ETV Bharat / state

শিল্প বাঁচাতে মসলিন গ্রাম তৈরির পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের - বর্ধমানে মসলিন গ্রাম

মসলিন তৈরিতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার । বর্ধমানে তৈরি হতে পারে মসলিন গ্রাম । 20 জন মসলিন শিল্পী ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন ক্লাস্টারের ।

বর্ধমান
author img

By

Published : Oct 19, 2019, 10:00 AM IST

কলকাতা, 19 অক্টোবর : ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ । তৈরি হয়েছে ক্লাস্টার । 20 জন মসলিন শিল্পী কাজ করছেন ক্লাস্টারে । প্রকল্প ঠিকঠাক এগোলে তৈরি করা হবে আস্ত একটি মসসিন গ্রাম । এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তর ৷ জানালেন দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ।

বর্ধমানের কালনা ২ নম্বর ব্লকের আনুখাল অঞ্চলের কাজিপাড়া গ্রাম । সেখানেই রয়েছেন 20 জন মসলিন শিল্পী । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই শিল্পী এবং শিল্পকে বাঁচাতে তৈরি করা হয়েছে ক্লাস্টার । কাজ চলছে জোর কদমে । সরকারি সহায়তা পেয়ে খুশি সেখানকার শিল্পীরাও । সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে চরকা । সুতো কাটা, তাঁত বোনার ঘর তৈরিতে সাহায্য করেছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তর । মনের আনন্দে বিশেষ এক প্রকারের তুলোর আঁশ থেকে প্রস্তুত সুতো দিয়ে বোনা হচ্ছে সূক্ষ্ম কাপড়। চরকায় সুতো কেটে হাতে বোনা হচ্ছে মসলিন শাড়ি । কাজিপাড়ায় গেলেই শোনা যাচ্ছে পুরানো সেই তাঁতের কথা । অন্তত ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দপ্তরের কর্তাদের দাবি তেমনই।

মসলিন তাঁত শিল্পীদের এক সময় বিশেষ কদর ছিল । কিন্তু সময়ের সঙ্গে মসলিন শিল্প ও শিল্পীরাও হারিয়ে যেতে থাকে । সরকারি উদ্যোগে কাজিপাড়া গ্রামে ক্লাস্টারের শিল্পীদের তৈরি শাড়ি বিশ্ববাংলা বিপণন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা হয়েছে । এবার দুর্গাপুজোয় ভালোই বাজার করেছে মসলিন শাড়ি । তৈরি হয়েছে কালনা মসলিন সেন্টার । রাজ্য সরকার চাইছে মসলিন শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও এই শিল্পে কর্মসংস্থান । তাঁতশিল্পীরা যাতে ফের মসলিন কাপড় তৈরি করে লাভের মুখ দেখেন সেই চেষ্টাই চলছে অনবরত । তবে ৫০০ কাউন্টের সুতোয় তৈরি এই মসলিন কাপড়ের দাম ১৫ হাজারের বেশি । ১০০ কাউন্টের সুতোয় তৈরি মসলিন ২২০০ টাকা থেকে শুরু । অন্তত বিশ্ববাংলা স্টল সূত্রে এমন খবর মিলেছে ।

muslin
মসলিন শাড়ি

মসলিন গ্রাম তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে স্বপন দেবনাথ বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই শিল্পীদের বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছেন । এমনিতে মসলিন খাদি গ্রামোদ্যোগের আওতায় রয়েছে । তবে আমরা চেষ্টা করছি যদি একটি মসলিন গ্রাম তৈরি করা যায় । তবে তার আগে দেখতে হবে কাজিপাড়ার ক্লাস্টার কেমন কাজ করে । আসলে গ্রাম তৈরি করতে হলে সেখানে পর্যাপ্ত জোগান এবং বিপণনের উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে । আরও শিল্পীদের সেখানে আনতে হবে । তবে ক্লাস্টারের শিল্পীরা যদি ভালো করে কাজ করে আমরা গ্রাম তৈরিতে ঝাঁপিয়ে পড়ব ।"

muslin
বোনা হচ্ছে মসলিন কাপড়

কলকাতা, 19 অক্টোবর : ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ । তৈরি হয়েছে ক্লাস্টার । 20 জন মসলিন শিল্পী কাজ করছেন ক্লাস্টারে । প্রকল্প ঠিকঠাক এগোলে তৈরি করা হবে আস্ত একটি মসসিন গ্রাম । এমনই পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তর ৷ জানালেন দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ।

বর্ধমানের কালনা ২ নম্বর ব্লকের আনুখাল অঞ্চলের কাজিপাড়া গ্রাম । সেখানেই রয়েছেন 20 জন মসলিন শিল্পী । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই শিল্পী এবং শিল্পকে বাঁচাতে তৈরি করা হয়েছে ক্লাস্টার । কাজ চলছে জোর কদমে । সরকারি সহায়তা পেয়ে খুশি সেখানকার শিল্পীরাও । সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে চরকা । সুতো কাটা, তাঁত বোনার ঘর তৈরিতে সাহায্য করেছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তর । মনের আনন্দে বিশেষ এক প্রকারের তুলোর আঁশ থেকে প্রস্তুত সুতো দিয়ে বোনা হচ্ছে সূক্ষ্ম কাপড়। চরকায় সুতো কেটে হাতে বোনা হচ্ছে মসলিন শাড়ি । কাজিপাড়ায় গেলেই শোনা যাচ্ছে পুরানো সেই তাঁতের কথা । অন্তত ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দপ্তরের কর্তাদের দাবি তেমনই।

মসলিন তাঁত শিল্পীদের এক সময় বিশেষ কদর ছিল । কিন্তু সময়ের সঙ্গে মসলিন শিল্প ও শিল্পীরাও হারিয়ে যেতে থাকে । সরকারি উদ্যোগে কাজিপাড়া গ্রামে ক্লাস্টারের শিল্পীদের তৈরি শাড়ি বিশ্ববাংলা বিপণন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা হয়েছে । এবার দুর্গাপুজোয় ভালোই বাজার করেছে মসলিন শাড়ি । তৈরি হয়েছে কালনা মসলিন সেন্টার । রাজ্য সরকার চাইছে মসলিন শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও এই শিল্পে কর্মসংস্থান । তাঁতশিল্পীরা যাতে ফের মসলিন কাপড় তৈরি করে লাভের মুখ দেখেন সেই চেষ্টাই চলছে অনবরত । তবে ৫০০ কাউন্টের সুতোয় তৈরি এই মসলিন কাপড়ের দাম ১৫ হাজারের বেশি । ১০০ কাউন্টের সুতোয় তৈরি মসলিন ২২০০ টাকা থেকে শুরু । অন্তত বিশ্ববাংলা স্টল সূত্রে এমন খবর মিলেছে ।

muslin
মসলিন শাড়ি

মসলিন গ্রাম তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে স্বপন দেবনাথ বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই শিল্পীদের বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছেন । এমনিতে মসলিন খাদি গ্রামোদ্যোগের আওতায় রয়েছে । তবে আমরা চেষ্টা করছি যদি একটি মসলিন গ্রাম তৈরি করা যায় । তবে তার আগে দেখতে হবে কাজিপাড়ার ক্লাস্টার কেমন কাজ করে । আসলে গ্রাম তৈরি করতে হলে সেখানে পর্যাপ্ত জোগান এবং বিপণনের উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে । আরও শিল্পীদের সেখানে আনতে হবে । তবে ক্লাস্টারের শিল্পীরা যদি ভালো করে কাজ করে আমরা গ্রাম তৈরিতে ঝাঁপিয়ে পড়ব ।"

muslin
বোনা হচ্ছে মসলিন কাপড়
Intro:কলকাতা, ১৮ অক্টোবর: ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে উদ্যোগ। তৈরি হয়েছে ক্লাস্টার। কুড়ি জন মসলিন শিল্পী কাজ করছেন ক্লাস্টারে। প্রকল্প ঠিকঠাক এগোলে তৈরি করা হবে আস্ত এক মসসিন গ্রাম। আমলি পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তর। দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ইটিভি ভারতকে জানালেন এমন কথাই।Body:বর্ধমানের কালনা ২ ব্লকের আনুখাল অঞ্চলের কাজিপাড়া গ্রাম। সেখানেই আছেন ২০ জন মসলিন শিল্পী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই শিল্পী এবং শিল্পকে বাঁচাতে তৈরি করা হয়েছে ক্লাস্টার। কাজ চলছে জোর কদমে। সরকারি সহায়তা পেয়ে খুশি সেখানকার শিল্পীরাও। সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছে চরকা। সুতো কাটা, তাঁত বোনার ঘর তৈরীতে সাহায্য করেছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তর। মনের আনন্দে বিশেষ এক প্রকারের তুলোর আঁশ থেকে প্রস্তুত সুতো দিয়ে বোনা হচ্ছে সূক্ষ্ম কাপড়। চরকায় সুতো কেটে হাতে বোনা হচ্ছে মসলিন শাড়ি। কাজীপাড়ায় গেলেই শোনা যাচ্ছে পুরনো সেই তাঁতের। অন্তত ক্ষুদ্র কুটির শিল্প দফতরের কর্তাদের দাবি তেমনই।

মসলিন তাঁত শিল্পীদের এক সময় বিশেষ কদর ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে মসলিন শিল্প ও শিল্পীরাও হারিয়ে যেতে থাকে। সরকারি উদ্যোগে কাজিপাড়া গ্রামে ক্লাস্টারের শিল্পীদের তৈরি শাড়ি বিশ্ববাংলা বিপণন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রীর ব্যবস্থা হয়েছে। এবার দুর্গা পুজোয় ভালোই বাজার করেছে সেই শাড়ি। এছাড়াও তৈরী হয়েছে কালনা মসলিন সেন্টার। রাজ্য সরকার চাইছে মসলিন শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও কর্মসংস্থান। তাঁতশিল্পীরা যাতে ফের মসলিন কাপড় তৈরী করে লাভের মুখ দেখেন সেই চেষ্টা চলছে অনবরত। তবে ৫০০ কাউন্টের সুতোয় তৈরী এই মসলিন কাপড়ের দাম ১৫ হাজারের বেশী। ১০০ কাউন্টের সুতোয় তৈরী মসলিন ২২০০ টাকা থেকে শুরু। অন্তত বিস্ব বাংলা স্টল সূত্রে এমন খবর মিলেছে। Conclusion:মসলিন গ্রাম তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে স্বপন দেবনাথ বলেন, “ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই শিল্পীদের বাঁচাতে উদ্যোগী হয়েছেন। এমনিতে মসলিন খাদি গ্রামোদ্যোগের আওতায় রয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি যদি একটি মুসলিম গ্রাম তৈরি করা যায়। তবে তার আগে দেখতে হবে কাজীপাড়ার ক্লাস্টার কেমন কাজ করে। আসলে গ্রাম তৈরি করতে হলে সেখানে পর্যাপ্ত যোগান এবং বিপণনের উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। আনতে হবে আরো শিল্পীদের। তবে ক্লাস্টারের শিল্পীরা যদি ভালো করে কাজ করে আমরা গ্রাম তৈরিতে ঝাঁপিয়ে পড়বো।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.