কলকাতা, 16 ডিসেম্বর : জল্পনার অবসান ৷ আজ বিধানসভায় এসে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য সেইসময় বিধানসভায় ছিলেন না। তাই রিসিভ সেকশনে পদত্যাগপত্র জমা করেন শুভেন্দু। পাশাপাশি অধ্যক্ষকে পদত্যাগপত্র ইমেল করেন। যদিও শুভেন্দুর ইস্তাফাপত্র গৃহীত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। এর আগে মন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন শুভেন্দু ৷ আজ বিধায়কের পদও ছাড়লেন ৷
শুভেন্দু বিধায়ক পদ ছাড়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, শুভেন্দু দলের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। দেখুক বিজেপিতে গিয়ে কী পান। এদিকে আজ বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপকুমার মুখোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর উপস্থিতি নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও সুদীপবাবু এপ্রসঙ্গে বলেন, "আমি একজন বিধায়ক। শুভেন্দুবাবু ইস্তফাপত্র জমা দিতে আসার সময় বিধানসভায় ছিলাম। সেই কারণে তাঁর সঙ্গে সচিবের কক্ষে ঢুকেছিলাম ।"
![শুভেন্দু অধিকারীর চিঠি](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/9899124_wb_th.jpg)
কয়েকদিন ধরেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের দল পরিবর্তন নিয়ে জল্পনা চলছে ৷ আজ পূর্ব মেদিনীপুরের হেড়িয়ায় তাঁর সহায়তা কেন্দ্রে বিজেপির পতাকা দেখা গেছে ৷ তিনি অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে ৷ যদিও এনিয়ে শুভেন্দু কিছু জানাননি। এরই মধ্যে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলেন শুভেন্দু।
বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার দেখা গেছে । তার নিচে লেখা- "আমরা দাদার অনুগামী" । তিনিও দলের পতাকা ছাড়াই একাধিক জায়গায় সভা করেছেন । এমনকী , নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস উপলক্ষে সকালে তিনি সভা করার পর বিকেলে তৃণমূলের তরফে পৃথক সভা করা হয় । "খেজুরি দিবস" উপলক্ষে খেজুরিতে অরাজনৈতিক ব্যানারে মিছিল করেন তিনি । ক্ষোভের বরফ গলাতে শুভেন্দুর সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় । 1 ডিসেম্বর রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, সৌগত রায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দুর বৈঠকের পর ইতিবাচক বার্তা পেয়েছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা । কিন্তু পরের দিন দুপুর গড়াতেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে । মূল মধ্যস্থতাকারী সৌগত রায়কে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করে শুভেন্দু জানিয়ে দেন, তাঁর পক্ষে একসঙ্গে কাজ করা মুশকিল ।
আরও পড়ুন :- দলের একজন কর্মী গেলেও আমাদের ক্ষতি : ব্রাত্য বসু
তবে বিধায়কের পদে বহাল ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । যে কোনও মুহূর্তে তিনি সেই পদও ছেড়ে দেবেন বলে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল । এই জল্পনা সত্যি করে আজ বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম কাণ্ডারি ৷