কলকাতা, 11 জুলাই : পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনায় প্রথম থেকেই বিশেষ সতর্ক রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে 144 ধারা জারি করতে জেলা শাসক ও পুলিশ সুুপারদের নির্দেশ দেওয়া হল কমিশনের তরফে। ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবা সিনহা । পাশাপাশি ভোট গণনার সময় যাতে কোনওভাবেই হিংসা না ছড়িয়ে পড়ে তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
আরও একটি বিষয়কেও গুরুত্ব দেয় কমিশন । বলা হয়েছে, ভোট গণনা চলাকালীন রাজনৈতিক দলগুলির উল্লাস যেন নিয়ন্ত্রণহীন না হয় । এই নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে লিখিত কোনও নির্দেশিকা নেই । তবে, ভোটের ফল নিয়ে মাতামাতি যেন মাত্রা না ছাড়ায় সেই দিকেও লক্ষ্য রাখার কথা জেলা শাসক ও এসপিদের জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। লক্ষ্য একটাই, গণনা ঘিরে যাতে এক বিন্দু রক্ত না ঝড়ে এবং 2021 সালের ভোট পরবর্তী হিংসার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় । সেই দিকেই নজর কমিশনের । বিধানসভা ভোট -পরবর্তী হিংসায় নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কড়া পদক্ষেপ করে ।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি বাড়তি চাপও আছে । পঞ্চায়েত ভোটের উপর নজরদারি রাখা হবে বলে জুন মাসেই রাজ্যকে চিঠি দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বিশেষ পর্যবেক্ষক পাঠাবার কথাও বলা হয়েছে। তারই বিরোধিতা করতে দেখা যায় তৃণমূলকে । ভোট পরবর্তী হিংসা মারাত্মক আকার নিলেই যে বিষয়টিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বাংলার রক্তাক্ত হওয়া নতুন ঘটনা নয় । 2013 থেকে 2023 সালে, তৃণমূল জমানায় দুই বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্ত ঝড়েছে । মৃত্যুর তালিকাও দীর্ঘ হয়েছে । 2023 সালে বাংলায় তৃতীয় পর্যায়ের পঞ্চায়েত ভোট । মনোনয়ন পত্র জমা থেকে ভোট প্রক্রিয়া পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু শুধুই বেড়েছে । ভোট গণনা ঘিরে সতর্কতা তাই তুঙ্গে । রাজ্য নির্বাচন কমিশন সব শক্তি দিয়ে তাই শানিন্তপূর্ণ গণনায় ব্যস্ত । সেভাবেই জেলায় জেলায় বাড়তি সতর্কতা দিয়েই নজরদারির নির্দেশিকা জারি হয়েছে।