ETV Bharat / state

ভোটে জিততে তাঁদের সিঁড়ি হিসেবে ব‍্যবহার করা হচ্ছে, মত বিক্ষোভরত পার্শ্বশিক্ষকদের - ভোটে জিততে সিঁড়ি হিসেবে ব‍্যবহার করা হচ্ছে পার্শ্বশিক্ষকদের

18 ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থানের আজ 17তম দিন । তারপরও সরকারের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ । ধাপে ধাপে পার্শ্বশিক্ষকদের স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । কিন্তু অবস্থানরত পার্শ্বশিক্ষকদের দাবি, পুরোটাই সরকারের ধাপ্পাবাজি ।

Kolkata
পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান
author img

By

Published : Jan 3, 2021, 4:59 PM IST

Updated : Jan 3, 2021, 6:03 PM IST

কলকাতা, 3 জানুয়ারি : আজ 17 দিনে পড়ল পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান । 18 ডিসেম্বর থেকে সল্টলেকে তাঁদের অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে । কিন্তু এতদিনে একবারও নিজেদের দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেননি তাঁরা । বরং তাঁদের আন্দোলন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ধাপে ধাপে বহু পার্শ্বশিক্ষকের স্থায়ীকরণ করা হয়েছে এবং আগামীতেও করা হবে । শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকরা । তাঁদের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে জেতার জন্য পার্শ্বশিক্ষকদের সিঁড়ি হিসেবে ব‍্যবহার করছে রাজ‍্য সরকার ।


এই প্রসঙ্গে পার্শ্বশিক্ষক ঐক‍্যমঞ্চের এক সদস‍্য শান্তা বিশ্বাস বলেন, "দশ বছর ধরে ধাপের গল্প হচ্ছে । ধাপটা এখন আমাদের কাছে ধাপ্পাবাজি । সব থেকে বড় কথা আমাদের মনে হচ্ছে, ধাপটা সরকারের ভোটে পৌঁছানোর ধাপ । ভোটে জেতার ধাপ । সেটাতে আমাদের সিঁড়ি হিসেবে ব‍্যবহার করা হচ্ছে । রাজনীতি হচ্ছে, এটা আমাদের কাছে খুব পরিষ্কার ও স্পষ্ট । আমরা সবাই শিক্ষক, শিক্ষিত । তাই এটুকু বুঝে নিতে আমাদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে না । এই সমস্ত কথা অনেকদিন ধরে চলছে। এমনকী ক্ষমতায় আসার আগে থেকে চলছে‌। অনেক ধৈর্য্য ধরেছি আমরা । অনেক সহনশীলতা দেখিয়েছি। এবার বোধহয় তার সময় শেষ হয়ে এসেছে ।"

18 ডিসেম্বর থেকে চলে আসা পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থানের আজ 17তম দিন । একাধিক সমস্যা নিত‍্যসঙ্গী তাঁদের । পরিমল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই ভয়ংকর ঠান্ডায় আমাদের প্রত্যেক পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁদের পরিবার ছেড়ে, ছাত্রদের ছেড়ে, এলাকা ছেড়ে পড়ে আছেন অবস্থানে । শখে কেউ পড়ে নেই । শুধু এই অমানবিক সরকারের কানে যাতে আওয়াজ পৌঁছে দেওয়া যায়, তাঁদের চেতনা আনা যায় । তাঁদের যে কাজটা আমরা রোজ দায়িত্ব নিয়ে করছি তার ন্যূনতম প্রতিদান চাইছি । আমরা বলছি না যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আপনার বেতন 2011 সালের আগে 7 হাজার ছিল, এখন 1 লাখ 17 হাজার । আমরা 1 লাখ 17 হাজার চাইছি না । আমরা ন‍্যূনতম বেতন কাঠামো চাইছি ।"

আরও পড়ুন, গাজ়িয়াবাদে নির্মীয়মাণ শ্মশানের ছাদ ভেঙে মৃত 17

সরকারের প্রতি আস্থা হারালেও নিজেদের লড়াই চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রাজ‍্যের পার্শ্বশিক্ষকরা । পরিমল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের দাবি খুব অল্প । পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতন কাঠামো । যেটা গত বছর আমাদের 32 দিনের অবস্থান ও 28 দিনের অনশনের পর স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে আমাদের সব দাবি পূরণ করবেন । কিন্তু দেখলাম না। এই কোরোনা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে এক বছর পার হয়ে গেল অথচ আমাদের দাবি পূরণ হল না । আমাদের এই লড়াইটা চলবে । যতক্ষণ না সরকার আমাদের এই দাবি পূরণ করছে ।"

শান্তা বিশ্বাস বলেন, "এখনও কতদিন চলবে জানি না। আমাদের একটাই লক্ষ্য, যতদিন না আমাদের দাবি মিটছে ততদিন এভাবেই অবস্থান চালিয়ে যাওয়া। এটা বোধহয় আমাদের অনন্ত প্রতিক্ষার একটা পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে যে, কতদিন আমরা পারি। সরকারও নিতে চাইছে এবং আমরাও দিতে চাইছি। দেখা যাক, কতদিনে দাবি পূরণ হয়। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যতদিন না আমরা আমাদের দাবি আদায় করতে পারছি ততদিন এভাবেই চালাব।"

কলকাতা, 3 জানুয়ারি : আজ 17 দিনে পড়ল পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থান । 18 ডিসেম্বর থেকে সল্টলেকে তাঁদের অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে । কিন্তু এতদিনে একবারও নিজেদের দাবি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেননি তাঁরা । বরং তাঁদের আন্দোলন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ধাপে ধাপে বহু পার্শ্বশিক্ষকের স্থায়ীকরণ করা হয়েছে এবং আগামীতেও করা হবে । শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন আন্দোলনকারী পার্শ্বশিক্ষকরা । তাঁদের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে জেতার জন্য পার্শ্বশিক্ষকদের সিঁড়ি হিসেবে ব‍্যবহার করছে রাজ‍্য সরকার ।


এই প্রসঙ্গে পার্শ্বশিক্ষক ঐক‍্যমঞ্চের এক সদস‍্য শান্তা বিশ্বাস বলেন, "দশ বছর ধরে ধাপের গল্প হচ্ছে । ধাপটা এখন আমাদের কাছে ধাপ্পাবাজি । সব থেকে বড় কথা আমাদের মনে হচ্ছে, ধাপটা সরকারের ভোটে পৌঁছানোর ধাপ । ভোটে জেতার ধাপ । সেটাতে আমাদের সিঁড়ি হিসেবে ব‍্যবহার করা হচ্ছে । রাজনীতি হচ্ছে, এটা আমাদের কাছে খুব পরিষ্কার ও স্পষ্ট । আমরা সবাই শিক্ষক, শিক্ষিত । তাই এটুকু বুঝে নিতে আমাদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে না । এই সমস্ত কথা অনেকদিন ধরে চলছে। এমনকী ক্ষমতায় আসার আগে থেকে চলছে‌। অনেক ধৈর্য্য ধরেছি আমরা । অনেক সহনশীলতা দেখিয়েছি। এবার বোধহয় তার সময় শেষ হয়ে এসেছে ।"

18 ডিসেম্বর থেকে চলে আসা পার্শ্বশিক্ষকদের অবস্থানের আজ 17তম দিন । একাধিক সমস্যা নিত‍্যসঙ্গী তাঁদের । পরিমল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই ভয়ংকর ঠান্ডায় আমাদের প্রত্যেক পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁদের পরিবার ছেড়ে, ছাত্রদের ছেড়ে, এলাকা ছেড়ে পড়ে আছেন অবস্থানে । শখে কেউ পড়ে নেই । শুধু এই অমানবিক সরকারের কানে যাতে আওয়াজ পৌঁছে দেওয়া যায়, তাঁদের চেতনা আনা যায় । তাঁদের যে কাজটা আমরা রোজ দায়িত্ব নিয়ে করছি তার ন্যূনতম প্রতিদান চাইছি । আমরা বলছি না যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আপনার বেতন 2011 সালের আগে 7 হাজার ছিল, এখন 1 লাখ 17 হাজার । আমরা 1 লাখ 17 হাজার চাইছি না । আমরা ন‍্যূনতম বেতন কাঠামো চাইছি ।"

আরও পড়ুন, গাজ়িয়াবাদে নির্মীয়মাণ শ্মশানের ছাদ ভেঙে মৃত 17

সরকারের প্রতি আস্থা হারালেও নিজেদের লড়াই চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রাজ‍্যের পার্শ্বশিক্ষকরা । পরিমল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের দাবি খুব অল্প । পূর্ণ শিক্ষকের মর্যাদা ও বেতন কাঠামো । যেটা গত বছর আমাদের 32 দিনের অবস্থান ও 28 দিনের অনশনের পর স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে আমাদের সব দাবি পূরণ করবেন । কিন্তু দেখলাম না। এই কোরোনা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে এক বছর পার হয়ে গেল অথচ আমাদের দাবি পূরণ হল না । আমাদের এই লড়াইটা চলবে । যতক্ষণ না সরকার আমাদের এই দাবি পূরণ করছে ।"

শান্তা বিশ্বাস বলেন, "এখনও কতদিন চলবে জানি না। আমাদের একটাই লক্ষ্য, যতদিন না আমাদের দাবি মিটছে ততদিন এভাবেই অবস্থান চালিয়ে যাওয়া। এটা বোধহয় আমাদের অনন্ত প্রতিক্ষার একটা পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে যে, কতদিন আমরা পারি। সরকারও নিতে চাইছে এবং আমরাও দিতে চাইছি। দেখা যাক, কতদিনে দাবি পূরণ হয়। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যতদিন না আমরা আমাদের দাবি আদায় করতে পারছি ততদিন এভাবেই চালাব।"

Last Updated : Jan 3, 2021, 6:03 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.