কলকাতা, 23 নভেম্বর: রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান (WB Governor Oath Taking Ceremony) ঘিরেও চড়ল রাজনীতির পারদ ৷ আমন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও এই অনুষ্ঠানে তাঁর পক্ষে যোগ দেওয়া সম্ভব হল না বলে দাবি করেছেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ বুধবারের এই অনুষ্ঠানে কেন হাজির থাকতে পারলেন না তিনি ? ইতিমধ্যেই একাধিক টুইট করে এই বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন শুভেন্দু ৷ ঠিক কী বলেছেন তিনি ? টুইটে শুভেন্দু লিখেছেন, "আমার পক্ষে এদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান করা সম্ভব হল না ৷ কারণ, আমার পক্ষে এমন আপত্তিকর ব্যক্তিদের পাশে আসন গ্রহণ করা সম্ভব নয় ৷ সম্মানীয় রাজ্যপালের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, তাঁর সুবিধা মতো তিনি যেন আমাকে পৃথক বৈঠকের সময় দেন ৷ এমনকী, তিনি যদি আমাকে আজও আলাদা দেখা করার জন্য সময় দেন, তাহলেও আমার কোনও সমস্যা নেই ৷"
-
Heartiest Congratulations to Dr CV Ananda Bose as he takes oath as the Governor of West Bengal.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 23, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
The Information & Cultural Affairs Dept; WB Govt has made the arrangements for the oath taking ceremony.
Seating arrangements as per the Minister in Charge @MamataOfficial's whim: pic.twitter.com/ovbTMqGsif
">Heartiest Congratulations to Dr CV Ananda Bose as he takes oath as the Governor of West Bengal.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 23, 2022
The Information & Cultural Affairs Dept; WB Govt has made the arrangements for the oath taking ceremony.
Seating arrangements as per the Minister in Charge @MamataOfficial's whim: pic.twitter.com/ovbTMqGsifHeartiest Congratulations to Dr CV Ananda Bose as he takes oath as the Governor of West Bengal.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 23, 2022
The Information & Cultural Affairs Dept; WB Govt has made the arrangements for the oath taking ceremony.
Seating arrangements as per the Minister in Charge @MamataOfficial's whim: pic.twitter.com/ovbTMqGsif
টুইটের পাশাপাশি এই ইস্যু নিয়ে বিধানসভায় আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকেও মুখ খুলেছেন শুভেন্দু ৷ তাঁর বক্তব্যে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন দুই বিরোধী দলনেতা জ্যোতি বসু (Jyoti Basu) এবং সিদ্ধার্থশংকর রায়ের (Siddhartha Shankar Ray) প্রসঙ্গ ৷ শুভেন্দুর বক্তব্য হল, রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁর বসার যে বন্দোবস্ত করা হয়েছিল, তা বিরোধী দলনেতার পদের প্রাপ্য মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে ৷ আর এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Mamata Banerjee) দায়ী করেছেন তিনি ৷ একইসঙ্গে, এই প্রসঙ্গে উপস্থিত সকলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, জ্য়োতি বসু, সিদ্ধার্থশংকর রায়ের মতো মানুষও কোনও দিন বিরোধী দলনেতার পদের সঙ্গে আপস করেননি ৷
-
I won't be attending the ceremony as it's not possible for me to take a seat next to such objectionable persons.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 23, 2022 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
I've requested the Hon'ble Governor to kindly give me an appointment separately at any time according to his convenience. It's fine even if he asks me to visit today.
">I won't be attending the ceremony as it's not possible for me to take a seat next to such objectionable persons.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 23, 2022
I've requested the Hon'ble Governor to kindly give me an appointment separately at any time according to his convenience. It's fine even if he asks me to visit today.I won't be attending the ceremony as it's not possible for me to take a seat next to such objectionable persons.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) November 23, 2022
I've requested the Hon'ble Governor to kindly give me an appointment separately at any time according to his convenience. It's fine even if he asks me to visit today.
আরও পড়ুন: বঙ্গে শুরু 'আনন্দ' পর্ব, শপথ নয়া রাজ্যপালের
শুভেন্দুর কথায়, "সাংবিধানিক প্রোটোকল মেনে কিছু পদাধিকারীকে বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় ৷ বিরোধী দলনেতা তাঁদের অন্যতম ৷ এদিনের অনুষ্ঠানে নির্বাচিত কিছু ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল ৷ তাঁদের মধ্যে কয়েকজন পদাধিকারী ছিলেন ৷ আর ছিলেন দু'জন বিধায়ক ! তাঁরা হাউসের (বিধানসভার) ভিতর বিজেপি এবং হাউসের বাইরে তৃণমূল ! এমন দুই ব্যক্তির পাশে আমাকে বসার জায়গা দেওয়া হয় ৷ তাছাড়া, রাজ্যসভায় তৃণমূলের দুই সাংসদ আছেন ৷ আমার বসার আসন ছিল তাঁদেরও পিছনে ৷ এতে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনও সমস্যা নেই ৷ কিন্তু, আমি আমার পদমর্যাদার সঙ্গে কোনও আপস করব না ৷ আমার আগে অবশ্য কয়েকজন আপস করেছিলেন ৷ কিন্তু, জ্যোতি বসু বা সিদ্ধার্থশংকর রায়রা কোনও দিন আপস করেননি ৷ আমিও তা করব না ৷"
উল্লেখ্য, এদিন শুভেন্দু যে দুই বিধায়কের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করেছেন, তাঁরা হলেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস এবং রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ৷ এঁদের দু'জনের পাশেই তাঁর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে দাবি শুভেন্দুর ৷ তাঁর প্রশ্ন, "294 জন বিধায়কের মধ্যে বেছে বেছে কেবলমাত্র এই দু'জনকেই কেন এদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হল" ? শুভেন্দুর ব্যাখ্য়া, 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা' থেকেই এমনটা করা হয়েছে ৷ এবং সবটাই করা হয়েছে রাজ্য়ের তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর অঙ্গুলি হেলনে ! কারণ, এদিনের অনুষ্ঠান আয়োজনের যাবতীয় দায়িত্ব তথ্য-সংস্কৃতি দফতরেরই ছিল ৷ তাছাড়া, এ রাজ্য়ে "একটা পোস্ট কার্ড ছাপাতে হলেও নবান্নের 14তলা থেকে অনুমতি নিতে হয়" বলেও দাবি করেন শুভেন্দু ৷
তবে, এদিন শুভেন্দু যেভাবে জ্যোতি বসু এবং সিদ্ধার্থশংকর রায়ের নাম উল্লেখ করেছেন, তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷ কেন এমনটা মনে করা হচ্ছে ? সম্প্রতি নন্দকুমারের একটি সময়বায় নির্বাচনে সফল হয় বাম-বিজেপি স্থানীয় জোট ! তারপর থেকেই বিজেপি নেতাদের একাংশের মুখে তৃণমূলস্তরে 'তৃণমূল বনাম বাকিরা'-র তত্ত্ব শোনা যাচ্ছে ৷ এমনকী, একটি সংবাদ চ্যানেলের এক প্রতিনিধির প্রশ্নের উত্তরে খোদ শুভেন্দুকেও স্বীকার করতে শোনা গিয়েছে যে গ্রাম বাংলার সংখ্যালঘুরা এখনও বিজেপি-কে সেভাবে ভরসা করতে পারছেন না ৷ সেক্ষেত্রে বামেরা যে তৃণমূলের ভোট কাটতে বিজেপি-এর হাতিয়ার হতে পারে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ এখন সেই তাঁরই মুখে শোনা গেল জ্যোতি বসুর স্তূতি ! বাদ গেলেন না সিদ্ধার্থশংকরও ! তাহলে কি গ্রামের ভোটের আগে শাসকদলের বিরোধিতার প্রশ্নে বিশেষ কোনও বার্তা দিতে চাইলেন শুভেন্দু ? প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট মহলের ৷