কলকাতা, 1 মে : RG কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড বলে দাবি করা একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় । সেই ভিডিয়োতে তুলে ধরা হয়েছে হাসপাতালের অব্যবস্থার কথা । কিন্তু এটি RG কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড নয়, একটি পরিত্যক্ত ওয়ার্ড। আজ একথা জানান রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী ।
সোশাল মিডিয়ায় সম্প্রতি MR বাঙুর হাসপাতালের নাম করে অন্য একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই ভিডিয়োতে কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে রোগীদের চিকিৎসায় অব্যবস্থার বিষয়টি উঠে আসে । এরপরই RG কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের নামে একটি ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিয়োতে তুলে ধরা হয়, ওই ওয়ার্ডের অব্যবস্থার কথা। সেখানকার শৌচাগারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কথা । বিড়ালের আনাগোনার কথাও জানানো হয়। ওই ওয়ার্ডের বেডগুলির মধ্যে দূরত্ব সেভাবে ছিল না বলেও দেখানো হয়। এসবের পাশাপাশি ওই ভিডিয়োয় এক মহিলার গলায় দাবি করা হয়, ওয়ার্ডটি RG কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড। এনিয়ে ইতিমধ্য়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর কথা বলেছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। RG কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেও এই আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয়। RG কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড বলে দাবি করা সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োটি কি সত্যি? এবিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী বলেন, "এটি আইসোলেশন ওয়ার্ড নয়। আইসোলেশন ওয়ার্ডের পাশে একটি পরিত্যক্ত ওয়ার্ড।" এই পরিত্যক্ত ওয়ার্ডের শৌচাগারে সংস্কারের কাজ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা।
কোরোনা চিকিৎসার জন্য RG কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে 10টি বেড রয়েছে। রোগীদের চাপে বেডগুলি কার্যত ফাঁকা থাকে না। গাইডলাইন মেনে দূরত্ব বজায় রাখা হয়েছে বেডগুলির মধ্য়ে । তবে, হাসপাতালের একাধিক স্থানে বিড়ালের যে আনাগোনা দেখা যায়, তা নতুন কোনও বিষয় নয়। বিড়ালের এই সমস্যা দীর্ঘ বছরের।