কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর : নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ কিন্তু 14 বছর হয়ে গেলেও স্কুলে যোগ দিতে পারছিলেন না ৷ DI -কে ওই শিক্ষকের নিয়োগের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন বিচারপতি শম্পা সরকার ৷ এরপরই আজ স্কুলে যোগ দেন ওই শিক্ষক ৷
2005 সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন বিদ্যাসাগর পূর্ব করঞ্জি হাইস্কুলে বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেন সজলকান্তি মাইতিকে ৷ এই সজলকান্তি মাইতি প্রতিবন্ধী ৷ কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই তাঁর প্রতিবন্ধকতার জন্য স্কুলের পরিচালন কমিটির সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় ৷ কমিটি জানায়, সজলবাবুর প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট জাল ৷ মিথ্যে কথা বলে চাকরি পেয়েছেন তিনি ৷ তাই স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷ 2006 সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন সজলবাবু ৷ 2008 সালে হাইকোর্ট DI -কে জানায়, সজলবাবুকে ঢুকতে দেওয়া না হলে স্কুলের সমস্ত অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে ৷ সেই ভয়ে ওই বছরই সজলকে স্কুলে ঢুকতে দেয় পরিচালন কমিটি ৷ কিছুদিন পর থেকে ফের স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় ৷ তারা জানায়, মামলা না তুললে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না সজলবাবুকে ৷ ফলে ফের স্কুলে ঢোকা বন্ধ হয়ে যায় সজলের ৷
2018 সালে সজল পুনরায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৷ আজ মামলাটি বিচারপতি শম্পা সরকারের সিঙ্গল বেঞ্চে ওঠে ৷ মামলাকারীর তরফে আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরি বলেন, "কারও প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট ঠিক কিনা সেটা দেখার এক্তিয়ার কি কোনও স্কুল কর্তৃপক্ষের আছে? আইনত SSC যাকে নিয়োগ করে তার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷" মামলাকারীর বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা জানিয়ে আইনজীবী বলেন, "আমার মক্কেল নিজের ইচ্ছায় স্কুলে যাননি এমন তো নয় ৷ তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ তাহলে এতদিনের বেতন কেন পাবেন না ?"
মামলাটি শোনার পর সজলবাবু যাতে আজই স্কুলে যোগ দিতে পারেন তার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের DI -কে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি শম্পা সরকার ৷ পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র খতিয়ে দেখে পাঠালে এতদিনের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে আদালতে জানান DI ৷