কালিয়াগঞ্জ, 22 মে: দিনকয়েক আগে কালিয়াগঞ্জে খুন হয়েছিলেন মৃত্যুঞ্জয় বর্মন। পুলিশের গুলিতে তিনি খুন হয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল ৷ একইভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় খুন হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের স্ত্রী গৌরী বর্মন এবং বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়ার ছেলে প্রশান্ত ভুঁইয়াকে চাকরি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । নিজের বরাদ্দ কোটায় গ্রুপ-ডি'তে চাকরি দিয়েছেন তিনি ।
কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে খুন হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মন, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির ৷ এরপরই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দেয় রাজ্য ৷ যদিও সিআইডি তদন্তে খুশি নয় পরিবার ৷ অন্যদিকে, মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেইমতো সোমবার বিধানসভায় পরিবারের সদস্যদের হাতে চাকরির নথি তুলে দেন বিরোধী দলনেতা ৷ জানা গিয়েছে, আপাতত তাঁরা ক্যাজুয়াল কর্মী হিসাবে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার ঘরে অ্যাটেনডেন্ট হিসাবে যোগ দিলেন । এক বছর বাদে তাঁদের সকলের চাকরি পাকা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু ।
এদিন চাকরিতে যোগদান করে গৌরী বর্মন জানিয়েছেন, তিনি বিরোধী দলনেতার প্রতি কৃতজ্ঞ ৷ তিনি এই চাকরির ব্যবস্থা করেছেন বলে বিরোধী দলনেতাকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন গৌরী বর্মন। তবে এদিও তিনি দাবি করেন, খুনের ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত, সেই অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে । এদিন এই চাকরি দেওয়ার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "এটা করা উচিত ছিল রাজ্য সরকারের ৷ কিন্তু রাজ্য সরকার সেই দায়িত্ব পালন করল না। তাই আমাদেরকে এই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।" বিরোধী দলনেতা হিসেবে বছরে দু'জন করে গ্রুপ-ডি অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই পদেই নিয়োগ করা হল নিহতদের পরিবারের সদস্যদের। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি কর্মী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের। একইসঙ্গে ময়নায় গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল বিজয় কৃষ্ণ ভুঁইয়ার । দু'টি ক্ষেত্রেই মৃত্যুর বিষয়টি এখনও তদন্ত চলছে । সেই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার আগে এই দুই পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ।
আরও পড়ুন: '300 দিনেরও বেশি বিনা বিচারে বন্দি রয়েছি', অভিষেকের জেরা নিয়ে প্রশ্নে বিরক্ত পার্থ