কলকাতা, 28 জুলাই : "জনপ্রিয় সিনেমার ডায়লগ হিংসা ছড়ায় না ৷" মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য সংক্রান্ত মামলায় এমনই মন্তব্য বিচারপতি কৌশিক চন্দের। বিচারপতি এদিন একাধিক জনপ্রিয় হিন্দি সিনেমার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, হিন্দি সিনেমায় এরকম বহু জনপ্রিয় ডায়লগ শোনা গিয়েছে , সেখান থেকে কি হিংসা ছড়িয়েছে বা হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে?
মিঠুন চক্রবর্তী নিজেও জানিয়েছেন, তাঁর বলা ডায়লগ জনপ্রিয় তাই তিনি শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে, দর্শকদের উদ্দেশ্যে ওই ডায়লগ বলেছিলেন ৷ এর সঙ্গে উস্কানি দেওয়ার সম্পর্ক থাকতে পারে না ৷
সরকারি আইনজীবী শাশ্বত গোপাল মুখার্জিকে আগামী সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী সপ্তাহে ফের শুনানি মামলাটির।
আরও পড়ুন : Mukul Roy-PAC : মুকুল রায় কীভাবে পিএসির চেয়ারম্যান ? হাইকোর্টে মামলা বিজেপি বিধায়কের
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেড সমাবেশে ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লিখিয়েছিলেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে তিনি তাঁর অভিনীত বাংলা সিনেমার ডায়লগ ,"জাত গোখরো এক ছোবলেই ছবি" ও "মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে", এই সমস্ত ডায়লগ বলে পার্টির সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।
ভোট মিটে যাওয়ার পর ভোটের সময় উস্কানিমূলক মন্তব্য করার দাবিতে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় এফআইআর দায়ের করেন মৃত্যুঞ্জয় পাল নামে এক ব্যক্তি। সেটা খারিজের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে গত 8 জুন মামলা করেন মিঠুন চক্রবর্তী । 11 জুন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মিঠুন চক্রবর্তীকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তদন্তের সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : Rahul Gandhi : ভারতের বিরুদ্ধে কেন ব্যবহার পেগাসাস, মোদি-শাহকে প্রশ্ন রাহুলের
ইতিমধ্যে বিচারপতিদের বেঞ্চ পরিবর্তন হওয়ার দরুণ মামলাটি বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে স্থানান্তর করা হয় । বিচারপতি চন্দ এর আগের শুনানিতেও সিনেমার ডায়লগ উস্কানিমূলক হতে পারে কি না বা হিংসা ছড়াতে পারে কি না সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সরকারি আইনজীবীর সামনে।
পাশাপাশি রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, মিঠুনকে ভার্চুয়ালি জিজ্ঞাসাবাদ করছে মানিকতলা থানার পুলিশ। আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানানো হয়। আজ বিচারপতি পরিষ্কার বলেন, এই মামলার তদন্তের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। আগামী সপ্তাহে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন বিচারপতি।