কানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন সিপিআইএমের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম।


Body:মানুষের অধিকারকে পদদলিত করার চেষ্টা করছে দেশের সরকার। এ রাজ্যের সরকার সমর্থন করছে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি গুলিকে অভিযোগ সেলিমের।
দেশের জনগণকে ভাগ করার চক্রান্ত করছে সংঘ পরিবার। এর মূল পরিচালনায় রয়েছে বিজেপি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কারো কথা না শুনে, দেশের বিশিষ্ট মানুষদের মতামতকে তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক এজেন্ডার জন্যে দিশাহীন ভাবে কাজ করে চলেছে দেশের সরকার। আজ এই ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম।
প্রতিবাদে সোচ্চার গোটা দেশ। সরকার নিপীড়নমূলক আচরণের মধ্যে দিয়ে মানুষের অধিকারকে ধ্বংস করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাতের অন্ধকারে ছাত্রছাত্রীদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে পুলিশ। নির্বিচারে তাদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। লাঠিচার্জ করা হয়েছে। টিয়ারগ্যাস দিয়ে তাদেরকে শায়েস্তা করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
সমগ্র ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সিপিআইএম পলিটব্যুরোর এই সদস্য জানিয়েছেন, দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতিবাদ জানিয়েছে। দেশে-বিদেশে সর্বত্র ছাত্রসমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে। কখনো রোহিঙ্গা, কখনো অনুপ্রবেশকারী তকমা লাগানো হচ্ছে সংখ্যালঘুদের গায়ে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করে মহম্মদ সেলিম বলেন, বিধানসভায় ভাঙচুরের সময় মনে ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর, যে সেটাও রাজ্যের সম্পত্তি! আজ তিনি বলছেন জাতীয় সম্পত্তি ভাঙবেন না। রাজ্যের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই দায়ী করেছেন প্রাক্তন সাংসদ। রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের কাছে কেন কোন খবর ছিল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মহম্মদ সেলিম জানান, উত্তরপ্রদেশে যোগীর রাজত্বের মত এ রাজ্যেও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আসাম, ত্রিপুরা, কাশ্মীরের একই অবস্থা। যা ঘটে চলেছে তা গণতান্ত্রিক নয়। এর দায়িত্ব রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে, বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আরএসএস এবং বিজেপির চাইছে বিভাজনের রাজনীতি। বৃহত্তর ঐক্য গড়ে দেশের সংবিধানের পক্ষে যারা রয়েছেন তাদেরকে নিয়ে বৃহত্তর লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন মহম্মদ সেলিম। ধর্মনিরপেক্ষতার চরিত্র নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে আরএসএস, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস বলে অভিযোগ করেছেন বর্ষীয়ান এই সিপিআইএম নেতা।


Conclusion:১৩২ কোটি মানুষকে ভাগাভাগি করার চেষ্টা করছে দেশের সরকার। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন এভাবে আন্দোলন করবেন না। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন মহম্মদ সেলিমের, সিঙ্গুরে মোটর গাড়ি কারখানা নির্মাণের সময় তিনি যা করেছিলেন, তা কি ঠিক করেছিলেন? যারা এক সময় আগুন নিয়ে খেলেছিল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাদেরকে বিধায়ক অথবা সাংসদ করেছেন।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.