কলকাতা, 21 জুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফোর্থ পোলিংয়ের কাজে প্রাথমিক শিক্ষক, পার্শ্ব শিক্ষক ও মেডিক্যাল অফিসারদের ব্যবহার করা যাবে না । বুধবার এই মর্মে নির্দেশিকা প্রকাশ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন । নির্দেশিকায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, প্রাথমিক শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষকদের ভোটে ফোর্থ পোলিংয়ের কোনও কাজের জন্য ব্যবহার করা যাবে না । পাশাপাশি মেডিক্যাল অফিসারদের নির্বাচনের কোনও কাজেই ব্যবহার না করতে বলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই নির্দেশিকা সমস্ত জেলা শাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে । তাতে দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন সময় প্রাথমিক শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক এবং মেডিক্যাল অফিসারদের ফোর্থ পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে । এই ধরনের ঘটনা চোখে পড়েছে কমিশনের । মেডিক্যাল অফিসারকেও ভোটের ফোর্থ পোলিংয়ের ডিউটি দেওয়া হয়েছে । তাই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আর এমনটা করা চলবে না । বুধবার সকালে জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের চিঠি লিখে এই নির্দেশের কথা জানিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব ।
রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি । রাজ্য কমিশনের ব্যর্থতা নিয়ে বিরোধীরা বারে বারে অভিযোগ জানিয়েছে ৷ তাই বেশ কিছুটা চাপে যে কমিশনার রাজীবা সিনহাও রয়েছেন তা বলাই বাহুল্য । সুপ্রিম কোর্টের কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ধাক্কা খাওয়ার পরেই গতকাল মঙ্গলবার রাজ্য কমিশনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক চলে ।
আরও পড়ুন : পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে 22 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী অনুমোদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
তারপরই বিকেলে রাজ্য কমিশন এক রকম পরিষ্কার জানায় যে, প্রতি জেলায় আসছে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী । অর্থাৎ হিসেব মতো 22 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্যে আসছে । তবে এই ঘোষণার পরেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে যে মাত্র 22 কোম্পানি দিয়ে কী করে ভোট করানো সম্ভব হবে । তাই এখন দেখার যে সবকটি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে নাকি শুধুমাত্র স্পর্শকাতর এবং অতি স্পর্শকাতর বুথেই মোতায়ন করা হবে ৷