কলকাতা, 28 জুলাই: 2015 থেকে 2018-এর মধ্যে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-এর মাধ্যমে যে পরীক্ষা হয়েছে তাতে বিস্তর অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে ফের অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এই বিষয়ে একটি আরটিআই জমা দিতে শুক্রবার টলিগঞ্জের পিএসসি ভবনেও চলে যান শুভেন্দু। আর সেখানে দাঁড়িয়ে, বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করে জানান, এই রাজ্য সরকারের আমলে ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষাতেও কারচুপি হয়েছে ৷ আর তা নিয়েই পরবর্তীকালে পদক্ষেপ করবে বিজেপি বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি ৷
এদিন আরটিআই জমা দিয়ে পিএসসি ভবন থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের তিনি জানান, 2015 থেকে 2018 সালের মধ্যে ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। কে, কত নম্বর পেয়েছিলেন এবং নম্বর সংক্রান্ত আরও যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হবে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও কতজন মেন্স পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর কী ছিল সেই তথ্যও চেয়েছেন তিনি। কতজন ওই পরীক্ষায় পাশ করে ইন্টারভিউতে বসেছেন এবং তাঁরা কত নম্বর পেয়েছিলেন তাও জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
সফল প্রার্থীদের মূল তালিকাও চেয়েছেন তিনি। এদিন শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এই বছরগুলিতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কারণ, শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে এঁরাও বিডিও ছিলেন। তিনি আরও জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি করার পর গত পঞ্চায়েত নির্বাচন তফশিলী জাতি, তফশিলী উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের যাঁরা প্রার্থী ছিলেন তাঁদের তালিকাও তিনি পান এই আরটিআইয়ের ফলে । তিনি বলেন, "আমাকে তো পিএসসির কর্মীরা বলেছেন, এই আমলে চিরকুট পাঠিয়ে চাকরি হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কর্মসূচিতে টেন্ডার দুর্নীতি, মমতাকে কাঠগড়ায় তুললেন শুভেন্দু
শুভেন্দু দাবি করেন, যে ওই তালিকায় 1000-এর উপরে নাম রয়েছে যাঁরা এই সম্প্রদায়ের না হয়েও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এঁরা তৃণমূলের লোক বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেন, "আমি শুরুটা করে দিয়ে গেলাম। আমার কাছে সব তথ্য আছে। পিএসসি আমাকে তথ্য দিতে বাধ্য। আর যদি না দেয় তবে যেখানে যাওয়ার সেখানে যাব।" প্রসঙ্গত, এদিন আরটিআই জমা দিতে এলে বিরোধী দলনেতাকে দেখে ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে টলিগঞ্জ থানার পুলিশের সঙ্গে তাঁর বচসা বাঁধে। যদিও পরে তিনি গেট খুলিয়ে একা গিয়েই আরটিআই জমা দিয়ে আসেন।
এই বিষয়ে তিনি বলেন, "পুলিশ ভয় পেয়েছে। এদের মালিক ভয় পায় এরা তো পাবেই। 21 জুলাই কলকাতা পুলিশ এবং আইপিএস'রা ভালো কাজ করেছে বলে পরশুদিন বডি গার্ড লাইনে মিষ্টি খাওয়ানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কলাটা, মুলোটা পুলিশ পৌঁছে দেয় ৷"