কলকাতা, 28 এপ্রিল : নতুন করে নির্মাণ করা হবে টালা ব্রিজ । ব্রিজটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছিল অনেক আগেই । পূর্ব রেলের তরফে খবর, 27 এপ্রিল ব্রিজের যেই অংশটি রেল লাইনের উপর দিয়ে গেছে সেই অংশটি ভেঙে ফেলার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে । এই কাজে রাজ্য সরকারকে সার্বিকভাবে সহায়তা করেছে পূর্ব রেল ।
ওভার ব্রিজের এই অংশটি টালা ও চক্র রেলের বাগবাজার স্টেশনের মধ্যে অবস্থিত । প্রযুক্তিগতভাবে এই অংশটিতে আটটি স্প্যান (span) রয়েছে । লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন । বন্ধ রয়েছে ট্রেন পরিষেবাও । তবে অত্যাবশ্যক জিনিসপত্র ও ওষুধের সরবরাহ বজায় রাখতে ছাড় দেওয়া হয়েছে মালগাড়ি বা পার্সেল ট্রেনগুলিকে । ব্রিজ ভাঙার কাজের জন্য এই রুটে নিয়মিত ট্র্যাফিক ও পাওয়ার ব্লকের মাধ্যমে সবক'টি মালবাহী ট্রেনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয় ।
পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন যে, "ব্রিজ ভাঙার কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় তাই কাজ শুরু করার পূর্বে গঠন করা হয় একটি টাস্কফোর্স দল । পুরো কাজটিকে সুসম্পন্ন করার জন্য রাজ্য সরকারের ইঞ্জিনিয়র ও পূর্ব রেলের ইঞ্জিনিয়রদের দল একসঙ্গে কাজ করেন ।" অন্যদিকে, বড় মালবাহী গাড়িগুলি যাতে সহজেই যাতায়াত করতে পারে সেজন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পূর্ব রেলের তরফে একটি লেভেল ক্রসিং গেট তৈরি করা হয় । পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করা হয় পূর্ব রেলের তরফে । যেমন-পূর্ব রেলের বিভিন্ন বিভাগের ও হেডকোয়ার্টারের ইঞ্জিনিয়র ও আধিকারিকরা পুরো বিষয়টির উপর নজর রেখেছিলেন ।
কাজটিকে সুষ্ঠভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্র্যাফিক ও পাওয়ার ব্লক নিতে রাজ্য সরকারকে সহায়তা করে পূর্ব রেল কতৃপক্ষ । ভাঙার কাজের জন্য ওভারহেড তার ও কেবল সরানোর কাজেও সহায়তা করে পূর্ব রেল । অন্যদিকে সল্টগলা স্লাইডিং ও কশিপুর গুডস শেড থেকে মালগাড়ি নিয়ন্ত্রণের কাজেও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় পূর্ব রেল কতৃপক্ষ । ব্রিজ ভাঙতে সময় লাগবে প্রায় দু'বছরের কাছাকাছি । তাই আগামী দু'বছর কোন পথ ধরে বাস ও অন্যান্য যান চলাচল করবে তার রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে ।