নিউটাউন, 18 অক্টোবর: দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা ৷ কয়লাখনিতে ধস নেমে শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে 302 ধারায় অর্থাৎ খুনের অভিযোগে এফআইআর দায়েরের দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউটাউন মেলা প্রাঙ্গণে সনাতনী দুর্গাপুজো কমিটির পুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ ও অনুপম হাজরা থেকে শুরু করে একাধিক বিজেপি নেতা। এই পুজো নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। হিডকোর পক্ষ থেকে এই পুজোর আয়োজন নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। পরে পুজোর আয়োজন করতে আদালতের দ্বারস্থ হন উদ্যোক্তারা। আদালতের হস্তক্ষেপে পুজো করার অনুমতি মেলে ।
এদিন পুজো উদ্বোধন শেষে শুভেন্দু সাংবাদিকদের বলেন, "মাননীয় কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি একটা শিবচর্চা ডেকেছিলেন ৷ আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমি চলে যাওয়ার পর কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে, দুঃখজনকভাবে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই মৃত্যুর জন্য জিতেন তিওয়ারিকে জেল খাটিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চৈতালি তিওয়ারিকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বেল নিতে হয়েছে। আমার নামে মামলা করতে চেয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট অনুমতি দেয়নি। এখন বেআইনি কয়লা খনির ধসে আট জন মারা গিয়েছেন। আমি মনে করি এই ঘটনার জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে 302 ধারায় এফআইআর হওয়া উচিত।" সাধারণl খুনের মামলায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে এই ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত 11 অক্টোবর বুধবার রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি খনিতে বেআইনিভাবে কয়লা কাটতে গিয়ে ধসে চাপা পড়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিক । সরকারিভাবে তিনজনের দেহ উদ্ধারের কথা স্বীকার করা হয় এবং তাদের ময়নাতদন্ত করা হয়। যদিও বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল প্রথম থেকেই দাবি করছেন সেদিনের ঘটনায় সাতজন মারা গিয়েছেন । বাকি চারজনের দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বিজেপি বিধায়কের এই দাবি অবশ্য মানতে নারাজ রানিগঞ্জ থানা। তাদের মতে ধসে যাঁরা চাপা পড়েছিলেন তাঁদের সবার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । এই প্রসঙ্গেই এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলেছেন শুভেন্দু ৷
আরও পড়ুন : নারায়ণকুড়ি খনি ধসে 3 জনের দেহ উদ্ধার, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রার দাবি মৃত 7