কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর : দেখলে মনে হবে ভাজা মাছটিও উলটে খেতে পারে না । কিন্তু ভেতরে ভেতরে কষছিল বড় ছক । অন্তত কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তদন্তে এমনই ইঙ্গিত । বর্ধমান এবং উত্তর দিনাজপুর মডিউলের তিন জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের পর ধৃতদের পেনড্রাইভ এবং ল্যাপটপ ঘেঁটে গোয়েন্দারা পেয়েছেন আর্মি অফিসারদের নাম । সেখানে কোন আর্মি অফিসার কোন সেক্টরে কর্মরত, সীমান্ত রক্ষা করতে গিয়ে কোন জওয়ান শহিদ হয়েছেন, সব তথ্যই রয়েছে তাদের কাছে । এমন কী তাদের কাছে রয়েছে, কাশ্মীরে নিহত জঙ্গিদের নাম পরিচয় !
একটানা জেরা । কিন্তু জামাত-উল-মুজাহিদিন ইন্ডিয়ার শীর্ষ নেতাদের কাছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আবুল কাশেম, আবদুল বারি, নিজামুদ্দিন খানকে জেরা করে পাওয়া গেছে খুবই কম তথ্য । 22 বছরের কাশেম বর্ধমানের মঙ্গলকোটের দুরমুটের বাসিন্দা । কলকাতার ইস্ট ক্যানাল রোডের গজনবি ব্রিজের কাছে প্রথমে আটক করা হয় তাকে । তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু লিফলেট, জঙ্গি কার্যকলাপের বই । আদালতে পুলিশ জানায়, তার কাছে পাওয়া গেছে পেনড্রাইভ । উত্তর দিনাজপুর মডিউলের পান্ডা বারি এবং নিজামউদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দুটি ল্যাপটপ, একটি স্মার্টফোন, ডিটোনেটর, ক্যাপাসিটর, বোমা বানানোর স্প্লিন্টার, ওয়াচ মেশিন, গ্লুস্টিক, হ্যাক স ব্লেড, ওয়ার কাটার । ল্যাপটপ এবং মোবাইল দেখে চোখ কপালে উঠেছে গোয়েন্দাদের ।
বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, ওই জঙ্গিদের ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভে পাওয়া গেছে বহু তথ্য । প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দারা ভেবেছিলেন সেখানে পাওয়া যাবে জামাত মডিউলের তথ্য । সেসব পাওয়া গেছে কি না তা অবশ্য গোপন রাখতে চাইছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । তবে জঙ্গিদের ল্যাপটপে পাওয়া গেছে আর্মি, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, CRPF-এর নানা তথ্য । পাশাপাশি কাশ্মীরের জঙ্গিদের তথ্যও পেয়েছে তদন্তকারীরা । রয়েছে জওয়ান এবং জঙ্গিদের মৃত্যু তালিকাও । গোয়েন্দাদের সন্দেহ জামাত-উল-মুজাহিদিন ইন্ডিয়া অথবা জামাত-উল-মুজাহিদিন হিন্দের নজরে রয়েছে কাশ্মীর । ধৃতদের জেরা করে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ।