কলকাতা, 8 মার্চ: ভারতের 75তম আজাদি কা অমৃত মহোৎসব উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় তথ্য সংস্কৃতি দফতর, ভারত সরকার এবং উত্তর কলকাতা সমন্বয় ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয় । এই প্রদর্শনীর অঙ্গ হিসেবে শিশুদের পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারের যতগুলি প্রকল্প রয়েছে সেগুলিকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হয় । বিভিন্ন জেলায় এই প্রদর্শনী হয় ৷ পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় হওয়ার পর বুধবার নেবুতলা বা এখনকার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের উদ্যোগে এই প্রদর্শনী আয়োজিত হয় । উদ্বোধন করেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
এদিন শাসকদলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যখন মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন তখন মানুষই যেন সেই নেতাদের জিজ্ঞেস করেন যে, তাঁরা ক'টা চাকরির টাকা খেয়েছেন । কারণ এটা সাধারণ মানুষের জানা দরকার, যে নেতা তাঁর বাড়ি গিয়েছেন তিনি কতগুলো চাকরি বিক্রি করতে পেরেছিলেন ৷"
ফুরফুরা শরিফের চেয়ারম্যান পদ থেকে ফিরহাদ হাকিমকে সরিয়ে তার জায়গায় তপন দাশগুপ্ত আসার বিষয়ে তিনি বলেন, "আমরা মনে করি মুসলিম প্রতিষ্ঠানের মাথায় একজন সংখ্যালঘু সমাজের প্রতিনিধি থাকাই ভালো । ঠিক যেমন তারকেশ্বরের মাথায় ফিরহাদ হাকিম থাকার পক্ষে আমরা নই । তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙড়-সহ যেখানে বিরোধীদলের বিধায়ক থাকলেও বিরোধীদলের তেমন প্রভাব নেই সেখানে কী ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয় অশান্তি হয় সবাই তা জানে । এইসব জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের রথী মহারথীরা রয়েছে । আরাবুল ইসলাম-সহ অনেকেই আছেন যারা ভাঙড়টাকে এখন ভাগাড়ে পরিণত করেছেন ।"
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আপনি লক্ষ্মীর ঝাঁপি খুলে চাকরির ঝাঁপি বন্ধ করে দেবেন সেটা হতে পারে না । আমরা আগেই বলেছি ত্রাণ নয়, পরিত্রাণ চাই । লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কার্যত ত্রাণ দেওয়ায় পরিণত হয়েছে । এই ত্রাণ দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয় । একমাত্র চাকরিই স্থায়ী সমাধান হতে পারে ।"
আরও পড়ুন : মমতা চেয়ার ছাড়লেই বিজেপি সরকার গড়ে ডিএ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে, দাবি সুকান্তর