কলকাতা, 6 মে : পরিকল্পনা নেই 43 দিনেও । লকডাউনের ঘোষণার সময়ও কোরোনা মোকাবিলায় সরকারি প্রস্তুতি ছিল তলানিতে । CPI(M)-র রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র কেন্দ্রীয় সরকারের দিশাহীনতার কথা বলতে গিয়ে কার্যত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন । পরিকল্পনাহীন লকডাউনে ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশের প্রত্যেকটি মানুষ । সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন পড়ুয়া এবং শ্রমিকরা । মাত্র চার ঘণ্টার নোটিসে লকডাউন ঘোষণা করায় মানুষের জীবন বিপন্ন বলে মন্তব্য করেন তিনি ।
কোরোনা নিয়ন্ত্রণে কতটা ব্যর্থ দেশের সরকার তা বলতে গিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র জানান, "ভারতে প্রতি হাজারে পরীক্ষার সংখ্যা 0.28 । ফলে সুপ্ত সংক্রমণ অনুসন্ধানে ভারত এখনও পিছিয়ে আছে বলেই পর্যবেক্ষকদের অভিমত । লকডাউন হল কিন্তু পরীক্ষার হার তেমন বাড়ল না । দেশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও ভয়ংকর । নিম্নমানের কিটের অজুহাতে কোরোনা মোকাবিলায় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে না রাজ্যবাসীর । বহু মানুষের মধ্যে কোরোনার ভাইরাস থাকলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না । অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেবল জানিয়েছে, কোরোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে কেবল পরীক্ষা ।"
সূর্যকান্ত মিশ্র সরকারি টাস্ক ফোর্সের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টের উল্লেখ করে বলেন, দীর্ঘদিন কেটে গেলেও দেশের সরকার পরিকল্পনার কথা জনসমক্ষে বলতে পারছে না । কোরোনা নিয়ন্ত্রণে এবং মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশের সরকার গঠনমূলক কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানতে চায় দেশের শিল্পমহল । 15 কোটি বেকারের কর্মসংস্থানের দিশা কেন্দ্রীয় সরকার এখনও দেখাতে পারেনি । লকডাউন উঠলে কর্মচ্যুত হবেন আরও কিছু মানুষ । তাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র ।