ETV Bharat / state

হাইকোর্টের নির্দেশ, 14 বছর পর চাকরিতে যোগ দান শিক্ষকের - Verdict of Calcutta High Court

স্কুল সার্ভিস কমিশন বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছিল ৷ কিন্তু প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট জাল জানিয়ে স্কুলে ঢুকতে দিচ্ছিল না কর্তৃপক্ষ ৷ আজ হাইকোর্টের নির্দেশে 14 বছর পর চাকরিতে যোগ দান করলেন সেই শিক্ষক ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Sep 4, 2019, 9:42 PM IST

কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর : নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ কিন্তু 14 বছর হয়ে গেলেও স্কুলে যোগ দিতে পারছিলেন না ৷ DI -কে ওই শিক্ষকের নিয়োগের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন বিচারপতি শম্পা সরকার ৷ এরপরই আজ স্কুলে যোগ দেন ওই শিক্ষক ৷

2005 সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন বিদ্যাসাগর পূর্ব করঞ্জি হাইস্কুলে বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেন সজলকান্তি মাইতিকে ৷ এই সজলকান্তি মাইতি প্রতিবন্ধী ৷ কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই তাঁর প্রতিবন্ধকতার জন্য স্কুলের পরিচালন কমিটির সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় ৷ কমিটি জানায়, সজলবাবুর প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট জাল ৷ মিথ্যে কথা বলে চাকরি পেয়েছেন তিনি ৷ তাই স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷ 2006 সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন সজলবাবু ৷ 2008 সালে হাইকোর্ট DI -কে জানায়, সজলবাবুকে ঢুকতে দেওয়া না হলে স্কুলের সমস্ত অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে ৷ সেই ভয়ে ওই বছরই সজলকে স্কুলে ঢুকতে দেয় পরিচালন কমিটি ৷ কিছুদিন পর থেকে ফের স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় ৷ তারা জানায়, মামলা না তুললে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না সজলবাবুকে ৷ ফলে ফের স্কুলে ঢোকা বন্ধ হয়ে যায় সজলের ৷

2018 সালে সজল পুনরায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৷ আজ মামলাটি বিচারপতি শম্পা সরকারের সিঙ্গল বেঞ্চে ওঠে ৷ মামলাকারীর তরফে আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরি বলেন, "কারও প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট ঠিক কিনা সেটা দেখার এক্তিয়ার কি কোনও স্কুল কর্তৃপক্ষের আছে? আইনত SSC যাকে নিয়োগ করে তার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷" মামলাকারীর বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা জানিয়ে আইনজীবী বলেন, "আমার মক্কেল নিজের ইচ্ছায় স্কুলে যাননি এমন তো নয় ৷ তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ তাহলে এতদিনের বেতন কেন পাবেন না ?"

মামলাটি শোনার পর সজলবাবু যাতে আজই স্কুলে যোগ দিতে পারেন তার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের DI -কে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি শম্পা সরকার ৷ পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র খতিয়ে দেখে পাঠালে এতদিনের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে আদালতে জানান DI ৷

কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর : নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ কিন্তু 14 বছর হয়ে গেলেও স্কুলে যোগ দিতে পারছিলেন না ৷ DI -কে ওই শিক্ষকের নিয়োগের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন বিচারপতি শম্পা সরকার ৷ এরপরই আজ স্কুলে যোগ দেন ওই শিক্ষক ৷

2005 সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন বিদ্যাসাগর পূর্ব করঞ্জি হাইস্কুলে বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করেন সজলকান্তি মাইতিকে ৷ এই সজলকান্তি মাইতি প্রতিবন্ধী ৷ কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই তাঁর প্রতিবন্ধকতার জন্য স্কুলের পরিচালন কমিটির সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় ৷ কমিটি জানায়, সজলবাবুর প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট জাল ৷ মিথ্যে কথা বলে চাকরি পেয়েছেন তিনি ৷ তাই স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷ 2006 সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন সজলবাবু ৷ 2008 সালে হাইকোর্ট DI -কে জানায়, সজলবাবুকে ঢুকতে দেওয়া না হলে স্কুলের সমস্ত অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে ৷ সেই ভয়ে ওই বছরই সজলকে স্কুলে ঢুকতে দেয় পরিচালন কমিটি ৷ কিছুদিন পর থেকে ফের স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় ৷ তারা জানায়, মামলা না তুললে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না সজলবাবুকে ৷ ফলে ফের স্কুলে ঢোকা বন্ধ হয়ে যায় সজলের ৷

2018 সালে সজল পুনরায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৷ আজ মামলাটি বিচারপতি শম্পা সরকারের সিঙ্গল বেঞ্চে ওঠে ৷ মামলাকারীর তরফে আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরি বলেন, "কারও প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট ঠিক কিনা সেটা দেখার এক্তিয়ার কি কোনও স্কুল কর্তৃপক্ষের আছে? আইনত SSC যাকে নিয়োগ করে তার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷" মামলাকারীর বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা জানিয়ে আইনজীবী বলেন, "আমার মক্কেল নিজের ইচ্ছায় স্কুলে যাননি এমন তো নয় ৷ তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ তাহলে এতদিনের বেতন কেন পাবেন না ?"

মামলাটি শোনার পর সজলবাবু যাতে আজই স্কুলে যোগ দিতে পারেন তার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের DI -কে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি শম্পা সরকার ৷ পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র খতিয়ে দেখে পাঠালে এতদিনের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে আদালতে জানান DI ৷

Intro:১৪ বছর পরে স্কুলে যোগদিতে পারলেন শিক্ষক Body:মানস নস্কর -


স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ দিলেও ১৪ বছর ধরে স্কুলে যোগদিতে পারছিলেন না শিক্ষক,হাইকোর্টের নির্দেশে আজ যোগ দিলেন স্কুলে

কলকাতা ৪ সেপ্টেম্বর ঃ
১৪ বছর ধরে স্কুলে ঢুকতে পারছিলেন এক শিক্ষক। DIকে হাইকোর্টের নির্দেশ, আজকেই স্কুলে যোগদানের ব্যাবস্থা করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে যোগ দিলেন শিক্ষক।

২০০৫ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে বিদ্যাসাগর পূর্ব করঞ্জি হাইস্কুলে বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত হন সজল কান্তি মাইতি।কিন্ত কিছুদিন পর থেকেই পরিচালন কমিটির সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় সজল বাবুর।কমিটি বলে তোমার যে প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট রয়েছে সেটা জাল।মিথ্যা কথা বলে তুমি চাকরি পেয়েছো।তোমার সার্টিফিকেট আমরা মানিনা। তাই তোমাকে স্কুলে ঢুকতে দেবো না আমরা।বাধ্য হয়ে ২০০৬ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সজল কান্তি মাইতি। ২০০৮ সালে হাইকোর্ট DIকে নির্দেশ দেয় সজল বাবুকে ঢুকতে না দেওয়া হলে স্কুলের সমস্ত অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে।সেই ভয়ে ২০০৮ সালে সজল বাবুকে স্কুলে ঢুকতে দেয় পরিচালন কমিটি। কিন্ত এর কিছুদিন পর থেকেই স্কুল কতৃপক্ষ জানায় মামলা তুলে না নিলে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ফলে আবার বন্ধ হয়ে যায় স্কুলে ঢোকা। ২০১৮ সালে পুনরায় তিনি আবার হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

আজ মামলাটি বিচারপতি শম্পা সরকারের সিংগল বেঞ্চে উঠলে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী বলেন,"একজনের প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট ঠিক আছে কিনা সেটা দেখার এক্তিয়ার কি কোনো স্কুল কতৃপক্ষের আছে? আইনত ssc যাকে নিয়োগ করে তার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে না স্কুল কতৃপক্ষ। রেকমেন্ডেশন পাওয়ার একজন যোগদান করলো, কাজ শুরু করলো তারপর তাকে কেনো ঢুকতে দেওয়া হবে না?যেহেতু আমার মক্কেল নিজের ইচ্ছায় স্কুলে যাইনি তা নয়।পুলিশ, প্রশাসনকে জানিয়েও যখন কোনো লাভ হয়নি। তখন কেনো এতো দিনের বেতন তিনি পাবেন না? "
বিচারপতি শম্পা সরকার সমস্ত কিছু দেখার পর পূর্ব মেদিনীপুরের DIকে নির্দেশ দেন আজই শিক্ষক যাতে স্কুলে যোগদিতে পারেন তার ব্যাবস্থা করতে। পাশাপাশি DIকোর্টে বলেছেন স্কুল কতৃপক্ষ কাগজপত্র খতিয়ে দেখে পাঠালে এতদিনের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা করে দেবেন।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.