ETV Bharat / state

গুমনামি বাবা নেতাজি নন, দাবি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবারের - Srijit Mukherjee

সুভাষচন্দ্র বসুর নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, অভিযোগ তুলল নেতাজির পরিবার ৷ গুমনামি বাবা এবং নেতাজি ভিন্ন দুই ব্যক্তি, দাবি পরিবারের ৷ তাঁর পরিবারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থা সুভাষচন্দ্র বসুর নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে । তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে৷

গুমনামি বাবা ও নেতাজি
author img

By

Published : Aug 29, 2019, 8:54 AM IST

Updated : Aug 29, 2019, 8:17 PM IST

কলকাতা, 29 অগাস্ট : সুভাষচন্দ্র বসুর নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, অভিযোগ তুলল নেতাজির পরিবার ৷ গুমনামি বাবা এবং নেতাজি ভিন্ন দুই ব্যক্তি, দাবি পরিবারের ৷ তাঁর পরিবারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থা সুভাষচন্দ্র বসুর নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে । তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে৷

গুমনামি বাবা ভারতের একটি অজ্ঞাত রহস্য, যার কোনও মীমাংসা হয়নি ৷ তিনি 1985 সালে উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে মারা যান ৷ নেতাজি গবেষক অনুজ ধর মনে করেন, গুমনামি বাবা এবং সুভাষচন্দ্র বসু একই ব্যক্তি৷ বসু পরিবারের বিবৃতিতে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে এই সংস্থাটির দিকে । 'গুমনামি বাবা' এবং সুভাষ বসু এক মানুষ হতে পারেন না, জানিয়েছেন অধ্যাপক সুগত বসু এবং প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বসু । এবার এই বিষয়ে কথা বললেন চন্দ্র বসু-সহ নেতাজি কন্যা অনিতা, নেতাজির ভাইঝি চিত্রা ঘোষ, ভাইপো দ্বারকানাথ বোস, ভাইঝি রমা রায়, মমতা চৌধুরি, নিতা ঘোষ, কৃষ্ণা ঘোষ, শরৎচন্দ্র বসুর পুত্রবধূ সহ পরিবারের বহু সদস্য ।

পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি 'গুমনামি'-র ট্রেলার সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ৷ নেতাজিকে 'গুমনামি' হিসেবে দেখানো হয়েছে সেখানে ৷ এটি বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে ৷

নেতাজি পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'গুমনামি বাবা' উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় তিন দশক ধরে আত্মগোপন করেছিলেন । তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছে অযোধ্যার কাছে ফৈজাবাদে । এক কামরার ঘরে থাকতেন তিনি । সব সময় নিজের মুখ ঢেকে রাখতেন । 1985 সালে তাঁর মৃত্যু হয় । কোনও পরিচয় ছাড়া, কোনও পাসপোর্ট ছাড়া, এই নামহীন মানুষটাকে দেশে রাখাই ঠিক হয়নি । এই মানুষটির কোনও চেনা ছবি পাওয়া যায় না । এই লোকটিকে নিয়ে একটি বেসরকারি সংস্থা মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে । সুভাষচন্দ্র বসুর একটি ছবিকে সাজিয়ে ভুল প্রচার চালানো হচ্ছে । যেটি সর্বৈব মিথ্যা । মিথ্যে ছবিটা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । গুমনামি বাবা যে ঘরটিতে থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক শক্তি সিং এই প্রচার চালানোর সঙ্গে যুক্ত । 2005 সালে জাস্টিস মুখার্জি কমিশন গুমনামি বাবার DNA টেস্টের পরে জানিয়েছিলেন, নেতাজি এবং গুমনামি বাবার কোনও মিল নেই । কলকাতা সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে এই টেস্ট হয়েছিল । ওই সরকারি সংস্থাতেই দু'জনের হাতের লেখাও মিলিয়ে দেখা হয় । সেখানে জমা দেওয়া হয় প্রায় একই রকম একটি হাতের লেখা । গুমনামি বাবার কাছে নেতাজির যে ছবি, ডকুমেন্ট এবং ব্যক্তিগত জিনিসপত্র পাওয়া গেছিল, সেটি জয়শ্রী প্রকাশনের বিজয় নাগের দেওয়া । পরে তিনি সেটা স্বীকার করেছেন । সুভাষচন্দ্র বসু পরিবার চাইছে, এই প্রচার অবিলম্বে বন্ধ হোক ।"

কলকাতা, 29 অগাস্ট : সুভাষচন্দ্র বসুর নামে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, অভিযোগ তুলল নেতাজির পরিবার ৷ গুমনামি বাবা এবং নেতাজি ভিন্ন দুই ব্যক্তি, দাবি পরিবারের ৷ তাঁর পরিবারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থা সুভাষচন্দ্র বসুর নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে । তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে৷

গুমনামি বাবা ভারতের একটি অজ্ঞাত রহস্য, যার কোনও মীমাংসা হয়নি ৷ তিনি 1985 সালে উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদে মারা যান ৷ নেতাজি গবেষক অনুজ ধর মনে করেন, গুমনামি বাবা এবং সুভাষচন্দ্র বসু একই ব্যক্তি৷ বসু পরিবারের বিবৃতিতে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে এই সংস্থাটির দিকে । 'গুমনামি বাবা' এবং সুভাষ বসু এক মানুষ হতে পারেন না, জানিয়েছেন অধ্যাপক সুগত বসু এবং প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বসু । এবার এই বিষয়ে কথা বললেন চন্দ্র বসু-সহ নেতাজি কন্যা অনিতা, নেতাজির ভাইঝি চিত্রা ঘোষ, ভাইপো দ্বারকানাথ বোস, ভাইঝি রমা রায়, মমতা চৌধুরি, নিতা ঘোষ, কৃষ্ণা ঘোষ, শরৎচন্দ্র বসুর পুত্রবধূ সহ পরিবারের বহু সদস্য ।

পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি 'গুমনামি'-র ট্রেলার সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ৷ নেতাজিকে 'গুমনামি' হিসেবে দেখানো হয়েছে সেখানে ৷ এটি বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে ৷

নেতাজি পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'গুমনামি বাবা' উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় তিন দশক ধরে আত্মগোপন করেছিলেন । তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছে অযোধ্যার কাছে ফৈজাবাদে । এক কামরার ঘরে থাকতেন তিনি । সব সময় নিজের মুখ ঢেকে রাখতেন । 1985 সালে তাঁর মৃত্যু হয় । কোনও পরিচয় ছাড়া, কোনও পাসপোর্ট ছাড়া, এই নামহীন মানুষটাকে দেশে রাখাই ঠিক হয়নি । এই মানুষটির কোনও চেনা ছবি পাওয়া যায় না । এই লোকটিকে নিয়ে একটি বেসরকারি সংস্থা মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে । সুভাষচন্দ্র বসুর একটি ছবিকে সাজিয়ে ভুল প্রচার চালানো হচ্ছে । যেটি সর্বৈব মিথ্যা । মিথ্যে ছবিটা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । গুমনামি বাবা যে ঘরটিতে থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক শক্তি সিং এই প্রচার চালানোর সঙ্গে যুক্ত । 2005 সালে জাস্টিস মুখার্জি কমিশন গুমনামি বাবার DNA টেস্টের পরে জানিয়েছিলেন, নেতাজি এবং গুমনামি বাবার কোনও মিল নেই । কলকাতা সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে এই টেস্ট হয়েছিল । ওই সরকারি সংস্থাতেই দু'জনের হাতের লেখাও মিলিয়ে দেখা হয় । সেখানে জমা দেওয়া হয় প্রায় একই রকম একটি হাতের লেখা । গুমনামি বাবার কাছে নেতাজির যে ছবি, ডকুমেন্ট এবং ব্যক্তিগত জিনিসপত্র পাওয়া গেছিল, সেটি জয়শ্রী প্রকাশনের বিজয় নাগের দেওয়া । পরে তিনি সেটা স্বীকার করেছেন । সুভাষচন্দ্র বসু পরিবার চাইছে, এই প্রচার অবিলম্বে বন্ধ হোক ।"

Intro:কলকাতা, ২৯ অগাস্ট: গুমনামি বাবা আর যাই হোন, নেতাজি নন। এমনটাই দাবি করল সুভাষচন্দ্র বসুর উত্তরসূরীরা। পরিবারের বেশকিছু সদস্য রীতিমতো লিখিত প্রেস স্টেটমেন্ট দিয়ে জানালো, “ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্য মানহানিকর অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটা তার গড়িমাকে কালিমালিপ্ত করছে। দীর্ঘদিন ধরেই দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থা এই প্রচার চালাচ্ছে।"Body:গুমনামি বাবা নেতাজি কিনা এটা নিয়ে বিতর্ক ছিলই। অনেকে বিশ্বাস করেন উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের গুমনামি বাবা আর কেউ নন স্বয়ং সুভাষচন্দ্র বসু। এই মতকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেন নেতাজী গবেষক অনুজ ধর। তিনি মিশন নেতাজি নামে এক সংস্থার অন্যতম কর্তা। বসু পরিবার থেকে যে স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়েছে, তাতে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে এই সংস্থাটির দিকেই। গুমনামী বাবা যে নেতাজি, এটা তারা মানেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছেন অধ্যাপক সুগত বসু এবং প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বসু। এবার মুখ খুললেন চন্দ্র বসু সহ নেতাজি কন্যা অনিতা, নেতাজির ভাইঝি প্রফেসর চিত্রা ঘোষ, ভাইপো প্রফেসর দ্বারকানাথ বোস, ভাইঝি রমা রায়, মমতা চৌধুরী, নিতা ঘোষ, কৃষ্ণা ঘোষ, শরৎ চন্দ্র বোসের পুত্রবধু সহ পরিবারের বহু সদস্য। Conclusion:বিতর্কটা সম্প্রতি মাথাচাড়া দিয়েছে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের একটি ছবির জন্য। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। আর নেতাজি পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “ গুমনামি বাবা উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় তিন দশক ধরে আত্মগোপন করেছিলেন। তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছে অযোধ্যার কাছে ফৈজাবাদে। এক কামরার ঘরে থাকতেন তিনি। সব সময় নিজের মুখ ঢেকে রাখতেন। 1985 সালে তাঁর মৃত্যু হয়। কোনও পরিচয় ছাড়া, কোনও পাসপোর্ট ছাড়া, এই নামহীন মানুষটাকে ভারত থেকেই বের করে দেওয়া উচিত ছিল। এই মানুষটির কোনও চেনা ছবি পাওয়া যায় না। এই লোকটিকে নিয়ে মিশন নেতাজি নামক সংস্থা মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে। নেতাজির একটি ছবিকে সাজিয়ে এই প্রচার চালানো হচ্ছে। যেটা সর্বৈব মিথ্যা। সেই মিথ্যে ছবিটা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গুমনামি বাবা যে ঘরটিতে থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক শক্তি সিং এই ধাপ্পাবাজির প্রচার চালানোর আরেক মাথা। 2005 সালে জাস্টিস মুখার্জি কমিশন গুমনামী বাবার ডিএনএ টেস্টের পরে জানতে পারে, নেতাজী এবং গুমনামী বাবার কোন মিল নেই। কলকাতা সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে সেই টেস্ট হয়। ওই একই সরকারি সংস্থায় দুজনের হাতের লেখাও মিলিয়ে দেখা হয়। সেখানে প্রায় একই রকম হাতের লেখা একটি জমা দেওয়া হয়। গুমনামী বাবার কাছে নেতাজির যে ছবি, ডকুমেন্ট এবং ব্যক্তিগত জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছিল, তা জয়শ্রী প্রকাশনের বিজয় নাগের দেওয়া। পরে তিনি সেটা স্বীকার করেছেন। সুভাষচন্দ্র বসু পরিবার চাইছে এই প্রচার অবিলম্বে বন্ধ হোক।"

এই চিঠি প্রসঙ্গে ইটিভি ভারতকে চন্দ্র বোস বলেন, “ বোগাস ব্যাপার। আমরা সেই কারণেই গোটা পরিবার এই প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছি।" চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অনুজ ধরের কোনও বক্তব্য এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।




Last Updated : Aug 29, 2019, 8:17 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.