কলকাতা, 18 মে: দক্ষিণ 24 পরগনার ক্যানিং থানার হেরোভাঙা এলাকায় প্রদেশ কংগ্রেসের সভা ছিল। বুধবার রাতে সেই সভা শেষ করে গাড়িতে করে ফিরছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়-সহ আরও কয়েকজন। গোপালপুর হেরোভাঙা থেকে বারুইপুর উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার পরে তিনটে বাইকে করে 6 জন দুষ্কৃতী গাড়ির পিছনে ধাওয়া করে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকবার গুলি চালানোর চেষ্টাও করা হয় বলে দাবি কংগ্রেস নেতার। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তাঁর কথায়, "তিনটে বাইকে 6 জন দুষ্কৃতী 5-6 বার আমাদের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করে। রেষারেষি করে আমাদের গাড়ির সামনে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু গাড়ি চালক দ্রুততার সঙ্গে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসে।" তাঁর অভিযোগ, বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী হওয়ায় এরকম দুষ্কৃতিদের কবলে পড়তে হচ্ছে। বাংলায় আইনের শাসন নেই। তারপরেও পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায়ের বক্তব্য, "ঈশ্বরের আশীর্বাদে কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে ফিরেছি। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী হওয়ায় আমাদের দুষ্কৃতীদের বন্দুকের সামনে দাঁড়াতে হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের কবলে পড়ে জখম হওয়াই আমাদের ভবিতব্য। তারপরেও ওই অবস্থায় গাড়ি সোজা বারুইপুর থানায় ঢোকানো হয়। সেখানে প্রাথমিকভাবে জিডি করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন: মোবাইল টাওয়ার বসানোর টাকা নিয়ে বিবাদ, শুটআউটে আহত এক
এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার ক্যানিং থানায় স্থানীয় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা যাবেন। পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়ে এফআইআর দায়ের করবেন। অভিযোগকারী রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র বলেন, "ক্যানিং পুলিশ জেলার সুপারের সঙ্গে রাতেই ফোনে কথা হয়েছে। আগামিকাল ক্যানিং থানায় গিয়ে লিখিত এফআইআর করা হবে। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা থানায় যাবেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি জয়ন্ত দাসের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন থানার সঙ্গে তাঁরা কথা বলবেন।" একই সঙ্গে এই কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, বাংলায় বিরোধী রাজনৈতিক করলেই কি বুলেট খেতে হবে?