কলকাতা, 20 মে: ঘরে ফিরতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ভিনরাজ্যে আটকে পড়া বহু শ্রমিক । ট্রেন লাইনে ছিন্নভিন্ন দেহ পাওয়া গেছে 16 জনের । পুরুলিয়ার ছয়জন শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন । এমন সব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানাল SUCI । SUCI-এর রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য এই আবেদন জানিয়েছেন ।
গতকাল দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে "পরিযায়ী শ্রমিক বাঁচাও" দিবস পালিত হয় রাজ্যজুড়ে । রাজ্যের সমস্ত সরকারি দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়া হয় । বিশেষ করে জেলাশাসকের দপ্তরে আবেদন জানানো হয়েছে, দ্রুত ভিনরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ঘরে ফিরিয়ে আনা হোক । SUCI-এর রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য বলেন, "কলকাতার সর্বত্র এবং জেলার BDO, SDO অফিসের সামনে গতকাল বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে । রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে । আর টালবাহানা না করে দ্রুত অন্য রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো হোক ।"
তিনি আরও বলেন, "দুস্থ, গরিব শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে দেড় মাস অতিক্রান্ত । ট্রেনের ভাড়া কে দেবে তাই নিয়ে চলছে দীর্ঘ জটিলতা । কয়েকজন শ্রমিক ফিরতে পারলেও, সিংহভাগ শ্রমিক আটকে রয়েছেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে । আটকে থাকা শ্রমিকদের উপযুক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঘরে ফেরানো হোক । তাঁরা ঘরে ফিরলেই যে কোরোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হবেন, এ ব্যাখ্যা অবৈজ্ঞানিক। এই রাজ্যে প্রথম কোরোনা ভাইরাসের শিকার হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এক আমলার ছেলে । এমন মনে করার কারণ নেই, গরিব, দুস্থ, অন্য রাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিক মাত্রই কোরোনা রোগে আক্রান্ত ।" সর্বদলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, ভিনরাজ্যে আটকে থাকা এই রাজ্যের মানুষদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে হবে । SUCI-এর রাজ্য সম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন বিধায়ক তরুণ নস্কর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভিনরাজ্যে আটকে থাকা শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন । সর্বদলীয় সভার সিদ্ধান্তকে রাজ্য সরকার মান্যতা দেয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন SUCI-এর রাজ্য নেতৃত্ব ।