কলকাতা, ১১ মার্চ : অনশনের ১১দিন পরও কোনও লিখিত আশ্বাস পাননি। তাই আন্দোলনকে জোরদার করতে এবার টানা অনশনের সিদ্ধান্ত নিলেন SSC চাকরিপ্রার্থীরা। এতদিন ১২ ঘণ্টা করে রিলে অনশন করছিলেন তাঁরা। আর আজ থেকে টানা অনশনে বসবেন বলে জানিয়েছেন। যতদিন না চাকরি পাচ্ছেন ততদিন অনশন চালিয়ে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্লাস নাইন থেকে টুয়েলভের ওয়েটিং লিস্টে থাকা SSC চাকরিপ্রার্থীরা।
কলকাতা গেজেটের ১:১:৪ অনুপাতে ওয়েটিং লিস্টে প্রার্থীদের রাখার নিয়ম লঙ্ঘন করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাই তাঁদের প্রত্যেককে চাকরি দিতে হবে। এই দাবিতে ধর্মতলায় অনশনে বসেন বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। ২৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে ধর্মতলায় অনশন বসেন তাঁরা। কিন্তু, অনশনের ১১ দিন কেটে গেলেও কোনও সদুত্তর পাননি। বরং একের পর এক অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবুও, অনশন চালিয়ে গেছেন তাঁরা। হাজার প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজেদের দাবিতে অনড় থেকেছেন। কিছুদিন আগেই নিজেদের দাবি ও সমস্যা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন অনশনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল। কিন্তু, সেখান থেকেও কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। তবে এখন এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ চান তাঁরা। পাশাপাশি আন্দোলনকে জোরদার করতে রিলের পরিবর্তে টানা অনশনে বসারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে চাকরীপ্রার্থী অর্পিতা দাস বলেন, "এখন পরিস্থিতিটা খুবই খারাপ। কারণ, যত দিন যাচ্ছে তত প্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সেক্ষেত্রে আমরা ট্রিটমেন্ট করাতে SSKM-এ গিয়ে চিকিৎসকদের কোনও সহায়তা পাচ্ছি না। তাঁরাও আমাদের বিভিন্নভাবে থ্রেট দিচ্ছেন, ভয় দেখাচ্ছেন। কিন্তু, পরিস্থিতি যতই প্রতিকূল হোক আমরা আমাদের লড়াইটা চালিয়ে যাব। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছি। কেননা অনেক জটিল সমস্যার সমাধান আমরা দেখেছি ওনার হস্তক্ষেপেই হয়েছে। তাই এক্ষেত্রেও আমরা তাঁর হস্তক্ষেপ চাই।"
টানা অনশনে বসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমরা এবার অনশনটাকে রিলে অনশনের বদলে টানা অনশন করতে চাইছি। একটানা আমরা যাঁরা অনশনে বসব তাঁরা একদম জল ও খাবার স্পর্শ করব না। এভাবেই অনশনটাকে আরও জোরদার করতে চাইছি।"