কলকাতা, 11 অক্টোবর : যে কমিটির কোনও বৈঠক বছরের পর বছর ডাকা হয় না, সেই কমিটিতে থাকা মূল্যহীন। এই যুক্তি দিয়ে অর্থ মন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য পদ ছাড়লেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। ষষ্ঠীর সকালেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মুখ হয়ে উঠলেন রাজ্যসভার এই সাংসদ ৷ শনিবার বিভিন্ন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নতুন সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে অর্থ মন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য করা হয়েছিল সুখেন্দুবাবুকে।
উল্লেখ্য, সংসদের স্থায়ী কমিটির নতুন সদস্যদের নাম ঘোষণার পর থেকেই বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বিজেপির। স্থায়ী কমিটির তালিকায় শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর নাম তৃণমূল সাংসদ হিসেবে রয়েছে । কিন্তু, বিজেপিতে যোগের অভিযোগ তুলে শিশিরবাবুর সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল ৷ সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের 42 জন লোকসভা এবং 16 জন রাজ্যসভা সদস্যের মধ্যে কেন মাত্র এক জনকেই স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এমনকি এ রাজ্যের বিজেপি সাংসদদেরও স্থায়ী কমিটিতে চেয়ারম্যানের পদ মেলেনি। একমাত্র ব্যাতিক্রম তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে কেন্দ্রীয় খাদ্য, গণবণ্টন এবং ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : Dumdum Park Bharat Chakra : মণ্ডপ সজ্জায় বিজেপির ফতোয়া মানব না, হুঁশিয়ারি ফিরহাদের
এইসব বিতর্কের মাঝেই সুখেন্দুশেখর রায় বলেছেন, "দেশের এই ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে কোনও কথাই আমাদের সংসদে বলতে দেওয়া হয় না। নামেই পরামর্শদাতা কমিটি রয়েছে, কিন্তু গত দু'বছর কোনও বৈঠকই ডাকেননি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এক দিকে সংস্কারের নামে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বেচে দেওয়া হচ্ছে। অন্য দিকে কয়েকজন শিল্পপতিকে আরও ধনবান করা হচ্ছে। সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই কথাগুলি বলার জায়গা নেই। ফলে এই কমিটিতে থেকে নিজের সময় নষ্ট করা অর্থহীন। "
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেছেন, "রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে না পেরে বাংলাকে বঞ্চিত করছে বিজেপি। এটা শুধু তৃণমূলের বিষয় নয়। যারা বাংলাকে সোনার বাংলা করতে চেয়েছিল তারা রাজ্যকে তার প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত করে, এমনকি বাংলায় মেকি উন্নয়নের স্বপ্ন দেখালেও কাজের বেলায় একজন কেন্দ্রীয় পূর্ণমন্ত্রী দেয় না। বিজেপির কাছে বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান। সেই ধারা অব্যাহত রেখে স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান-এর ক্ষেত্রেও বাংলাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কাজেই সুখেন্দুশেখর রায়ের সিদ্ধান্ত সঙ্গত এবং বাস্তবসম্মত।"