কলকাতা, 13 মে : বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজ়িয়ামে (BITM) বসতে চলেছে জীবাণুনাশক সুড়ঙ্গ পথ বা ডিজইনফেকটেন্ট টানেল । কোরোনা আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে । প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ । চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা । তাই এবার কোরোনা মোকাবিলায় BITM-এ বসতে চলেছে জীবাণুনাশক সুড়ঙ্গপথ বা ডিজইনফেকটেন্ট টানেল । দ্রুতই উদ্বোধন করা হবে এই জীবাণুনাশক সুড়ঙ্গপথটি ।
BITM-এর প্রধান প্রবেশ পথে বসান হবে এই ডিজইফেকটেন্ট টানেল । বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই টানেলটি তৈরি করা হয়েছে । আয়ুর্বেদিক ওষুধ, যেমন- ক্যাম্ফর (কর্পূর), মেন্থল ও থাইমল দিয়ে এই বিশেষ তরলটি তৈরি করা হয়েছে । তরলটিকে জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্যানিটাইজ়ার স্প্রে হিসেবে ব্যবহার করা হবে । বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করে এর গেট তৈরি করা হয়েছে ।
BITM জাতীয় জাদুঘরের অধিকর্তা ভি এস রামাচন্দ্রন বলেন, "আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্রে থাইমল, ক্যাম্ফর ও মেন্থল জীবাণুনাশক হিসেবে খুবই কার্যকরী । তাই এখানে অ্যালকোহলের পরিবর্তে থাইমল, ক্যাম্ফর ও মেন্থল ব্যবহার করে স্যানিটাইজ়ারটি তৈরি করা হয়েছে । ভুলবশত কারও মুখে চলে গেলেও শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না ।"
টানেলটির মধ্য দিয়ে যাতায়াতের সময় চারদিক থেকে জীবাণুনাশক আয়ুর্বেদিক মিশ্রণ সেই ব্যক্তির সারা শরীরে নিজে থেকেই স্প্রে হয়ে যাবে । প্রথমে মিশ্রণটি শরীরের সামনের দিকে স্প্রে হবে তারপরে আবার মিশ্রণটি পেছন থেকে প্রায় তিন সেকেন্ডের জন্য স্প্রে হবে । এ'ভাবে সেই ব্যক্তির পুরো শরীর স্যানিটাইজ়ড হয়ে যাবে । কোরোনা সংক্রমণ পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালু থাকবে ।
BITM জাতীয় জাদুঘরের অধিকর্তা ভি এস রামাচন্দ্রন আরও বলেন, জাদুঘরের ভেতরে যেখানে একজন দর্শক বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট দেখেন সে'ক্ষেত্রে সেন্সর ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । এতে যদি কেউ কোনও লিভার ছুঁতে না চান তাহলে তিনি সেন্সরের কিছুটা উপরে হাত দিলেই তা কাজ করতে শুরু করবে । সেন্সরের পাশাপাশি নব বা লিভারের ব্যবস্থাও থাকছে ।