ETV Bharat / state

20 বছর জেল খাটার পর জামিনে মুক্ত সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী - Presidency Jail

1999 সাল থেকে জেলে ৷ বার বার আবেদন করেও মেলেনি জামিন ৷ অবশেষে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের রিপোর্টে ভিত্তি করে বিজয় দাসকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷

কলকাতা হাইকোর্ট
author img

By

Published : Jul 31, 2019, 7:15 PM IST

Updated : Jul 31, 2019, 9:31 PM IST

কলকাতা, 31 জুলাই : 20 বছর জেলখাটা এক অভিযুক্তর জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আলিপুর আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিজয় দাসকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ।

ডাকাতি ও খুনের অভিযোগে বিজয় দাসকে 2005 সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আলিপুর আদালত । তখন তার বয়স ছিল 22 বছর ৷ মূল অভিযোগ ছিল, বড়বাজারের এক ব্যবসায়ীর ছেলের গাড়িতে বিজয় দাস ও আরও চারজন হামলা করে । গাড়িতে দুটো জুয়েলারি বক্স ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা । তাঁরা যখন বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছেন সেই সময় গাড়ি ঘিরে ধরে বিজয় ও তাঁর সঙ্গীরা ৷ ওই ব্যবসায়ীর ছেলের কাছ থেকে টাকা এবং সোনা ছিনিয়ে নেয় বিজয়রা ।

পাশাপাশি গাড়ির ড্রাইভারকে গুলি করা হয়, ঘটনাস্থানেই তাঁর মৃত্যু হয় । ব্যবসায়ীর ছেলের শরীরের নিম্নাংশে গুলি লাগে । তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান৷ এই ঘটনায় আলিপুর আদালত 2005 সালে চারজনকে বেকসুর খালাস করে দেয় । এদিকে বিজয় দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় । এরপর 2006 সালে বিজয় দাস হাইকোর্টে আবেদন করে । সেই থেকে মামলার শুনানি চলছিল । মাঝে ঠিক মতো শুনানিও হচ্ছিল না ।

14 বছর জেল খাটার পর বিজয় দাস আবার তাঁর মামলা পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান । কিন্ত রাজ্য সরকার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় । এরপর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে । প্রধান বিচারপতি প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান । সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আজ বিজয় দাসকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে । তবে মামলা চলবে ৷

আজ হাইকোর্টের নির্দেশের পর বিজয় দাসের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানান, "প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে যে রিপোর্ট চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি, সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে বিজয় দাস অত্যন্ত কর্মঠ লোক, তিনি জেলে অনেক কাজ করেছেন । তিনি বিশ্বাসযোগ্য ব্যাক্তি । এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আজ তাকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেন ।"

কলকাতা, 31 জুলাই : 20 বছর জেলখাটা এক অভিযুক্তর জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আলিপুর আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিজয় দাসকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ।

ডাকাতি ও খুনের অভিযোগে বিজয় দাসকে 2005 সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আলিপুর আদালত । তখন তার বয়স ছিল 22 বছর ৷ মূল অভিযোগ ছিল, বড়বাজারের এক ব্যবসায়ীর ছেলের গাড়িতে বিজয় দাস ও আরও চারজন হামলা করে । গাড়িতে দুটো জুয়েলারি বক্স ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা । তাঁরা যখন বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছেন সেই সময় গাড়ি ঘিরে ধরে বিজয় ও তাঁর সঙ্গীরা ৷ ওই ব্যবসায়ীর ছেলের কাছ থেকে টাকা এবং সোনা ছিনিয়ে নেয় বিজয়রা ।

পাশাপাশি গাড়ির ড্রাইভারকে গুলি করা হয়, ঘটনাস্থানেই তাঁর মৃত্যু হয় । ব্যবসায়ীর ছেলের শরীরের নিম্নাংশে গুলি লাগে । তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান৷ এই ঘটনায় আলিপুর আদালত 2005 সালে চারজনকে বেকসুর খালাস করে দেয় । এদিকে বিজয় দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় । এরপর 2006 সালে বিজয় দাস হাইকোর্টে আবেদন করে । সেই থেকে মামলার শুনানি চলছিল । মাঝে ঠিক মতো শুনানিও হচ্ছিল না ।

14 বছর জেল খাটার পর বিজয় দাস আবার তাঁর মামলা পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান । কিন্ত রাজ্য সরকার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় । এরপর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে । প্রধান বিচারপতি প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান । সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আজ বিজয় দাসকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে । তবে মামলা চলবে ৷

আজ হাইকোর্টের নির্দেশের পর বিজয় দাসের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানান, "প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে যে রিপোর্ট চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি, সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে বিজয় দাস অত্যন্ত কর্মঠ লোক, তিনি জেলে অনেক কাজ করেছেন । তিনি বিশ্বাসযোগ্য ব্যাক্তি । এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আজ তাকে জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেন ।"

Intro:২০ বছর পর মুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের Body:মানস নস্কর---

২০ বছর জেল খাটার পর মুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

কলকাতা ৩১ জুলাইঃ
২০ বছর জেল খাটার পর এক অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষনান ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

ডাকাতি ও খুনের অভিযোগে ২২ বছর বয়সী তরুণ বিজয় দাসের ২০০৫ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আলিপুর আদালত। মুল অভিযোগ ছিল বড়বাজারের এক ব্যাবসায়ীর ছেলে তার গাড়িতে যখন বাড়ি ফিরছিল সেই সময় বিজয় দাস ও আরো চারজন এদের উপর হামলা করে।গাড়িতে দুটো জুয়েলারি বাক্স এবং কিছু নগদ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।ওরা যখন বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে সেই সময় ওদের ঘিরে ধরে ওদের থেকে টাকা এবং সোনা-দানা যা ছিল নিয়ে নেয়। পাশাপাশি গাড়ির ড্রাইভারকে গুলি করে, সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এবং ব্যাবসায়ীর ছেলের শরীরের নিম্নাংশে গুলি লাগে। কিন্ত তিনি ভাগ্যক্রমে বেচে যান তিনি।আলিপুর আদালত ২০০৫ সালে চারজনকে বেকসুর খালাস করে দেয়।কিন্ত বিজয় দাসের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।কারন বিজয় দাসই গুলি চালিয়েছিলো। এরপর ২০০৬ সালেই বিজয় দাস হাইকোর্টে আপিল করে। কিন্ত সেই থেকে মামলার শুনানি চলছিল। ঠিক মতো শুনানি হচ্ছিলো না। ১৪ বছর সম্পূর্ণ হওয়ার পর বিজয় দাস আবার একটি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানান। কিন্ত রাজ্য সরকার সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
এরপর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। প্রধান বিচারপতি প্রেসিডেন্সি জেল কতৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান।সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আজ তার ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে মামলাটা চলতে থাকবে।

আজ রায়ের পর বিজয় দাসের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানান, "প্রেসিডেন্সি জেল কতৃপক্ষের কাছে যে রিপোর্ট চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে বিজয় দাস অত্যন্ত কর্মঠ লোক,তিনি জেলে অনেক কাজ করেছেন।তিনি বেশ বিশ্বাস যোগ্য ব্যাক্তি।এই সমস্ত কিছুর ভিত্তিতেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আজ তাকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন।"




Conclusion:
Last Updated : Jul 31, 2019, 9:31 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.