কলকাতা, 22 জুন: উদ্দেশ্য ছিল লস্কর-ই-তইবা প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ ইন কমান্ডার হাফিজ মহম্মদ সইদের সঙ্গে দেখা করার । সেই উদ্দেশ্যে পাকিস্তানে যেতে চেয়েছিল তানিয়া পারভিন । তার জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করেছিল । উত্তর 24 পরগনার বাদুড়িয়ায় পারভিনকে জেরা করে এমন সব তথ্য পাচ্ছে NIA। পাশাপাশি তানিয়া NIA-র কাছে আবেদন করেছে জেলে বসেই মাস্টার ডিগ্রির পড়াশোনা করতে চায় সে। আজ তাকে আদালতে তোলা হলে 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক ।
গত 19 মার্চ বাদুড়িয়ার মালেপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় 23 বছরের তানিয়াকে । ভাই কলেজ ছাত্র । তারা দুই বোন । বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করে । একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই তার চরিত্রগত বেশ কিছু পরিবর্তন দেখা যায় বলে জানা গেছে । গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ওই সময় ডার্কওয়েবের ব্যবহার জানতে পারেন তানিয়া। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই তার মধ্যে ধর্মের বিষয়ে উগ্রতা দেখা যায়। মানুষজনের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেয় সে। স্কুলের গণ্ডি টপকে কলকাতার মৌলানা আজাদ কলেজে ভরতি হয় । সেখান থেকে 67 শতাংশ নম্বর পেয়ে স্নাতক ডিগ্রি পায় । পরে ভরতি হয় স্নাতকোত্তরস্তরে। তানিয়াকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় একটি ডায়েরি, দুটি মোবাইল ফোন, দুটো সিম কার্ড, ছবি এবং বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল নম্বর। জানা যায় সেই ঘনঘন যোগাযোগ করত পাকিস্তানে। এমনকি তার বিরুদ্ধে হানিট্রাপের অভিযোগও ওঠে ।
শোনা যায়, পশ্চিম ভারতের সেনাবাহিনীর একজনের সঙ্গে তার চ্যাটের রেকর্ড পেয়েছে গোয়েন্দারা। মূলত হানিট্রাপের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গ স্পেশাল টাস্কফোর্সের কাছ থেকে নিজেদের রিমান্ডে নেয় NIA। 10 দিনের রিমান্ডে তাকে জেরা করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। NIA সূত্রে জানা এমনটাই জানা গিয়েছে । তাকে হেপাজতে নেওয়ার পর বাদুড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে গোয়েন্দারা। NIA জানতে পেরেছে একজন লিংকম্যানের মাধ্যমে তার সঙ্গে লস্কর-ই-তইবা শীর্ষনেতাদের যোগাযোগ হতো। সেই লিংকম্যানের খোঁজ করতে চারটি রাজ্যে নজরদারি শুরু করেছে গোয়েন্দারা ।