কলকাতা, 20 মে : উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স নেমে পড়েছিল আগেই । এবার স্পেশাল টিম নিয়ে নেমে পড়ল ভারতীয় নৌ-বাহিনী। ইতিমধ্যে তারা কলকাতায় পৌঁছে ডায়মন্ড হারবারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে । সেখান থেকে প্রয়োজনমতো উদ্ধারকাজে হাত লাগাবে ।
আমফানে পরিণতি হতে পারে ভয়ঙ্কর । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা এলাকা দিয়ে বয়ে যেতে পারে ঝড় । আর তাই গতকাল থেকেই তৎপর BSF । সুন্দরবনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী । উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে 45টি বোট, ভেসেল, স্পিড বোট । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের 350 কিলোমিটার নদীপথ । যার পুরোটাই সুন্দরবন এলাকার উত্তর এবং দক্ষিণ 24 পরগনায় । এই সীমান্ত এলাকা রক্ষা করা BSF-এর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ । সেই সূত্রে সাউথ বেঙ্গল ফার্স্ট ইয়ারের ইন্সপেক্টর জেনেরাল বাহাদুর খুরানিয়া রাজারহাটে সদর দপ্তরে একটি বৈঠক করেন । সেই বৈঠকে ছকে নেওয়া হয় পরিকল্পনা । সীমান্ত এলাকায় যে ভেসেল এবং সাধারণ লঞ্চে নজরদারি চালানো হয়, তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । তার বদলে হেঁটে জমিতেই রাখা হবে নজর । সেই কারণে অতিরিক্ত এক কম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনকে উদ্ধার করতে খোলা হয়েছে একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুম । সেখান থেকে পরিচালনা করা হবে উদ্ধারকাজ । হাসনাবাদের কাছে বোলতলা BOP-তে রাখা হয়েছে একটি FBOP ভেসেল । উপকূলরক্ষী বাহিনীও গতরাত থেকেই এয়ারক্রাফট এবং ICG শিপ থেকে নজরদারি চালাচ্ছে সমুদ্র এবং উপকূলবর্তী এলাকায় । 20টি ডিজ়াস্টার রিলিফ টিম কাজ করছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে । সঙ্গে পাঁচটি ICG শিপ এবং এয়ারক্রাফ্ট মোতায়েন করা হয়েছে তামিলনাডু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ।
এমন পরিস্থিতিতে ভাইজ়্যাক থেকে ভারতীয় নৌ-বাহিনীর তরফে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হয়েছে একটি বিশেষ দল । সেই দলের কর্মীরা এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় রীতিমতো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত । দলটি গতকাল বিকালে নৌ-বাহিনীর বিশেষ বিমানে কলকাতায় আসে । তাদের সঙ্গে রয়েছে বিশেষ কিছু যন্ত্রপাতি । যেগুলি জলোচ্ছ্বাসে বন্যা হলে দ্রুত উদ্ধার কাজ চালাতে সহযোগিতা করবে । ভারতীয় নৌ-বাহিনীর পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলা হয়েছে । ঠিক হয়েছে, রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে ভারতীয় নৌ-বাহিনী, উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স । রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যে কোনও সংকেত পেলে ভারতীয় নৌ-বাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জওয়ানরা বিশেষ ছোটো বিমানে পৌঁছে যাবেন দুর্গত এলাকায় ।