কলকাতা, 14 ফেব্রুয়ারি: বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যেই এবার এই ইস্যুতে চরম হুঁশিয়ারি দিল সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ৷ রাজ্যের উপর চাপ বাড়িয়ে মঙ্গলবার এই মঞ্চের তরফে জানান হয়েছে, মহার্ঘভাতা না-পেলে পঞ্চায়েত ভোটের (Bengal Panchayat Election) কাজে যোগ দেওয়া হবে না ৷ বিষয়টি নিয়ে এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা (DA protest in West Bengal) ৷
কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের (AICPI) এর পরামর্শ মেনে কেন্দ্রের সঙ্গে মিল রেখে সমান হারে সমস্ত বকেয়া মহার্ঘভাতা প্রদানের দাবি জানিয়েছে আসছে সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ৷ এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি দফতরের সমস্ত শূন্যপদে স্বচ্ছ ও স্থায়ী নিয়োগের দাবিও করেছে তারা ৷ দাবি মানা না-হলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁরা ভোটকর্মী হিসেবে কাজে যোগ দেবেন না বলেও আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, এই ইস্যুতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এর আগেও আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা ৷ সোমবারও তাঁরা কর্মবিরতি পালন করেন ৷ বর্তমানে কলকাতার শহিদ মিনারে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন তাঁরা । সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহার্ঘভাতার দাবিতে এবার জেলায় জেলায় লাগাতার কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে ।
আরও পড়ুন: তীব্র হচ্ছে ডিএ'র দাবি, রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি পালন সরকারি কর্মীদের
সংগঠনটির পক্ষ থেকে কিঙ্কর অধিকারী বলেন, "রাজ্য সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে । কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের থেকে আমরা 35 শতাংশ মহার্ঘ ভাতা কম পাই । দেশের প্রায় সবকটি রাজ্যে কেন্দ্র সরকারের সমান হারে মহার্ঘভাতা পেলেও এই রাজ্যে 2016 সাল থেকে সরকারি কর্মীরা মহার্ঘভাতা পায়নি । মহার্ঘভাতা সংক্রান্ত মামলায় আদালত জানিয়ে দিয়েছে যে এই ভাতা বেতনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং তা কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার, তাই রাজ্য সরকার এই ভাতা দিতে বাধ্য । তারপরেও আদালতের অবমাননা করে রাজ্য সরকার সরকারি কর্মীদের ডিএড থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে ৷"
তিনি আরও বলেন,"একইভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগের বিষয়ে ব্যাপক দুর্নীতি সামনে এসেছে । তাই আমাদের দাবি হল, অবিলম্বে মহার্ঘভাতা দেওয়া চালু করতে হবে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছ এবং স্থায়ী নিয়োগ শুরু করতে হবে ৷ অন্যথায় আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটব । এছাড়াও আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটকর্মী হিসেবে কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।"