কলকাতা, 7 জুন: জোর করে শোকাতুর পরিবারের সদস্যদের কলকাতায় আনা হচ্ছে ৷ এটা খুবই লজ্জাজনক, দুঃখজনক এবং নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটকে গিয়ে হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন ৷ এরপর আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দুপুর 3টের সময় একটি অনুষ্ঠানে তিনি নিহত-আহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দেবেন ৷ এই অনুষ্ঠানকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু জানান, চেকগুলি সংশ্লিষ্ট বিডিও অফিসে না-দিয়ে এই অবস্থায় তাদের জোরজবরদস্তি কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে ৷
আজকের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে শুভেন্দু জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হ্যান্ডমাইক হাতে নিয়ে ভাষণ দেবেন ৷ মঞ্চের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি এবং রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে গালিগালাজ করবেন বলেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে ৷ বিরোধী দলনেতার কথায়, "মুখ্যমন্ত্রী এপাং-ওপাং-ঝপাং করবেন ৷ আর তার জন্য এই শোকাতুর পরিবারগুলিকে কলকাতায় আসতে হবে !"
উল্লেখ্য, 2 জুন ওড়িশার বালাসোরের বাহানাগা বাজারের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে ৷ তাতে মৃত্যু হয়েছে রাজ্যের বহু পরিযায়ী শ্রমিকের ৷ এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, 2020 সালে করোনার পর ভারতীয় রেল শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু করেছিল ৷ তখন দেখা গিয়েছিল, এই রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ন'গুণ বৃদ্ধি পেয়ে রাজ্যে 45 লক্ষ হয়েছিল ৷ গত দু'বছরে তা আরও বেড়ে 50 লক্ষেরও বেশি হয়েছে ৷ বিগত কয়েক বছরে ভারতে বড় বড় দুর্ঘটনায় মিজোরাম থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত বেশিরভাগই বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ।
শুভেন্দুর আরও দাবি, বিভিন্ন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বেশিরভাগই মালদা,মুর্শিদাবাদ থেকে শুরু করে উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা। বিধানসভা নির্বাচনের সময় এঁদেরই এনআরসি'র ভয় দেখিয়ে উসকানি দিয়েছিলেন মমতা। তাই এই সমস্ত শ্রমিকরা নিজেদের খরচে রাজ্যে এসে ভোট দিয়েছিলেন। ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা-সহ সাম্প্রতিককালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া বিপর্যয়ে তাঁদেরই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি বিরোধী দলনেতার ৷
আরও পড়ুন: সত্য সামনে আসুক, যেন ধামাচাপা না দেওয়া হয়; কটকে বললেন মমতা