কলকাতা, 15 মার্চ: "গোটা দেশে সুপার ইমার্জেন্সি চলছে" । নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে এমন মন্তব্যই করতে শোনা গেল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Super Emergency running on said by Bratya Basu) । মঙ্গলবার আদালতে নিয়োগ দুর্নীতির বিচার চলাকালীন বিচারককে মানিক ভট্টাচার্য বলেছিলেন, "একটা চিঠির প্রেক্ষিতে আমায় গ্রেফতার করা হয়েছে । কিন্তু তাতে একজন চাকরিপ্রার্থী বা কারও সই ছিল না ।" সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু এই মন্তব্য করেন ।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক নাম উঠে আসছে । তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন সদস্যের পাশাপাশি অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও নাম প্রকাশ্যে আসছে । তৃণমূল কংগ্রেসের পালটা অভিযোগ, বিজেপি ও সিপিএমের সঙ্গে জড়িত নেতাদের পরিবার ও তাঁদের কাছের মানুষের নামও রয়েছে এই অযোগ্যের তালিকায় । তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ইডি ।
মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু এবং নেত্রী শশী পাঁজা একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন । শশী পাঁজা দাবি করেন, নির্দিষ্টভাবে একটি রাজনৈতিক দল অপপ্রচার চালাচ্ছে । নেতাদের আক্রমণ করা হচ্ছে ৷ তাদের ভাবমূর্তির ক্ষতি করা হচ্ছে । এদিকে বিভিন্ন স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে দেখা গিয়েছে অন্যান্য দলের নেতারা কিন্তু বিভিন্ন কাজের জন্য টাকা নিয়েছেন । তবে আজ তারা বহালতবিয়তে বাইরে ঘুরছেন । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখনও তাদের পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি । অতএব এই রাজ্য কিংবা বাইরে যারা বিজেপি করছে তাদেরকে কোনভাবেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডাকছে না ।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁস বিতর্কে মুখ খুললেন ব্রাত্য, সুকান্তর যোগসূত্র টেনে অন্তর্ঘাতের ইঙ্গিত
এবিষয় তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু বলেন, " শাসকদলের অপরাধ আমরা তিনবারের নির্বাচিত মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর দল করি । সূত্রে শোনা যাচ্ছে, 120 কোটি টাকা ইতিমধ্যে সিজ করেছে ইডি । অনেক নেতাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই । তবে বিজেপির যে নেতাদের নাম উঠে আসছে তাদেরকে জিজ্ঞেসাবাদ করার জন্য কি একবার ডাকা হবে না ? একটা অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । সকালবেলা একটা চিঠি আসবে এবং তাতে বলা হবে আপনি গ্রেফতার । ইমার্জেন্সির সময়তেও এরকম হয়নি । এখন সুপার ইমার্জেন্সি চলছে।"