কলকাতা, 24 মার্চ: আদালতের নির্দেশ ব্যাখ্যা করতে ভুল করেছে এসএসসি ৷ আর সেই ভুল স্বীকার করে আদালত অবমাননার মামলায় ক্ষমা চাইলেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার (SSC Chairman Siddharth Majumder Apologies) ৷ এদিন তিনি আদালতে হাজিরা দেন ৷ 83 জন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ৷ এসএসসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছে আবেদনকারীদের খাতা ৷ ইংরেজি ও চাইল্ড ডেভলপমেন্ট এবং পেডাগজি বিভাগের খাতা খতিয়ে দেখে তাঁরা রিপোর্ট দিয়েছেন ৷
এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার আদালতে আজ জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্ট গতকাল রাতে পেয়েছেন তাঁরা ৷ সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়নি ৷ কমিশনের বক্তব্য শোনার পর, রিপোর্ট খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত মামলা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, 83 জনের মধ্যে 63 জনের পার্সোনালিটি বা টেস্ট ইন্টারভিউ হয়ে গেছে ৷ এমনকি 43 জনের ক্ষেত্রে সুপারিশপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে এসএসসি ৷ বোর্ডের কাছে শূন্য পদের তালিকা চাওয়া হয়েছে ৷
তবে, মামলকারিদের মধ্যে 3 জনের আবেদন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে ৷ তাঁদের জমা দেওয়া বুকলেট সিরিজ এবং ওএমআর শিট নিয়ে সমস্যার কথা জানান কমিশনের চেয়ারম্যান ৷ আদালত নির্দেশ দিয়েছে ওই 3 জন আবেদনকারীকে এসএসসি-র আইনজীবীর অফিসে আগামী সপ্তাহে গিয়ে সমস্যা মেটাতে হবে ৷ উল্লেখ্য, কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে 2011 সালের উচ্চ-প্রাথমিকের টেট প্রার্থীদের ভুল ও সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের জন্য নম্বর না দেওয়ায় এসএসসি-কে ভর্ৎসনা করে আদালত ৷
আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকে নয়া নিয়োগ চাই, অনুমতি চেয়ে আদালতে এসএসসি
হাইকোর্টের নির্দেশকে উপেক্ষা করার মনোভাব রয়েছে এসএসসি-র ৷ সেই অভিযোগে এসএসসি চেয়ারম্যানকে ব্যক্তিগতভাবে আজ হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত ৷ সঙ্গে নতুন রিপোর্ট দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এসএসসি-কে ভর্ৎসনা করে বলেছিলেন, ‘‘আপনারা কোর্টের সঙ্গে খেলছেন ৷ এসএসসি নিয়োগ করছে, অথচ তারাই ভুল প্রশ্ন করছে ৷ সব পরিকল্পিত ৷ আমার বলতে দ্বিধা নেই, এসএসসি একটা প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে খেলছে ৷’’