কলকাতা, 7 এপ্রিল: কোভিড-19-এ গত বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রের বহু ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার অনেক আত্মত্যাগ করেছেন । এ বছর এ রাজ্যে আর কোভিড-19-এর সংক্রমণ বাড়তে দেবেন না । সাংসদ, বিধায়করা যাবেন-আসবেন। কিন্তু কোভিড-19-এর সংক্রমণ, মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে । কোভিড-19-এ যাঁদের প্রিয়জনকে হারাতে হয়েছে সেই সব পরিবারের কথা ভাবতে হবে । নির্বাচনী আবহের মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধের জন্য সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বার্তা চিকিৎসকদের ।
এখনও পর্যন্ত সরকারি ঘোষণা হয়নি । তবে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, এ রাজ্যেও কোভিড-19-এর দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে । এ দিকে দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড গত বছরকে ছাপিয়ে গিয়েছে । শুধুমাত্র তাই নয় । গোটা বিশ্বের নিরিখে কোভিড-19-এর সংক্রমণে ভারত প্রথমে । এ রাজ্যে এখন বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে । এই পরিস্থিতিতে করোনার স্বাস্থ্যবিধি প্রায়ই মানা হচ্ছে না । তার উপর রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিটিং-মিছিল । ফলে স্বাস্থ্যবিধি শিকেয় উঠেছে । যা নিয়ে চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশের তরফে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে । তাঁদের মতে এভাবে চলতে থাকলে কোভিড-19-এর সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের তরফে জানানো হয়েছে, এ রাজ্যেও কোভিড-19-এর সংক্রমণ খুব দ্রুত বেড়ে চলেছে । গত একমাসে এরাজ্যে কোভিড-19-এর দৈনিক সংক্রমণ 10 গুণ বেড়েছে । 1 মার্চ এরাজ্যে কোভিড-19-এর দৈনিক সংক্রমণ ছিল 198 ।15 মার্চ তা বেড়ে হয়েছিল 251 । 31 মার্চ সেই সংখ্যা পৌঁছেছে 982-তে । 6 এপ্রিল এই সংখ্যা ছিল এক হাজার 957 । এখনও পর্যন্ত এরাজ্যে কোভিড-19-এ 105 জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে । নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে করোনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় 250 জনের মৃত্যু হয়েছে ।
আরও পড়ুন : কোভিড রুখতে আজ থেকে দিল্লিতে নাইট কার্ফু
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের তরফে জানানো হয়েছে, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক । এর পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ব এবং সাবান অথবা স্যানিটাইজ়ার দিয়ে বার বার হাত পরিষ্কার করা উচিত । যাঁদের বয়স 45 বছরের ঊর্ধ্বে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের টিকা নিতে হবে । যেকোনও সমাবেশে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা উচিত ।