কলকাতা, 20 এপ্রিল : দেখতে দেখতে কেটে গেল 12 দিন। দ্রুত নিয়োগের আশায় দ্বিতীয় দফায় আবারও আন্দোলন শুরু করেছেন এসএসসি-র শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থীরা (SSC Teacher Recruitment Case)। শহিদ মিনারের সামনে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে রিলে অনশনে বসেছেন তাঁরা।
প্রচণ্ড গরম ও ডিহাইড্রেশনের জেরে প্রতিদিনই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কেউ না কেউ। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শেষে আবারও এসে অনশন মঞ্চে যোগ দিচ্ছেন। ঠিক এতটাই অনড় অনশনকারীরা। এই মর্মে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে ডেপুটেশন জমা দিতে গিয়েছিলেন ৷ কিন্তু কালীঘাটের সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাতে হেনস্তা হতে হয় চাকরিপ্রার্থীদের। ইতিমধ্যেই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি ও বাম সংগঠন । এমনকি তাঁদের দ্রুত নিয়োগের পক্ষে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এখানে যাঁরা অনশনে রয়েছেন তাঁরা 2016 সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন আয়োজিত শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকা অন্তর্ভুক্ত শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা চাকরিপ্রার্থী।
আরও পড়ুন : অসুস্থ হয়ে পড়লেন আন্দোলনরত এসএসসির চাকরিপ্রার্থীরা, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি মীনাক্ষীর
এসএসসি-র যুব-ছাত্র অধিকার মঞ্চ কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার অন্যতম আন্দোলনকারী মুখ রাজু দাস বলেন, "আমরা 2016 সালে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্বেও আমরা এখনও বেকার। এসএসসি নিয়োগের বিভিন্ন অসঙ্গতি দেখে 2019 প্রেসক্লাবের সামনে 29 দিনের অনশন চালাই। তখন মুখ্যমন্ত্রী এসে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ধাপে ধাপে সকলকে চাকরি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নবম ও দশম শ্রেণির প্রায় 3000 সিট আপডেট হয়ে অনশনকারীদের 90 শতাংশের চাকরি হয় ৷ কিন্তু একই অনশন মঞ্চে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা চাকরি প্রার্থীরা এখনও বঞ্চিত। পরবর্তীতে আমরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করি সেখানেও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মত আমাদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। কিন্তু সেই সাক্ষাতের পরে প্রায় তিন বছর কেটে গেলও আমরা এখনও নিয়োগ পেলাম না।"