কলকাতা, 16 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল 9। একাধিক পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে মঙ্গলবার যাদবপুর থানায় গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর 6 জনকে গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা।
এই ঘটনায় আগেই সৌরভ চৌধুরী, মনোতোষ এবং দীপশেখর নামে তিন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর মধ্যে দীপশিখর এবং মনোতোষ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পড়ুয়া হলেও সৌরভ প্রাক্তনী। তদন্ত নেমে প্রথম পর্যায়ে এই তিনজনকে গ্রেফতারির পর লাগাতার জেরা পর্ব চলতে থাকে। অভিযুক্তদের জেরা করে তদন্তকারীরা এক প্রকার নিশ্চিত ছিলেন যে এই ঘটনার নেপথ্যো কোনও পাকা মাথা আছে।
আরও পড়ুন: মৃত ছাত্রের ঘর থেকে পাওয়া চিঠি লিখেছিল দীপশেখর! জেরায় স্বীকারোক্তি
প্রথম পর্যায়ে সৌরভ, মনোতোষ এবং দীপশেখরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জেরা করে তাদের বয়ান রেকর্ড করছিলেন তদন্তকারীরা। তা থেকে তদন্তকারীরা জানতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন প্রাক্তনী প্রভাব খাটিয়ে হস্টেলের দিনের পর দিন আবাসিক হয়ে দিন কাটাচ্ছিল। বেশ কয়েকজন বর্তমান পড়ুয়াকেও সন্দেহের তালিকায় রেখেছিল পুলিশ। এরপর তিন ছাত্রকে গতকাল ডেকে পাঠায় যাদবপুর থানার পুলিশ।
তাদের প্রাথমিকভাবে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তার পরবর্তীকালে তাদের পৃথক পৃথক বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ক্রস কোশ্চেনিং করে তদন্তকারীরা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার খুনের ঘটনায় এরা যুক্ত । এরপর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে আরও বাড়ি থেকে তিন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।
গ্রেফতার হওয়া পড়ুয়াদের নাম-পরিচয় :
- মহম্মদ আরিফ, তৃতীয় বর্ষের ছাত্র (সিভিল ইঞ্জিনিয়র)
- মহম্মদ আসিফ আজমল, চতুর্থ বর্ষের ছাত্র (ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়র)
- অঙ্কন সর্দার, তৃতীয় বর্ষের ছাত্র (সিভিল ইঞ্জিনিয়ার)
- সপ্তক কামিল্য, প্রাক্তন স্টুডেন্ট (পরিবেশ বিজ্ঞান)
- অসিত সর্দার, প্রাক্তন স্টুডেন্ট (সংস্কৃত)
- সুমন নস্কর, প্রাক্তন ছাত্র, বাড়ি-মন্দির বাজার
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টে 'সন্তুষ্ট', আপাতত যাদবপুরে আসছে না ইউজিসি