কলকাতা, 6 নভেম্বর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এ বার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠাল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর । শিক্ষা দফতরের অনুমতি ছাড়াই কেন সিন্ডিকেটের বৈঠক ডাকা হল সেই প্রশ্ন তুলেছে দফতর । চিঠি পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে । আগামী 7 নভেম্বর, মঙ্গলবার বিকেল 3.30টের সময় সিন্ডিকেটের বৈঠক ডেকেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তা দত্ত দে । সেটা আইনবিরুদ্ধ বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে বিকাশভবন ।
রাজ্যের 10টি বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকরী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল তথা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস । রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের তালিকায় রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও । সেখানে শান্তা দত্ত দে-কে অস্থায়ী উপাচার্যের দায়িত্ব দেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস । এর আগে ডিন অব ফ্যাকাল্টির দায়িত্ব সামলেছেন তিনি । এখন তিনি উপাচার্যের দায়িত্বে রয়েছেন ৷
উচ্চশিক্ষাদফতর বলছে, যেহেতু এখানে স্থায়ী উপাচার্য নেই, তাই সিন্ডিকেটের বৈঠক নিয়মভঙ্গের শামিল । চিঠিতে বলা হয়েছে, শান্তা দত্ত দে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নন । তিনি অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য । অর্থাৎ, শুধু উপাচার্য পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন । রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া তিনি সিন্ডিকেটের বৈঠক ডাকলে, তাতে নিয়ম লঙ্ঘন করা হয় । আর তিনি কোনও অনুমতি নেননি ।
আরও পড়ুন: 'উচ্চতর কর্তৃপক্ষ কে ?' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর
কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠক নিয়েও টানাপোড়েন হয়েছিল । রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনও কর্মসমিতির বৈঠক ডাকতে পারে না বলে মত সরকারের । শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, "সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী আমাদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলার কথা । আমি যতদূর জানি, এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি । এই অবস্থায় যদি সুপ্রিম কোর্টকে কেউ লঙ্ঘন করে তাহলে আমরা সেটা দৃষ্টিগোচর করব ।"
তবে সেই বৈঠক আয়োজনে অনড় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া অন্তর্বতী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ । তবে সময়সাপেক্ষে পরে তা স্থগিত রাখা হয় ।