কলকাতা, 12 জানুয়ারি: বাবুঘাটে বঙ্গ বিজেপির নমামী গঙ্গের যে শাখা গঙ্গা আরতির কর্মসূচিতে অনুমতি না-দেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে ৷ বৃহস্পতিবার এমনটাই অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। আজ কলকাতা বন্দরের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এমনই কথা শোনা গেল তাঁর গলায় ৷
শান্তনু ঠাকুর এদিন বলেন, "গঙ্গা আরতিতে বাধা দেওয়ার পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে। বাংলাতে যেটা হয়ে আসছে। এইসব মানুষ মেনে নেবে না। একটা ধর্মের উপরে আঘাত হানা হচ্ছে। এই আচরণ ধার্মিক দিক থেকেও যেমন ক্ষতিকারক তেমনই সামাজিক দিক থেকে ক্ষতিকারক। এমনকী সভ্যতার দিক থেকেও যেমন ক্ষতিকারক তেমনই ব্যক্তিগত ক্ষেত্রেও ক্ষতিকারক।"
তৃণমূল (TMC) এবং সিপিএমের (CPM)তরফ থেকে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি পিএইচএইচ (PHH) রেশন কার্ড ব্যবহার করেন ৷ তাঁকে এনিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, "এই অভিযোগকে একেবারে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, "আমি রেশন কার্ড ব্যবহারই করি না। আমার বাড়িতে প্রতিদিন 150 থেকে 200 জন খাওয়া দাওয়া করেন। প্রসাদ নেন। আমার বাড়িতে লঙ্গরখানা চলে যেখানে এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই ৷ এরা আমার বিরুদ্ধে কিছু না-খুঁজে পেয়ে একটা রেশন কার্ড দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আর এই রেশন কার্ড বানিয়েছে কে? রাজ্য সরকার। আমার মায়ের কাছে এই রেশন কার্ড থাকে। আমি এই রেশন কার্ড কোনও দিনও দেখতেও চাইনি।"
আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ার আদালতে আত্মসমর্পণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিকের
তিনি আরও বলেন, "আমার রেশন কার্ড কোনও কাজেই লাগে না। কাজে লাগে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড আর প্যান কার্ড। রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতরের ঝুরিঝুরি ভুল রয়েছে। ছোট কার্ড যাদেরকে দেওয়ার কথা তাঁদেরকে তো সেই কার্ড দেয়নি। বড় বড় লোককে কার্ড দিয়েছে। এটা তো একটা খাদ্য দফতরের কারসাজি মনে হচ্ছে। বড় লোক রেশন তুলবে না। সেটা নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দেব। এইভাবে আমার ব্যক্তিত্বকে শেষ করতে পারবে না।" আমার বিষয়ে আমার লোকসভার মানুষ জানে, সাধারণ মানুষ জানে বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।