কলকাতা, 14 ডিসেম্বর: মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নির্বাচনের বৈঠকে উপস্থিত হচ্ছেন না বলে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এ দিন সোশাল মিডিয়ায় এই নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন তিনি ৷ সেখানেই অনুপস্থিতির কথা জানিয়েছেন ৷ পাশাপাশি কেন যাচ্ছেন না, সেই কারণ উল্লেখও করেছেন ৷
মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নির্বাচনের জন্য আজ দুপুর 3টের সময় নবান্নে বৈঠক রয়েছে ৷ ওই বৈঠকের পৌরহিত্য করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বিরোধী দলনেতা হিসেবেই ওই বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য় সরকারের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ৷ কিন্তু তিনি সেখানে উপস্থিত হবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ৷
কেন তিনি উপস্থিত হবেন না, সোশাল মিডিয়ায় সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর দাবি, মানুষের চোখে ধুলো দিতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে ৷ আসলে স্বজনপোষণ করা হবে ৷ এক সদস্য নিয়োগে যে তিনটি নাম দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন বাসুদেব বন্দ্য়োপাধ্যায় ৷ যিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের ব্যক্তি ৷ সেই কারণে অবসরের পর বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্য তথ্য কমিশনার করা হয়েছিল ৷ এবার তাঁকে মানবাধিকার কমিশনে আনার ছক কষা হয়েছে ৷
এখানে তিনি আদালতের বক্তব্যও তুলে ধরেছেন ৷ ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গে আদালত রাজ্য মানবাধিকার কমিশন নিয়ে কী বলেছিল, সেই বক্তব্য তুলে ধরেছেন তিনি ৷ রাজ্যের মানবাধিকার কমিশন যে কোনও কাজের নয়, তা ওই মামলার শুনানির সময় আদালতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলে শুভেন্দুর দাবি ৷ তাঁর আরও বক্তব্য, গত দেড় দু’বছরে বগটুই হত্যাকাণ্ড, এগরা বিস্ফোরণ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা এবং জয়নগরের দলুয়াখাকিতে তৃণমূল নেতা খুনের পর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি ৷
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, রাজ্য সরকারের পক্ষে যাবে এমন ঘটনাগুলির ক্ষেত্রেই ঘুম থেকে জেগে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশন ৷ এই কমিশন রাজ্য সরকারের হাতের পুতুল ৷ বিজেপি কার্যকর্তা ও অন্য বিরোধী দলগুলির নেতারা আক্রান্ত হলে মানবাধিকার কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয় না বলে শুভেন্দুর অভিযোগ ৷ তাই তিনি এই বৈঠকে যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা ৷
আরও পড়ুন: