কলকাতা, 22 এপ্রিল: কোরোনার সংক্রমণ যেভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তাতে প্রতিরোধ করার এখন একমাত্র উপায় লকডাউন । কিন্তু এই টানা লকডাউনের জেরে সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে দুস্থ ও দিনমজুরদের । কাজ হারিয়েছেন অনেকেই । ফলে তৈরি হয়েছে অর্থাভাব । শহরের দুস্থ মানুষগুলির সাহায্যে এবার এগিয়ে এলো কলকাতার দুটি নামী পুজো কমিটি । শুধু দুর্গাপুজোই নয়, বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোটা যে কর্তব্য তা বুঝিয়ে দিল ক্লাব দুটি । আজ চেতলা অগ্রণী ক্লাবের সভাপতি মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গরীব-দুঃস্থ মানুষদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন । সেইসঙ্গে নাকতলা উদয়ন সংঘের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে স্থানীয় কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত এলাকার দুস্থ মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন ।
দক্ষিণ কলকাতার দু'টি অত্যন্ত জনপ্রিয় পুজো হল চেতলা অগ্রণী ও নাকতলা উদয়ন সংঘ । এই দুটি পুজোর সঙ্গেই তৃণমূলের দুই মন্ত্রী ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন । এই কঠিন সময়ে কলকাতা শহরের দুটি পুজো এগিয়ে এল মানুষের পাশে দাঁড়াতে । বুধবার চেতলা অগ্রণী ক্লাবের সভাপতি ও মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উদ্যোগে 1000 দরিদ্র মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় । 10 কেজি চাল, 1 কেজি, 1 কেজি চিনি, 1 কেজি ডাল, 1 কেজি তেল, 1 কেজি সয়াবিন ও 200 গ্রাম হলুদের প্যাকেট বিলি করা হয় ।
অন্যদিকে নাকতলা উদয়ন সংঘের তরফে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় আজ দু কেজি চাল, 500 গ্রাম ডাল, 1 কেজি তেল, মুড়ি, আলু, পেঁয়াজ, আদা, রসুন এবং সেইসঙ্গে 100 টাকা করে এলাকার 80 জন দুস্থ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হয় ।
লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই নাকতলা উদয়ন সংঘের তরফে বাঘাযতীন, গড়িয়া ও রানিকুঠি এলাকায় ফুটপাতে বসবাসকারী ও ভবঘুরে সহ প্রায় 70 জন মানুষের দুপুরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল । যতদিন লকডাউন চলবে ততদিন এই ব্যবস্থা চালু থাকবে বলে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে ।