ETV Bharat / state

পড়ুয়া চলে যাওয়ার আশঙ্কা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কলেজের অধ্যক্ষের - কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজে ছাত্র ভর্তি

রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, 30 অক্টোবর এই ছাত্র ভরতির প্রক্রিয়া শেষ করার তারিখ । সেই নির্দেশিকা মেনে ভরতির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফেলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলি । বেথুন, লেডি ব্রেবোর্ন, মৌলানা আজাদের মতো নামী কয়েকটি কলেজ জানাচ্ছে, তাদের কলেজে স্নাতক কোর্সে ছাত্র ভরতির চিত্রটা ভালোই হয়েছে ।

Calcutta University
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
author img

By

Published : Oct 31, 2020, 8:53 AM IST

Updated : Oct 31, 2020, 10:06 AM IST

কলকাতা, 30 অক্টোবর : এবছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির স্নাতকস্তরে ভরতির সময়সীমা শেষ হয়েছে ৷ ভরতি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপকদের দাবি, কলেজে ভালোই পড়ুয়া ভরতি হয়েছে ৷ কিন্তু, তাতেও তাঁদের আশঙ্কা কাটছে না ৷ কারণ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ভরতি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি ৷ তাই তাঁদের আশঙ্কা, অনেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়ে গেলে চলে যেতে পারেন ৷ যার ফলে আবারও ফাঁকা হয়ে যেতে পারে বিভিন্ন কলেজের আসন ৷

চলতি বছরে স্নাতক কোর্সগুলিতে ছাত্র ভরতির চিত্রটা একাধিকবার বদলেছে । প্রথমদিকে দেখা গেছে, বেশি নম্বর পেয়েও কলেজে ভরতি হতে পারছেন না বহু পড়ুয়া । আবার ভরতি প্রক্রিয়া চলার মাঝামাঝি সময়ে দেখা গেছে, একের পর এক মেধাতালিকা প্রকাশের পরেও বহু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাঁকা রয়ে গেছে অনেক আসন ।

10 অগাস্ট থেকে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শুরু হয়েছিল স্নাতকে ছাত্র ভরতির প্রক্রিয়া । রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, 30 অক্টোবর এই ছাত্র ভরতির প্রক্রিয়া শেষ করার তারিখ । সেই নির্দেশিকা মেনে ভরতির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফেলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলি । বেথুন, লেডি ব্রেবোর্ন, মৌলানা আজাদের মতো নামী কয়েকটি কলেজ জানাচ্ছে, তাদের কলেজে স্নাতক কোর্সে ছাত্র ভরতির চিত্রটা ভালোই হয়েছে । তবুও, একটা আশঙ্কা রয়েছে তাদের মধ্যে । বেথুন কলেজের অধ্যক্ষা কৃষ্ণা রায় বলেন, বেথুন কলেজে সব বিভাগ মিলিয়ে মোট 557টি আসন ছিল এবার । সবমিলিয়ে 519টি আসনে পড়ুয়া ভরতি হয়ে গেছে । ফলে ভরতি অন্যান্য বারের মতোই ভালো হয়েছে বলে মত তাঁর । তিনি বলেন, "আমাদের টোটাল ক্যাপাসিটির 96 শতাংশ ভরতি হয়ে গেছে । আমাদের ভরতি ভালোই হয়েছে । এটার কারণ হিসেবে বলতে পারি, বেথুন কলেজের ফি অন্যান্য সরকারি কলেজের থেকে ভীষণই কম । তাই মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ঘরের মেয়েরা বেথুনকেই পছন্দ করে । কিছু কিছু বিষয়ে সাধারণত ভরতি প্রতি বছরই কম হয় । যেমন, সংস্কৃত, হিন্দি । আমাদের ভরতি যেগুলিতে হয়নি তারমধ্যে সংস্কৃতেই 22টি আসন ফাঁকা রয়েছে । বাকি বিভাগগুলিতে 1 থেকে 2টো করে ফাঁকা রয়েছে ।"

তবে, ভরতি ভালো হলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় কিছু পড়ুয়া চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছেন বেথুন কলেজের অধ্যক্ষা । এখনও পর্যন্ত ভরতি ভালো হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "এখানে কিন্তু আত্মসন্তুষ্টির কোনও কারণ নেই । মেডিকেল, জয়েন্ট, যাদবপুরে ভরতি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে বোঝা যাবে মাইগ্রেশনটা কী রকম । অনেকে জয়েন্টে কম র্যাঙ্ক করেও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যায় । অনেকেই আবার বিশ্ববিদ্যালয়কে বেশি পছন্দ করে । যাদবপুরের ভরতি কিন্তু এখনও সম্পন্ন হয়নি । একটু মাইগ্রেশন হবে বলে মনে হয় । তবে, আপাতত আমরা খুব খুশি আমাদের ভরতি ভালো হয়েছে ।"

একই অবস্থা লেডি ব্রেবোর্ন কলেজেরও । অধ্যক্ষা শিউলি সরকার বলেন, তাঁদেরও ভরতি ভালো হলেও যাদবপুরের ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা । তিনি বলেন, "আমাদের ভরতি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে । সব আসনও ভরতি হয়ে গেছে । তবে, আমি আবার আশঙ্কা প্রকাশ করছি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যদি আরও পরে সায়েন্সের বিষয়ে ভরতির সময়সীমা বাড়ায় ৷ আরও কিছু তালিকা বের করে এবং তাতে যদি আমাদের যারা ভর্তি হয়ে গেছে তারা নিজেদের নাম দেখতে পায় তাহলে তারা কিন্তু চলে যাবে । তখন আরও কিছু আসন খালি হয়ে যাবে । যে মুহূর্তে যাদবপুর আরও তালিকা বের করবে, তখনই আমাদের এখানে ভরতি হওয়া কিছু পড়ুয়া সেই তালিকায় স্থান পাবে, তারা চলে যাবে । অনেকেই কলেজের থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বেশি পছন্দ করে । তখন আরও কিছু আসন ফাঁকা হবে বলে আমি আশঙ্কা করছি । তখন রাজ্য সরকার যদি অ্যাডভাইজ়রি দেয় যে, এই ফাঁকা আসনগুলো পূরণের জন্য সময়সীমা বাড়ানো হল, তাহলে তো খুবই ভালো । যদি না দেয় তাহলে আসনগুলো ফাঁকাই রয়ে যাবে ।" লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে প্রায় 700 আসন ছিল । তারমধ্যে বেশিরভাগই পূরণ হয়ে গেছে বলে জানান অধ্যক্ষা । সংস্কৃত, ফার্সি, হিন্দির মতো কিছু বিষয়ে প্রতিবছরই কিছু আসন ফাঁকা থাকে । এবছরও সেই বিষয়গুলোতেই আসন ফাঁকা রয়েছে বলে জানান শিউলি সরকার ।

ছাত্র ভরতির চিত্র নিয়ে মৌলানা আজাদ কলেজের অধ্যক্ষ শুভাশিস দত্ত বলেন, "ভরতি শুরুর মাঝামাঝি সময়ে কিছু আসন ফাঁকা থাকলেও এখন তার মেক-আপ হয়ে গেছে । বেশিরভাগ বিষয়েই সব আসন পূরণ হয়ে গেছে দুই একটা বিষয় বাদ দিয়ে । আমাদের প্রায় সাড়ে 700 আসন ছিল । তারমধ্যে আমাদের সংস্কৃত, আরবি ও ফারসি, এই দুই-তিনটি বিষয়ে চিরকালই আসন ফাঁকা থাকে, এবারও রয়েছে ।"

তবে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ সব কলেজে ছাত্র ভরতির চিত্রটা এক রকম নয় । ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও একাধিক কলেজে বিশাল সংখ্যক আসন ফাঁকা রয়ে গেছে । তারমধ্যে যেমন আশুতোষ কলেজের মতো নামী কলেজ রয়েছে তেমনি বাসন্তীদেবী কলেজও রয়েছে । আশুতোষ কলেজে প্রায় 2700 আসন ছিল স্নাতক কোর্সের প্রথম বর্ষে ছাত্রর ভরতির জন্য । তার মধ্যে সাড়ে 800-র মতো আসন এখনও ফাঁকা রয়ে গেছে বলে জানান আশুতোষ কলেজের সহ-অধ্যক্ষ অপূর্ব রায় । তিনি বলেন, "এখনও অনেক আসনই ফাঁকা । আর আবেদনকারীই পাওয়া যাচ্ছে না । 2700-র মধ্যে 800 থেকে সাড়ে 800-র মতো ফাঁকা রয়ে যাচ্ছে । ডি-রিজার্ভেশন হওয়ার পরেও যখন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল তারপরেও খুব কম সংখ্যক পড়ুয়া আবেদন করেছিল । দেড় মাসের উপরে ভরতি চলছে । এতদিন ধরে পড়ুয়ারা কি আর বসে থাকে ? তারা এখানে ওখানে ভরতি হয়ে গেছে । তাই শেষদিকে আর ভরতির জন্য ছাত্র পাওয়া যাচ্ছে না । এটা একদমই COVID স্পেশাল । এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা ছাত্র-ছাত্রীদের দূরের কলেজে আর পাঠাচ্ছে না । আমাদের বহু ছাত্র-ছাত্রী জেলা থেকে আসত । সেই স্টুডেন্ট স্ট্রেন্থটাই পড়ে গেছে ।"

রাজ্য সরকার ভরতির সময়সীমা বাড়ালে হয়ত আরও 100 থেকে 150 জন পড়ুয়া ভরতি হতে পারে । কিন্তু, কোনও অবস্থাতেই এবছর সব আসন পূরণ হওয়ার আশা দেখছে না আশুতোষ কলেজ কর্তৃপক্ষ । বাসন্তীদেবী কলেজের অধ্যক্ষা ইন্দ্রিলা গুহ বলেন, "খুব বেশি রিকভার করা যায়নি । অনেক আসন ফাঁকা রয়ে গেছে । খুব বেশি ভরতি হয়নি । 40 থেকে 50 শতাংশ আসন তো ফাঁকা রয়েই গেছে । আমাদের সব আসন পূরণ হয় না । তবে, এই বছর কোরোনার জন্য আরেকটু বেশিই ফাঁকা রয়ে গেছে ।"

কলকাতা, 30 অক্টোবর : এবছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির স্নাতকস্তরে ভরতির সময়সীমা শেষ হয়েছে ৷ ভরতি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপকদের দাবি, কলেজে ভালোই পড়ুয়া ভরতি হয়েছে ৷ কিন্তু, তাতেও তাঁদের আশঙ্কা কাটছে না ৷ কারণ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ভরতি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি ৷ তাই তাঁদের আশঙ্কা, অনেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়ে গেলে চলে যেতে পারেন ৷ যার ফলে আবারও ফাঁকা হয়ে যেতে পারে বিভিন্ন কলেজের আসন ৷

চলতি বছরে স্নাতক কোর্সগুলিতে ছাত্র ভরতির চিত্রটা একাধিকবার বদলেছে । প্রথমদিকে দেখা গেছে, বেশি নম্বর পেয়েও কলেজে ভরতি হতে পারছেন না বহু পড়ুয়া । আবার ভরতি প্রক্রিয়া চলার মাঝামাঝি সময়ে দেখা গেছে, একের পর এক মেধাতালিকা প্রকাশের পরেও বহু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাঁকা রয়ে গেছে অনেক আসন ।

10 অগাস্ট থেকে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শুরু হয়েছিল স্নাতকে ছাত্র ভরতির প্রক্রিয়া । রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, 30 অক্টোবর এই ছাত্র ভরতির প্রক্রিয়া শেষ করার তারিখ । সেই নির্দেশিকা মেনে ভরতির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ফেলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ কলেজগুলি । বেথুন, লেডি ব্রেবোর্ন, মৌলানা আজাদের মতো নামী কয়েকটি কলেজ জানাচ্ছে, তাদের কলেজে স্নাতক কোর্সে ছাত্র ভরতির চিত্রটা ভালোই হয়েছে । তবুও, একটা আশঙ্কা রয়েছে তাদের মধ্যে । বেথুন কলেজের অধ্যক্ষা কৃষ্ণা রায় বলেন, বেথুন কলেজে সব বিভাগ মিলিয়ে মোট 557টি আসন ছিল এবার । সবমিলিয়ে 519টি আসনে পড়ুয়া ভরতি হয়ে গেছে । ফলে ভরতি অন্যান্য বারের মতোই ভালো হয়েছে বলে মত তাঁর । তিনি বলেন, "আমাদের টোটাল ক্যাপাসিটির 96 শতাংশ ভরতি হয়ে গেছে । আমাদের ভরতি ভালোই হয়েছে । এটার কারণ হিসেবে বলতে পারি, বেথুন কলেজের ফি অন্যান্য সরকারি কলেজের থেকে ভীষণই কম । তাই মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ঘরের মেয়েরা বেথুনকেই পছন্দ করে । কিছু কিছু বিষয়ে সাধারণত ভরতি প্রতি বছরই কম হয় । যেমন, সংস্কৃত, হিন্দি । আমাদের ভরতি যেগুলিতে হয়নি তারমধ্যে সংস্কৃতেই 22টি আসন ফাঁকা রয়েছে । বাকি বিভাগগুলিতে 1 থেকে 2টো করে ফাঁকা রয়েছে ।"

তবে, ভরতি ভালো হলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় কিছু পড়ুয়া চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছেন বেথুন কলেজের অধ্যক্ষা । এখনও পর্যন্ত ভরতি ভালো হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "এখানে কিন্তু আত্মসন্তুষ্টির কোনও কারণ নেই । মেডিকেল, জয়েন্ট, যাদবপুরে ভরতি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে বোঝা যাবে মাইগ্রেশনটা কী রকম । অনেকে জয়েন্টে কম র্যাঙ্ক করেও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চলে যায় । অনেকেই আবার বিশ্ববিদ্যালয়কে বেশি পছন্দ করে । যাদবপুরের ভরতি কিন্তু এখনও সম্পন্ন হয়নি । একটু মাইগ্রেশন হবে বলে মনে হয় । তবে, আপাতত আমরা খুব খুশি আমাদের ভরতি ভালো হয়েছে ।"

একই অবস্থা লেডি ব্রেবোর্ন কলেজেরও । অধ্যক্ষা শিউলি সরকার বলেন, তাঁদেরও ভরতি ভালো হলেও যাদবপুরের ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা । তিনি বলেন, "আমাদের ভরতি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেছে । সব আসনও ভরতি হয়ে গেছে । তবে, আমি আবার আশঙ্কা প্রকাশ করছি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যদি আরও পরে সায়েন্সের বিষয়ে ভরতির সময়সীমা বাড়ায় ৷ আরও কিছু তালিকা বের করে এবং তাতে যদি আমাদের যারা ভর্তি হয়ে গেছে তারা নিজেদের নাম দেখতে পায় তাহলে তারা কিন্তু চলে যাবে । তখন আরও কিছু আসন খালি হয়ে যাবে । যে মুহূর্তে যাদবপুর আরও তালিকা বের করবে, তখনই আমাদের এখানে ভরতি হওয়া কিছু পড়ুয়া সেই তালিকায় স্থান পাবে, তারা চলে যাবে । অনেকেই কলেজের থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বেশি পছন্দ করে । তখন আরও কিছু আসন ফাঁকা হবে বলে আমি আশঙ্কা করছি । তখন রাজ্য সরকার যদি অ্যাডভাইজ়রি দেয় যে, এই ফাঁকা আসনগুলো পূরণের জন্য সময়সীমা বাড়ানো হল, তাহলে তো খুবই ভালো । যদি না দেয় তাহলে আসনগুলো ফাঁকাই রয়ে যাবে ।" লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে প্রায় 700 আসন ছিল । তারমধ্যে বেশিরভাগই পূরণ হয়ে গেছে বলে জানান অধ্যক্ষা । সংস্কৃত, ফার্সি, হিন্দির মতো কিছু বিষয়ে প্রতিবছরই কিছু আসন ফাঁকা থাকে । এবছরও সেই বিষয়গুলোতেই আসন ফাঁকা রয়েছে বলে জানান শিউলি সরকার ।

ছাত্র ভরতির চিত্র নিয়ে মৌলানা আজাদ কলেজের অধ্যক্ষ শুভাশিস দত্ত বলেন, "ভরতি শুরুর মাঝামাঝি সময়ে কিছু আসন ফাঁকা থাকলেও এখন তার মেক-আপ হয়ে গেছে । বেশিরভাগ বিষয়েই সব আসন পূরণ হয়ে গেছে দুই একটা বিষয় বাদ দিয়ে । আমাদের প্রায় সাড়ে 700 আসন ছিল । তারমধ্যে আমাদের সংস্কৃত, আরবি ও ফারসি, এই দুই-তিনটি বিষয়ে চিরকালই আসন ফাঁকা থাকে, এবারও রয়েছে ।"

তবে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্থ সব কলেজে ছাত্র ভরতির চিত্রটা এক রকম নয় । ভরতি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও একাধিক কলেজে বিশাল সংখ্যক আসন ফাঁকা রয়ে গেছে । তারমধ্যে যেমন আশুতোষ কলেজের মতো নামী কলেজ রয়েছে তেমনি বাসন্তীদেবী কলেজও রয়েছে । আশুতোষ কলেজে প্রায় 2700 আসন ছিল স্নাতক কোর্সের প্রথম বর্ষে ছাত্রর ভরতির জন্য । তার মধ্যে সাড়ে 800-র মতো আসন এখনও ফাঁকা রয়ে গেছে বলে জানান আশুতোষ কলেজের সহ-অধ্যক্ষ অপূর্ব রায় । তিনি বলেন, "এখনও অনেক আসনই ফাঁকা । আর আবেদনকারীই পাওয়া যাচ্ছে না । 2700-র মধ্যে 800 থেকে সাড়ে 800-র মতো ফাঁকা রয়ে যাচ্ছে । ডি-রিজার্ভেশন হওয়ার পরেও যখন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল তারপরেও খুব কম সংখ্যক পড়ুয়া আবেদন করেছিল । দেড় মাসের উপরে ভরতি চলছে । এতদিন ধরে পড়ুয়ারা কি আর বসে থাকে ? তারা এখানে ওখানে ভরতি হয়ে গেছে । তাই শেষদিকে আর ভরতির জন্য ছাত্র পাওয়া যাচ্ছে না । এটা একদমই COVID স্পেশাল । এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা ছাত্র-ছাত্রীদের দূরের কলেজে আর পাঠাচ্ছে না । আমাদের বহু ছাত্র-ছাত্রী জেলা থেকে আসত । সেই স্টুডেন্ট স্ট্রেন্থটাই পড়ে গেছে ।"

রাজ্য সরকার ভরতির সময়সীমা বাড়ালে হয়ত আরও 100 থেকে 150 জন পড়ুয়া ভরতি হতে পারে । কিন্তু, কোনও অবস্থাতেই এবছর সব আসন পূরণ হওয়ার আশা দেখছে না আশুতোষ কলেজ কর্তৃপক্ষ । বাসন্তীদেবী কলেজের অধ্যক্ষা ইন্দ্রিলা গুহ বলেন, "খুব বেশি রিকভার করা যায়নি । অনেক আসন ফাঁকা রয়ে গেছে । খুব বেশি ভরতি হয়নি । 40 থেকে 50 শতাংশ আসন তো ফাঁকা রয়েই গেছে । আমাদের সব আসন পূরণ হয় না । তবে, এই বছর কোরোনার জন্য আরেকটু বেশিই ফাঁকা রয়ে গেছে ।"

Last Updated : Oct 31, 2020, 10:06 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.