কলকাতা, 20 অগস্ট: গরুপাচার মামলায় শনিবার আসানসোল সিবিআই আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে ৷ আদালত চত্বরেই এদিন অনুব্রতকে দেখে 'জয় বাংলা' স্লোগান তোলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ৷ বিষয়টি নিয়ে এদিন রাজ্যের শাসক দলকে কড়া আক্রমণ করেন সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (CPM Leader Sujan Chakraborty)। তিনি বলেন, "আদালত চত্বরে জয় বাংলা স্লোগানকারী সমস্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা উচিত । কারণ, ওই স্লোগান দেওয়া সকলেই লুটেরা ৷"
এদিন সুজন আরও বলেন, "নির্লজ্জ ৷ সবাই জানে এরা গরু চোর । পাচারকারী । সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রথম থেকেই একথা বলছেন । সে পার্থকে জুতো মারা বলুন বা আদালতে চোর চোর বলে চিৎকার করে ওঠা । এখানেই স্পষ্ট সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত মনোভাব । কিন্তু, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন এর প্রভাব তার উপরে পড়তে চলেছে ৷ তাই, তিনি রুখে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন । মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদ পেয়ে অনুব্রত'র পাশে দাঁড়াতে আসানসোল আদালতের ওই মিছিলে যারা গিয়েছিলেন তারা প্রত্যেকেই লুট করেছে । তাই ওদের সকলকে তুলে নিয়ে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের রাইস মিলের ভিতরে যে গাড়িগুলি আছে তার পাশে বেঁধে রাখা উচিত । কারণ, তোমরা অনুব্রতর অনুগত হতে চেয়েছো বাবা, এখানেই থাকো । আসানসোল আদালতে গিয়ে যারা আজ বিক্ষোভ দেখালেন তারা কিন্তু আদতে অনুব্রত মণ্ডলকে আরও বিপাকে ফেললেন । কারণ, সিবিআই তো আগামিদিনে বলবেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই তৃণমূলের অন্য লুঠেরারা যাদের আমরা ধরার চেষ্টা করছি, এখনও ধরতে পারেনি, তারাই আদালতে এসে বলছে অনুব্রত যুগ যুগ জিও । "
আরও পড়ুন: রাইস মিল শ্বশুরবাড়ির উপহার, আদালতে দাবি অনুব্রতর আইনজীবীর
উল্লেখ্য, গরুপাচার মামলায় গত 11 অগস্ট (cattle smuggling scam) বীরভূমে নিজের বাড়ি থেকে সিবিআই'য়ের হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) । এরপর সেদিনই তাঁকে আসানসোল সিবিআই কোর্টে তোলা হয় । সেদিন বিচারক তাঁকে 10 দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন । সেই মেয়াদ শেষে এদিন অনুব্রতকে আদালতে ফের তোলা হলে আরও 4 দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি ৷