কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর : গত 10 অগাস্ট থেকে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন (D.El.Ed) কোর্সে ভরতির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । চলতি বছর কোরোনা ভাইরাস নিয়ে চলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আবেদন ফি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু, তারপরেও পর্ষদের কাছে আসা একাধিক আবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তীকালে মকুব করে দেওয়া হয় সেই ফিও । যে সকল পড়ুয়া ফি-এর কারণে আগে আবেদন করতে পারেননি তারা যাতে কোনও ফি ছাড়াই আবেদনের সুযোগ পান তার জন্য আবেদনের সময়সীমাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্ষদের আগের ঘোষণা অনুযায়ী 31 অগাস্টের পরিবর্তে 14 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন ইচ্ছুক প্রার্থীরা ।
প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষকতার প্রশিক্ষণের জন্য দু'বছরের ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন কোর্সটি করানো হয় । এই নিয়ে চতুর্থ বছর অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । রাজ্যের মোট 649 টি প্রতিষ্ঠানে D.El.Ed কোর্স করানো হয় । যার মধ্যে 60 টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বাকিগুলি সেল্ফ ফিনান্স প্রতিষ্ঠান । এই বছর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে মোট আসন সংখ্যা তিন হাজার 700 টি ও বেসরকারিতে 42 হাজার । মোট 45 হাজার 700 টি আসনের মধ্যে 45 হাজার 200 টি আসন বাংলা মাধ্যমের জন্য। 300টি আসন হিন্দি, 100 টি নেপালি, 50 টি ঊর্দু ও সাঁওতালি মাধ্যমের জন্য 50 টি আসন রয়েছে । প্রাথমিকভাবে 10 অগাস্ট থেকে 31 অগাস্ট পর্যন্ত ভরতির আবেদন গ্রহণের পোর্টাল খোলা হয়েছিল । পর্ষদ সূত্রে খবর, চলতি বছর আশানুরূপ আবেদন জমা পড়েনি । প্রথম 15 দিনে 52 হাজার 500-র মতো আবেদনপত্র জমা পড়েছে।
এই বছর কোরোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গত বছরের তুলনায় আবেদন ফি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রথম থেকেই । আগে জেনেরাল ক্যাটাগরির প্রার্থীদের জন্য 300 টাকা ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির প্রার্থীদের জন্য 150 টাকা আবেদন ফি ছিল । তাই এই বছর কমিয়ে যথাক্রমে 100 টাকা ও 50 টাকা করা হয়েছিল । কিন্তু, তারপরেও পর্ষদের কাছে কয়েকজন সেই ফি মকুবের আবেদন জানায় । সেই আবেদনের ভিত্তিতে 1 সেপ্টেম্বর থেকে যে সকল প্রার্থীরা আবেদন করবেন তাঁদের কোনও আবেদন ফি দিতে হবে না বলে জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে ।
আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি ও আবেদন ফি মকুব নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "আবেদনের সময়সীমা আরও 15 দিন বাড়ানো হয়েছে । পাশাপাশি, আবেদন ফিও পুরোপুরি মকুব করে দেওয়া হয়েছে । চলতি বছর COVID-19-এর জন্য প্রথম থেকেই আবেদন ফি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু, তারপরেও আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া চলাকালীন আমাদের কাছে কিছু ফোন আসে । তার ভিত্তিতে আমরা ফি মকুব করে দিই । আমরা মনে করছি, যাদের ফি দেওয়ার সামর্থ্য ছিল তাঁরা আগেই আবেদন করেছেন । আর যাদের সামর্থ্য নেই তাঁরা যাতে আবেদন করতে পারেন তার জন্য আমরা যেমন আবেদন ফি পুরোপুরি মকুব করেছি, তেমনি আবেদনের সময়সীমাও বৃদ্ধি করেছি । আবেদন ফি দিতে পারছে বলে কেউ আবেদন করতে পারবে না এটা যেন না হয় । আমরা প্রথমে যে ফি নিয়েছিলাম সেটাও কমানো ছিল ।"