কলকাতা, 5 ফেব্রুয়ারি: ব্যাংকক পাটায়া মানেই বাঙালির কাছে ভ্রমণের স্বাদ। হরেক রকমের খাওয়ারের পাশাপাশি সমুদ্র-সবই যেন নজর কাড়া। তাই তাইল্যান্ড বাঙালির কাছে অন্যতম আকর্ষণ কেন্দ্র। তবে এবার আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় গেলেই আমজনতা পেয়ে যাবেন ব্যাংককের স্বাদ। পাশাপাশিই রয়েছে তাইল্যান্ডের উপন্যাস পড়ার সুযোগও। তাই বইমেলায় যেমন চলছে বইয়ের কেনা-বেচা তেমনই প্রথমবার তাইল্যান্ডের স্টল দেখে, একফাঁকে শিখে যাচ্ছেন তাই ভাষাও (Thailand Stall at Kolkata Book Fair 2023) ।
কলকাতা বইমেলা শুধুমাত্র কলকাতার নয় সেখানে যেমন দেখা যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাবলিশার্সের ভিড় তেমনই থাকে রাশিয়া-অস্ট্রেলিয়া ফ্রান্স-সহ বিদেশেরও বিভিন্ন পাবলিশার্স। আর সেই সব স্টলেও উপচে পড়ে বইপ্রেমীদের ভিড়। কার্যত সেই একই দৃশ্য ধরা পরল 46তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় প্রথমবার অংশ নেওয়া তাইল্যান্ড স্টলে। তাইল্যান্ড লেখকদের বই নাড়াচাড়া করে খেলে ও ছবি তুলে যাচ্ছেন ওই বইপ্রেমীরা। মাছে-ভাতে বাঙালি কিনছে তাইল্যান্ডের রান্নার বইও, পড়ছে তাই খাবারের ধরন। আর তা দেখেই খুশি তাইল্যান্ডের পাবলিশার্স।
একদিকে যেমন প্রথমবারের জন্য অংশ নিয়ে উৎসাহিত তাঁরা তেমনি কলকাতাবাসীর সঙ্গেও আলাপ করে সম্প্রীতির হাসি তাঁদের মুখে। তাই কনসোলেট জেনারেল নাপাচারাপাট কুলরাকামপুসিরি জানান, ব্যক্তিগতভাবে আমি প্রচণ্ড উৎসাহে রয়েছি। এই বিষয়টার আমি প্রজেক্ট ম্যানেজার। প্রথমবার কলকাতা বইমেলায় স্টল দিয়ে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে আলাপ করে ভালোই লাগছে। স্টলে তাইল্যান্ডের ওপর বিভিন্ন বই সাজানো রয়েছে। মানুষ এসে ঘুরে দেখছেন। তাই খাবার, সেখানের রান্নার বই, তাই ম্যাসাজ ছাড়াও তাইল্যান্ডের বিভিন্ন উপন্যাস রয়েছে দোকানে। প্রথমবার স্টল দিয়ে খুব ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে। আশা করছি আগামিদিনে আরও সাড়া পাওয়া যাবে। এখানকার মানুষ তাইল্যান্ড নিয়ে খুবই উৎসাহী। সেখানকার ট্যুরিজম, তাই ভাষা নিয়ে অনেকে জিজ্ঞেস করেছেন তাঁকে।
আরও পড়ুন: ময়দান টু সল্টলেক, বইমেলার একাল-সেকালে টলি-তারকাদের স্মৃতিচারণ
তবে শুধুই বই কেনা নয়, পাশাপাশি তাঁরা ব্যবস্থা করেছেন বিভিন্ন খেলারও। কারণ বাঙালি খাবাব খাওয়ার পাশাপাশি খেলতেও ভালোবাসেন। তাই বিভিন্ন সব খেলার উপকরণ তাঁরা সাজিয়েছেন 8 থেকে 80 জন। সেই খেলার জন্য রীতিমতো ভিড় জমে গিয়েছে সেখানে। তবে এই খেলাটা কী? তাই শব্দ লেখা রয়েছে ইংরেজিতে, তার পাশাপাশি রয়েছে কিছু ছবি। শব্দ আর ছবি এক সঙ্গে মেলাতে হবে। তাইল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গা, খাবারের ছবি রয়েছে। কমপক্ষে 8 থেকে 10টা ছবি মেলাতে পারলেই রয়েছে পুরস্কার।
তিনি আরও বলেন, "আমাদের এখানে একটা ফটোবুথ রয়েছে। যাঁরা এখানে আসবেন, আমাদের স্টলকে সঙ্গে নিয়ে ছবি তুলে হ্যাশ-ট্যাগ দিয়ে ছবি পোস্ট করতে পারেন। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ আমাদের ট্যাগ করে ছবি পোস্ট করেছেন। আশা করছি আরও সাড়া মিলবে। বিজেতাদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার রয়েছে। আগামী 24 ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে জয়ীদের নাম।" বড়দের পাশাপাশি বাচ্চারও এসেছে কলকাতা বইমেলায় ঘুরতে ৷ এক বাচ্চা তাইল্যান্ডের এই স্টলে ঘুরে বেশ আনন্দ পেয়েছে। সে বলে, "আমি 2019 সালে তাইল্যান্ডে গিয়েছিলাম। এখন এখানে এসে বেশ ভালো লাগছে আমি অনেক খেলাও খেলেছি, তাই ভাষা শিখেছি ৷ বেশ ভালো লাগছে।"
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়াই বইমেলা প্রাঙ্গণে জমিয়ে চলছে রকমারি জিনিসের বিকিকিনি
তবে শুধু আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় তাইল্যান্ডের প্রবেশ নয় এর পাশাপাশি যদি কখনও কেউ ভবিষ্যতে কলকাতা তাইল্যান্ডের বইমেলায় অংশ নিতে চান সে বিষয়ে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, "কোনও ভারতীয় পাবলিশার্স যদি তাইল্যান্ড বইমেলায় অংশ নিতে চান অবশ্যই বলতে পারেন। আমরা নিশ্চয়ই ভেবে দেখব।"