কলকাতা , 15 মে : রাজ্যের গণপরিবহন ব্যবস্থার সর্বনাশ করার জন্য রাজ্য সরকার কৌশলে এই কঠিন সময় এবং লকডাউন পরিস্থিতিকে ব্যবহার করল ৷ আজ এই অভিযোগ জানাল সেন্টার অব ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়নস্ । এর ফলে সাধারণ মানুষের উপর সংকটের বোঝা বাড়াবে এবং সমগ্র পরিবহন পরিষেবা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে । হাজার হাজার যাত্রী , পরিবহন শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন CITU-র রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু এবং সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ।
রাজ্য সরকারের তরফে আগেই ঘোষণ করা হয়েছে বেসরকারি বাসগুলিতে 20 জনের বেশি উঠতে পারবে না ৷ কিন্তু মাত্র 20 জন যাত্রীকে নিলে লাভ হবে না বাস মালিকদের ৷ সেক্ষেত্রে বেসরকারি বাস মালিকরাই ভাড়া ঠিক করতে পারবে বলে সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয় ৷ রাজ্য সরকার নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিল বলে CITU রাজ্য নেতৃত্বের অভিযোগ ৷ এমনকী , অতীতে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে তারা ।
রাজ্যের পরিবহন পরিকাঠামো সম্পর্কে সামান্য জ্ঞানটুকু রাজ্য সরকারের নেই বলে মন্তব্য করেন অনাদি সাহু । এর মারাত্মক প্রভাব কী হতে পারে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি । তিনি জানান , এভাবে বাস ভাড়া বৃদ্ধি করা আসলে ষড়যন্ত্র । জেনে বুঝেই এই সময়কে কাজে লাগিয়ে, পরিবহন পরিষেবার থেকে সরকার হাত তুলে নিয়ে খোলাবাজারে যা খুশি করার সুযোগ করে দিল কয়েকজন অসাধু বাস মালিকদের ।
অনাদিবাবু বলেন, "রাজ্য সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্তে আরও বেশি দুর্ঘটনা বাড়বে । গরিব মানুষকে আরও সমস্যায় ফেলা হবে । বাস এবং মিনিবাস 77 শতাংশ যাত্রী পরিষেবা দেয় । এরপর ট্যাক্সি রয়েছে । পরে যুক্ত হয়েছে অটো । সম্প্রতি টোটো । এরাও যাত্রী পরিবহন করে বিপুল সংখ্যায় ।"
CITU-র রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় বলেন , "পশ্চিমবঙ্গের ভয়ঙ্কর ক্ষতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সরকারি গাড়ি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির নামে দলীয় নেতাকর্মীদের লিজ় দিয়েছে । মানুষকে পরিবহন পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের । সরকার এটা অস্বীকার করতে পারে না । কিন্তু বড় বড় ভাষণ আর মিথ্যা প্রতিশ্রুতির আড়ালে সব দায়িত্ব শুধু এড়িয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার । মানুষের সঙ্গে প্রায় যুদ্ধ ঘোষণা করছে ৷"
শ্রমিক সংগঠনের দাবি , হাজার হাজার পরিবহন শ্রমিকদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে আগামী তিন মাস আর্থিক সাহায্য দিতে হবে রাজ্য সরকারকে ৷