কলকাতা, 21 জুলাই: 21 জুলাই সমাবেশ স্থলের অদূরেই ধর্মতলা মেট্রোর সামনে রাস্তার উপর ঢেলে বিক্রি হচ্ছে নানা সাইজের গেঞ্জি। শহিদের মঞ্চে তখনও উপস্থিত হননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ধীরে ধীরে বিভিন্ন গায়গা থেকে তখনও লোক ভিড় জমাচ্ছেন সভাস্থলের কাছে ৷ কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও তৃণমূল অনুরাগীদের নজর কেড়ে নিচ্ছিল রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন হকার ৷ আসলে শুক্রবার সভামঞ্চের বাইরেও খেলা হল ৷ খেললেন হকাররা ৷ চোখের নিমেষে তাঁরা বিক্রি করলেন 'খেলা হবে' গেঞ্জি ৷ জনপ্রিয় এই স্লোগান লেখা গেঞ্জি পড়েই 21-এর শহিদ স্থলে হাজির মমতা অনুরাগীরা ৷ শুধু কী তাই, সভা ঘিরে ধর্মতলায় কেনাবেচার জন্য বসেছিল মিনি মেলা ৷ লক্ষ্মী লাভে খুশি ব্যবসায়ীরা ৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খেলা হবে স্লোগান জনপ্রিয় হয়েছিল 2021 বিধানসভা নির্বাচনে। সেই স্লোগান এখন যেন পরিণত হয়েছে 'ট্যাগ লাইনে' ৷ 21-এর শহিদ মঞ্চে সেই লেখা গেঞ্জিই ছিল হকারদের মূল হাতিয়ার ৷ যার ফলও মিলল হাতেনাতে ৷ খেলা হবে লেখা 500টা গেঞ্জি বিক্রি হয়ে গেল চোখের নিমেষে ৷ গেঞ্চির দামও পকেট ফ্রেন্ডলি ৷ মাত্র 50 টাকায় ট্রেন্ডি গেঞ্জি কিনতে ছাড়েননি মমতা অনুরাগীরাও ৷ বাজার ভালো হওয়ায় মুখে চওড়া হাসি হকারদের ৷
আরও পড়ুন: একুশে জুলাইয়ে ধর্মতলায় জনস্রোত, কী বার্তা দিলেন মমতা-অভিষেক ? দেখে নিন একনজরে
বারুইপুরের বাসিন্দা রাম শর্মা। বছর তিরিশের এই ব্যক্তি এদিন সকাল 7টা থেকে হাজির হয়েছিলেন ধর্মতলা চত্বরে। পেটপুজোয় খেলেন লুচির সঙ্গে ঘুগনি আর আলুর দম। 4টে লুচি-সহ আলুর দম বা ঘুগনি বিক্রি হচ্ছিল মাত্র 15 টাকায়। বর্ধমান থেকে 72 জনের একটি টিম এসেছেন শুধুমাত্র কলকাতায় ব্যবসার উদ্দেশ্যে। এনারা বিক্রি করছিলেন ভাজা ছোলা, সঙ্গে ছিল চিঁড়ে ভাজাও। দাম শুরু হয়েছিল 10 টাকা থেকে। মিনা মুর্মু নামে এক ছোলা বিক্রেতা জানান, শুক্রবার সকাল 11টায় শহিদ মিনার ময়দান চত্বরে উপস্থিত হন তারা। পরে বেলা গড়াতে শুরু হয় বিক্রিবাট্টা।
খাবার জামাকাপড়ের সঙ্গে এদিন দেদার বিক্রি হয়েছে জুতো, ব্যাগ, জলের বোতল, চশমা, খেলনা। সব মিলিয়ে এদিন জমে উঠেছিল কেনাবেচা। সভা কতটা জমেছিল এবিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও ধর্মতলা চত্বর যে এদিন ছোট একটা মেলার চেহারা নিয়েছিল তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: 'মমতা নারী নির্যাতনকে ছোট ঘটনা বলেন', বাংলা নিয়ে বলতে গিয়ে চোখে জল লকেটের