কলকাতা, 15 ডিসেম্বর: শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক। এই দাবিকে সামনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তবে ইডির তরফ থেকে আইনজীবী আদালতে দাবি করেছেন, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অসুস্থতা নিছক গল্প ছাড়া আর কিছুই নয় ৷ এরপর সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আগামী 19 ডিসেম্বর ইডির বক্তব্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের।
শুক্রবারের শুনানিতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, "সুজয় কৃষ্ণর বাইপাস সার্জারি হয়েছে। এরপর থেকে যেদিন ফের জেলে পাঠানো হয়েছে সেদিন থেকেই বমি হতে শুরু করেছে। নতুন করে সুজয় কৃষ্ণর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করা হোক। দরকারে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তাঁর শারীরিক বিষয়ে মতামত নিক আদালত।" অন্যদিকে, ক্ষুব্ধ ইডির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, "এটা বানানো গল্প। তিনি দিব্য সুস্থ আছেন। পুরোটাই বানানো হচ্ছে।"
উল্লেখ্য, 12 ডিসেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালে বৈঠকে বসে তিন সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড ৷ বৈঠকে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয় ৷ এমনকী, কতদিন তাঁকে কার্ডিয়োলজির আইসিইউ'তে রাখা হতে পারে সেই নিয়েও আলোচনা হয় চিকিৎসকদের মধ্যে ৷ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার কালীঘাটের কাকুর স্ত্রীর মৃত্যুর পর প্যারোল শেষ হতে জেলে ফেরার সময়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুজয়কৃষ্ণ।
তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)-এর আধিকারিকরা ৷ পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর তাঁর হৃদযন্ত্রে বেশ কিছু সমস্যা দেখা যায়। তিনটি স্টেন্টও বসানো হয়। তবে, তাঁর আর্টারিতে 'ব্লকেজ' আছে বলে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু রাজ্যের সব থেকে নামী সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএমে অপারেশন করাতে আপত্তি ছিল তাঁর।
এরপরই সুজয়কৃষ্ণ নিম্ন আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন, যাতে বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে অস্ত্রোপচারের সুযোগ দেওয়া হয়। আবেদন খারিজ হয়ে গেলেও নিজের দাবিতে অনড় ছিলেন 'কাকু'। পরে হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি। দীর্ঘ শুনানির পর বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসা করান তিনি।
আরও পড়ুন
2. দু’দিন পেরিয়ে গেলেও আসানসোলে ব্যবসায়ীর বাড়ি-দফতরে আয়কর তল্লাশি চলছে
3. নিউইয়র্কের নিলামে 64 কোটি টাকায় বিকোল মেসির 6 বিশ্বকাপ জার্সি