কলকাতা, 14 অগস্ট: যাদবপুরে প্রথম বর্ষের এক ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ যাদবপুরের ঘটনায় এখন রাজ্যরাজনীতি তোলপাড় ৷ সোমবার এই নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ তারপরেই এই ঘটনায় সরকারের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতার
সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে তিনি অভিযোগ করে বলেন, "সম্প্রতি যাদবপুরে যে ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে, সেটি হয়তো নতুন ৷ তবে এর আগেও বহুবার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। মুক্ত চিন্তায় তো সিসিটিভি লাগানো কোনও বাধা হতে পারে না। এইসব দাবি একেবারে ভিত্তিহীন। চিন্তা তো আর সিসিটিভি-তে দেখা যায় না। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বহু দিনের ট্রাডিশন হয়ে গিয়েছে ছোটখাটো ব়্যাগিং। কিন্তু ইউজিসি জানিয়ে দিয়েছে যে তাও এখন করা যাবে না। যাদবপুরই ইউজিসি নিয়ম বহির্ভূত কাজ করছে। কর্তৃপক্ষের থেকে আরও সংবেদনশীলতার আশা ছিল। সরকারেরও এর পেছনে ইন্ধন রয়েছে। কারণ সরকারও কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে রাজি নয়।
তিনি আরও বলেন, "বহুদিন ধরে যাদবপুরে বামপন্থী এবং অতি বামপন্থী কিছু রাজনৈতিক দল ঘাঁটি করে রেখেছে। এরা ভারত বিরোধী এবং ভারতের সংস্কৃতি বিরোধী ভাবনা চিন্তায় বিশ্বাস করে। বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের এতে জোর করে অংশগ্রহণ করানো হয়। ওখানে এদের একটা মৌরশি পাট্টা চলছে। অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে। প্রয়োজনে এদের ব্যান করতে হবে।"
তিনি বলেন, "শোনা গিয়েছে যে পড়ুয়াদের মাদুলি খুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কে মাদুলি খুলবেন, কে ভগবানে বিশ্বাস করবেন এটা তাঁদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এই ধরনের আচরণ একেবারে শোভনীয় নয়। সরকারের এই বিষয়ে অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। ওই পড়ুয়াকে হত্যা করা হয়েছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাঁদের শাস্তি হওয়া উচিৎ। এই খুনের বিচার হওয়া উচিত।"
আরও পড়ুন: যাদবপুর এখন আতঙ্কপুর, ছাত্রের রহস্যমৃত্যু নিয়ে মমতার নিশানায় মার্কসবাদীরা
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মেইন হস্টেলে বাংলা প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে চলছে তরজা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তারপরেই সংবাদমাধ্যমের সামনে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন সুকান্ত মজুমদার ৷