কলকাতা, 18 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং-এর শিকার হয়ে ছাত্র মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। যাদবপুর থেকে প্রেসিডেন্সি এমনকী রাজপথও তোলপাড় ছাত্র আন্দোলনের জেরে। মাঠে নেমেছে রাজনৈতিক দলগুলিও। আর এর মধ্যেই র্যাগিং ইস্যুতে আন্দোলন আরও ধারালো করছে এসএফআই। যাদবপুর, প্রেসিডেন্সির গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতার প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে এবার প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের লিফলেট বিলি করছে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন। পাশাপশি প্রতি মেডিক্যাল কলেজে পোস্টার লাগানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন।
যাদবপুর শুধু নয়, মেডিক্যাল কলেজগুলোর হস্টেলগুলো প্রাক্তনীদের ঘুঘুর বাসা। এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে যেমন সওয়াল করছে ঠিক তেমনি, যাতে যাদবপুরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে তাই প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের এসএফআই-এর তরফে দেওয়া হচ্ছে লিফলেট ৷ যাতে থাকছে ইউজিসি-র হেল্প লাইন নম্বর (1800-180-5522)। পাশাপাশি তাদের ই-মেইল আইডিও দেওয়া থাকছে যেখানে আক্রান্ত বা র্যাগিং-এর শিকার পড়ুয়ারা লিখিত অভিযোগ জানাতে পারবে। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, helpline@antiragging.in-এই মেইল আইডি বা ফোন নম্বরে কোনও অভিযোগ জানতে কেউ ভয় পেলে তারা এসএফআই-এর মেডিক্যাল হেল্পলাইন নম্বরেও ফোন করতে পারবেন। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের তরফে 8100685532 এবং 9083129700 এই দুটি নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
যাদবপুরের ঘটনার পর থেকে এসএফআই-সহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলো র্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ার স্লোগান তুলে প্রতিবাদ সভা থেকে মিছিল শুরু করেছে। এই ইস্যুতে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এবিভিপিও। আর এর মধ্যেই মেডিক্যাল কলেজগুলোয় নয়া প্রচারে নেমেছে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন। এই প্রসঙ্গে এসএফআই নেতা অনুরারণ পাল বলেন, "যাদবপুরের ঘটনা সামনে এসেছে। তবে অতীতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজে র্যাগিং-এর ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় টিএমসিপির মদত আছে। ঘটনার পরে অ্যান্টি র্যাগিং সেলের কাছে গিয়েও লাভ হয়নি।"
আরও পড়ুন: যাদবপুরের ঘটনায় এখনও অধরা কমপক্ষে 15 জন, দাবি লালবাজারের
এসএফআই নেতার কথায়, "ওই সেলে যাদের বসানো হয় তারা তৃণমূলের শিক্ষক সেলের নেতা। তাদের মদতেই এমন ঘটায় কিছু ছাত্রছাত্রী। প্রতি মেডিক্যাল কলেজে আমরা নম্বর দেওয়া পোস্টার দিচ্ছি। ছাত্রছাত্রীদের লিফলেটও দেব। ইউজিসি হেল্প লাইনে অভিযোগও করতে পারে তারা। ভয় পেলে আমদের নম্বরেও যোগাযোগ করতে পারে। এই সংস্কৃতি বন্ধ হোক। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছি। তবে আরও বেশি ছাত্রছাত্রীদের পাশে পাচ্ছি।"