কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: বন্ধুর সঙ্গে আবাসনে দেখা করতে গিয়ে আবাসনের নীচ থেকে উদ্ধার হল স্কুল পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ (body recover Incident in Entally)। রক্তাক্ত ও জখম অবস্থায় ওই পড়ুয়াকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন । মৃতের নাম জয়েল গোমস (15) ৷ নবম শ্রেণির ছাত্র সে ৷ বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালি থানা এলাকার রাধানাথ চৌধুরী রোডের ধারে একটি বিলাসবহুল আবাসনের ঘটনা ৷ ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন বেলা দু'টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে এন্টালি থানা এলাকার রাধানাথ চৌধুরী রোডের ধারে একটি বিলাসবহুল আবাসনের নীচে। ইতিমধ্যেই ওই মৃত নাবালকের বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ এই প্রসঙ্গেই কলকাতা পুলিশের ডিসিই এইচডি প্রিয়ব্রত রায় জানিয়েছেন, দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ঘটনার তদন্তে নেমে এন্টালি থানার পুলিশ সংশ্লিষ্ট আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং আবাসনের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে পুলিশ । প্রাথমিক তদন্তে নেমে তদন্তকারীদের অনুমান, সংশ্লিষ্ট আবাসনের লিফটের কাছে একটি ফাঁকা জায়গা রয়েছে। খুব সম্ভবত সেখান থেকেই ওই স্কুল পড়ুয়া কোনওভাবে পড়ে গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: তিনতলা থেকে পড়ে আহত কলেজ ছাত্রী! রহস্য ঘটনার তদন্তে পুলিশ
তবে ওই স্কুল পড়ুয়ার মৃত্য়ুর অন্য কোনও কারণ আছে নাকি ওই পড়ুয়া সত্যি আবাসন থেকে পড়ে গিয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷ আবাসন থেকে পড়ে গেলেও ওই পড়ুয়ার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই ৷ ইতিমধ্যেই তদন্ত নেমে ওই মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, বেশ কয়েকদিন ধরে বাড়িতে খুব একটা কথা বলছিল না জয়েল গোমস। কিন্তু সেই বন্ধুর সঙ্গে কী এমন দরকারে তার আবাসনে গিয়েছিল জয়েল, সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷ পাশাপাশি তদন্তে নেমে মৃত পড়ুয়ার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। শেষবারের জন্য ওই পড়ুয়া কার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।