কলকাতা, 13 মার্চ: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Bengal Recruitment Scam) প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার নাম জড়াচ্ছে ৷ বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যে গ্রেফতারও হয়েছেন ৷ এই নিয়ে বিজেপি (BJP)-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বারবার তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হচ্ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে রবিবার পালটা সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) ৷ সরাসরি তোপ দেগেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ করেছিলেন যে শুভেন্দুও জড়িত এই নিয়োগ দুর্নীতিতে ৷ যদিও সোমবার কুণালের অভিযোগকে আমলই দিলেন না শুভেন্দু ৷
এদিন মুকুল রায়ের (Mukul Roy) দলত্যাগ সংক্রান্ত বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেই কাজে তিনি আদালতে এসেছিলেন ৷ তার পর হাইকোর্ট চত্বরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ৷ সেখানেই তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় ৷ তখন তিনি বলেন, ‘‘আমি কোনও চোর, ডাকাত, অশিক্ষিতদের কথার উত্তর দিই না ।’’
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলে কটাক্ষ করেন ৷ এদিন সেই প্রসঙ্গও তোলেন ৷ পাশাপাশি টেনে আনেন 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) হারানোর প্রসঙ্গ ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি ওই কোম্পানির (তৃণমূল) মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি । তিনি কিছু মন্তব্য করুন, আমি তার উত্তর দেব ।’’
উল্লেখ্য, রবিবার কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, গ্রুপ-সি তে শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ 150 জনের চাকরি হয়েছিল ৷ শুভেন্দুর সুপারিশেই ওই চাকরি হয় । যাঁদের মধ্যে 55 জনের চাকরি গিয়েছে আদালতের নির্দেশে । কাঁথি, পটাশপুর, খেজুরি, ভূপতিনগর, দেশপ্রাণ বিভিন্ন এলাকার চাকরিপ্রার্থী সেই তালিকায় আছেন ৷
কুণাল ঘোষ রবিবার একটি নামও উল্লেখ করেন । সঞ্জীব সুকুল নামের ওই ব্যাক্তি শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে তিনি দাবি করেন । জানান, সঞ্জীব শুভেন্দু অধিকারীর ডান হাত । গোটা মেদিনীপুর জানে । চাকরি নিয়ে যদি ইডি তদন্ত করে, তাহলে এই তালিকা কেন বাদ যাবে, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন কুণাল । তাঁর আরও প্রশ্ন ছিল, তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যখন পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তখন শুভেন্দু অধিকারী কেন ছাড় পাবেন ?
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত শুভেন্দু, বিস্ফোরক অভিযোগ এনে তদন্তের দাবি কুণালের