কলকাতা, ১৪ মার্চ : শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বেহালা পূর্বের দায়িত্ব থেকে হঠাৎই নাটকীয় ভাবে সরলেন রত্না চট্টোপাধ্যায় । তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হল সুশান্ত ঘোষ ওরফে বুয়াকে । যাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর । কয়েকদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখি বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপরই দায়িত্ব থেকে রত্নার সরে যাওয়ার ঘটনায় উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন ।
শোভন চট্টোপাধ্যায় BJP-তে যোগ দেওয়ার পরই রত্না চট্টোপাধ্যায়ের উপর অনেকটা নির্ভরশীল ছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই রত্নাকে দায়িত্বভার দিয়েছিলেন । সেইমতো কাজ করে চলেছিলেন রত্নাও । কিন্তু, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বদলাতে থাকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট । শোভন ও বৈশাখির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় BJP-র । কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে ফোঁটা নেন শোভন । যদিও তারপর থেকে BJP ও তৃণমূলের সঙ্গে সম দূরত্ব বজায় ছিল শোভন-বৈশাখির ।
তবে, কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচনের আগেই অন্য সমীকরণ তৈরি হতে শুরু করেছে । ফের শোভনের সঙ্গে BJP-র সখ্যতা তৈরি হয়েছে । ভোটের আগে শোভন BJP-তে সক্রিয় হতে চলেছেন বলেই খবর । এই পরিস্থিতির মধ্যেই বৈশাখির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় তৃণমূল নেতৃত্বের । প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে নাকতলার বাড়িতে বৈঠক করেন বৈশাখি । এরপরে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন । যদিও এগুলিকে রাজনৈতিক বৈঠক বলতে নারাজ তিনি । জানিয়েছিলেন, তাঁর মিল্লি আল আমিন কলেজ নিয়েই কথা হয়েছে ।
বৈশাখির এই দাবিকে মানতে চাইছে না রাজনৈতিক মহল । তাদের মতে, একান্ত বৈঠকগুলিতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উঠেছে । হঠাৎ করে রত্নার সরে যাওয়া এই বৈঠকের ফলশ্রুতি কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । তাহলে কী BJP-র থেকে শোভনকে দূরত্বে রাখার জন্য এই পদক্ষেপ ? এই প্রশ্নও বাদ যাচ্ছে না ।