কলকাতা, 27 জুলাই : ছাত্র পরিষদের মারামারিকে কেন্দ্র করে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস । বৃহস্পতিবার বিধান ভবনে ছাত্র পরিষদের সদস্যদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকট হয়ে ওঠে । প্রদেশ কংগ্রেস অফিসে তাঁরা বৈঠক করার সময় শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি । হাতাহাতিতে গিয়ে শেষ হয় বৈঠক । এই ঘটনার কথা দিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে । ইতিমধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ছাত্র পরিষদের শীর্ষ নেতৃত্বকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছেন । বৃহস্পতিবার বিধান ভবনে ছাত্র পরিষদের রাজ্য কমিটির বৈঠক ছিল । অভিযোগ, তখন সংগঠনের সভাপতি ও সমর্থকদের উপর ছাত্রপরিষদেরই একাংশ হামলা চালায়। যার জেরে দুপক্ষের হাতাহাতি হয় ৷
লোকসভা ভোটে এবার বনগাঁ আসন থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী করা হয়েছিল সৌরভ প্রসাদকে । তিনি হেরে যাওয়ার পরও কেন ছাত্র পরিষদের শীর্ষস্থানে থাকবেন? সৌরভ কেন ছাত্র পরিষদের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন না? সেই প্রশ্ন তুলে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন সংগঠনের একদল কর্মী । তাঁদের যুক্তি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র যদি বিপর্যয়ের দায় নিয়ে ইস্তফা দিতে চাইতে পারেন, তাহলে ছাত্র পরিষদের সভাপতি কেন হারের দায় নিয়ে ইস্তফা দেবেন না? জানা গেছে, সেদিনের বৈঠকে এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয় ৷ সৌরভ প্রসাদ বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্যরা না কি হামলা চালায় ।
যদিও বিষয়টি নিয়ে সৌরভ প্রসাদ কিছু বলতে চাননি । দলীয় কর্মসূচিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শহরের বাইরে থাকায়, বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দেবব্রত বসু । তিনি বলেন, "প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র দিল্লির নেতৃত্বের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন । তিনি নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, ছাত্র পরিষদ বা যুব কংগ্রেস বৈঠকের সময় যদি বিধান ভবনে ভবিষ্যতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে তার দায় নেবে না বিধান ভবন । বাকবিতণ্ডা বা মারামারি বৈঠকের মধ্যে হতে পারে সেজন্য বিধান ভবনে ছাত্র পরিষদ বা যুব কংগ্রেসকে কোনওরকম বৈঠক করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে ৷"
ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদ ও তাঁর সমর্থকদের অভিযোগ, সংগঠনেরই একদল সদস্য তাঁদের মারধর করেছেন । তাঁরা আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পুত্র রোহন মিত্রের অনুগামী বলেও পরিচিত । তবে হামলা ও মারামারির ঘটনা নিয়ে কিছু বলতে চাননি রোহন । তিনি ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে না চাইলেও জানিয়েছেন, বিধান ভবন এখন CCTV-র নিয়ন্ত্রণাধীন । 16টি ক্যামেরা এখানে বসানো হয়েছে । কোনও ক্যামেরায় গন্ডগোলের কোনও ছবি দেখা গেলে তারপরই উত্তর দেবেন ।